দেশ বিদেশ
নারায়ণগঞ্জে গ্রাহকের কোটি টাকা নিয়ে উধাও সমিতির মালিক
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৩ জুলাই ২০১৯, শনিবার, ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
সমবায় সমিতির নামে গ্রাহকদের কয়েক কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন শহরের দুই নম্বর রেলগেট এলাকার বাসিন্দা মো. সওদাগর। গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রাহকরা তার বাসায় গিয়ে দেখেন সওদাগর বাসায় নেই। শুধু গ্রাহক নয়, সে তার আত্মীয়স্বজনদেরও আরও প্রায় ১ কোটি নিয়ে গেছেন। পাওনাদাররা বাসায় গিয়ে হট্টগোল শুরু করলে চাষাঢ়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। জানা গেছে, সওদাগর শীতলক্ষ্যা এলাকার ড্রিম সমবায় সমিতির নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় কয়েক কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেন। তার সমিতির গ্রাহক সংখ্যা হচ্ছে ৩০০। তারা প্রত্যেকেই সওদাগরের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা আমানত হিসেবে জমা রেখেছেন।
পাওনাদের মধ্যে সুমন নামে একজনের ৩০ লাখ, হরনাথ বিশ্বাসের ২০ লাখ, জনি বিশ্বাসের ৮ লাখ টাকা, মহসিন আহাম্মদের ২৩ লাখ, সাইদুলের ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, শাহানা নামে এক নারীর ৮ লাখ ৭৫ হাজার, সোহাগের সাড়ে ১৭ লাখ, তসলিম উদ্দিনের ৭০ লাখ, সাথী বেগমের ৪ লাখ ১০ হাজার, মুদি দোকানদার আক্তার হোসেনের ৬৭ হাজার টাকা, পারভীন আক্তারের ১০ লাখ ও পারুল আক্তারের ৪ লাখ টাকা উল্লেখযোগ্য। এদের মধ্যে অনেকেই সওদাগরের কোনো না কোনোভাবে আত্মীয় হয়ে থাকেন। পাওনাদার হরনাথ বিশ্বাস জানান, আমার সারা জীবনের সম্বল ছিল ২০ লাখ টাকা। সওদাগর ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে এই ২০ লাখ টাকা নিয়ে আসে। প্রথম ৩ মাস মুনাফা দিয়ে গেলেও পরবর্তীতে সে আর মুনাফা দেয়নি এবং টাকাও দিচ্ছে না। আজকাল কিংবা পরশু বলে সময়ক্ষেপণ করে আসছে। সর্বশেষ তার বাসায় দেখি সে এখন বাসায় নেই। বাসার লোকেরা বলছে সওদার ও তার ছেলে সানী নাকি বিদেশ চলে গেছে। এখন আমার কোথায় যাবো। এদিকে টাকার অভাবে আমাদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। সমিতির সদস্য পারুল আক্তার জানান, সমিতির কথা বলে সওদাগর আমাদের টাকা নিয়ে কয়েকদিন পর পরই দেশ বিদেশ ঘুরতে যেত। আর টাকার কথা বললে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে মন ভুলিয়ে দিতো। সর্বশেষ আমাদের বলে, তার বাড়ি বিক্রি করে টাকা দিয়ে দিবে। আর এখন তার বাসায় এসে দেখি সে বাসায় নেই। সওদাগর তার ছেলেসহ পালিয়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে এসে আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। সওদারের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। যেন অতিদ্রুত পাওনাদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া যদি পাওনাদাররা থানায় অভিযোগ করে তাহলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
পাওনাদের মধ্যে সুমন নামে একজনের ৩০ লাখ, হরনাথ বিশ্বাসের ২০ লাখ, জনি বিশ্বাসের ৮ লাখ টাকা, মহসিন আহাম্মদের ২৩ লাখ, সাইদুলের ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, শাহানা নামে এক নারীর ৮ লাখ ৭৫ হাজার, সোহাগের সাড়ে ১৭ লাখ, তসলিম উদ্দিনের ৭০ লাখ, সাথী বেগমের ৪ লাখ ১০ হাজার, মুদি দোকানদার আক্তার হোসেনের ৬৭ হাজার টাকা, পারভীন আক্তারের ১০ লাখ ও পারুল আক্তারের ৪ লাখ টাকা উল্লেখযোগ্য। এদের মধ্যে অনেকেই সওদাগরের কোনো না কোনোভাবে আত্মীয় হয়ে থাকেন। পাওনাদার হরনাথ বিশ্বাস জানান, আমার সারা জীবনের সম্বল ছিল ২০ লাখ টাকা। সওদাগর ব্যবসার কথা বলে আমার কাছ থেকে এই ২০ লাখ টাকা নিয়ে আসে। প্রথম ৩ মাস মুনাফা দিয়ে গেলেও পরবর্তীতে সে আর মুনাফা দেয়নি এবং টাকাও দিচ্ছে না। আজকাল কিংবা পরশু বলে সময়ক্ষেপণ করে আসছে। সর্বশেষ তার বাসায় দেখি সে এখন বাসায় নেই। বাসার লোকেরা বলছে সওদার ও তার ছেলে সানী নাকি বিদেশ চলে গেছে। এখন আমার কোথায় যাবো। এদিকে টাকার অভাবে আমাদের না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। সমিতির সদস্য পারুল আক্তার জানান, সমিতির কথা বলে সওদাগর আমাদের টাকা নিয়ে কয়েকদিন পর পরই দেশ বিদেশ ঘুরতে যেত। আর টাকার কথা বললে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে মন ভুলিয়ে দিতো। সর্বশেষ আমাদের বলে, তার বাড়ি বিক্রি করে টাকা দিয়ে দিবে। আর এখন তার বাসায় এসে দেখি সে বাসায় নেই। সওদাগর তার ছেলেসহ পালিয়ে গেছে। নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে এসে আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। সওদারের আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছি। যেন অতিদ্রুত পাওনাদের পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া যদি পাওনাদাররা থানায় অভিযোগ করে তাহলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।