দেশ বিদেশ
মাদারীপুরে ওসির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ
মাদারীপুর প্রতিনিধি
১৩ জুলাই ২০১৯, শনিবার, ৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
মাদারীপুরে একটি আবাসিক হোটেল মালিককে থানায় নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে চোখ জখম করার অভিযোগ উঠেছে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলমের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার ওই হোটেল মালিক বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। হোটেল মালিকের দাবি, শুধু নির্যাতনই নয়, একটি সাজানো মামলা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারও করেছেন ওসি। নির্যাতনের শিকার হোটেল মালিক ও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, গত ৮ই জুলাই সোমবার রাতে মাদারীপুর পৌর শহরের সুমন হোটেলে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে রাতে থাকতে আসেন শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের ছালাম পেদা ও তার শ্যালিকা। ঘটনাটি জেনে ওই রাতেই হোটেল তল্লাশি করতে আসেন মাদারীপুর পুলিশের ডিএসবি শাখার সদস্য শহিদুল ইসলাম। এসময় তিনি দু’জনের কথায় অমিল খুঁজে পান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই হোটেল মালিক সিরাজ মুন্সিকে আটক করে পুলিশ। হোটেল মালিক সিরাজ মুন্সি সাংবাদিকদের জানান, ‘পরের দিন সকালে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সওগাতুল আলম আমাকে তার নিজকক্ষে ডেকে নেন। তিনি এসময় মাসিক ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। একপর্যায়ে আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওসি এলোপাথারি চড়-থাপ্পড় দিতে থাকে। ওসির হাতের আঘাতে আমার চোখের ভিতরে রক্ত জমাট হয়ে যায়। এরপর ওসি দম্পত্তি পরিচয়কারী আমার হোটেলের বোর্ডার সালাম পেদাকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি সাজানো মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। বিজ্ঞ আদালত আমাকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জামিন দেন। পরে চোখের আঘাত গুরুতর হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হই।’ তিনি আরো জানান, ‘ওসি মাদারীপুর সদর থানায় গত ১৭ই জুলাই যোগদানের পর দু’বার আমাকে তার রুমে ডেকে মাসিক পনের হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। আমি তাকে চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করেছি। তিনি তখন থেকেই আমার উপর ক্ষেপে আছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে উপযুক্ত বিচার দাবি করি।’
নির্যাতনের বিষয়ে সদর থানার ওসি সওগাতুল আলম জানান, ‘আমার সাথে তার দেখাই হয়নি। তাকে শারীরিক নির্যাতনের প্রশ্নই উঠে না। আমার বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যে তথ্য দিয়েছেন। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি অভিযোগ করায় মামলা আমলে নেয়া হয়েছে।’ এব্যাপারে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার জানান, ‘নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি ওসি নির্যাতন করে থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
নির্যাতনের বিষয়ে সদর থানার ওসি সওগাতুল আলম জানান, ‘আমার সাথে তার দেখাই হয়নি। তাকে শারীরিক নির্যাতনের প্রশ্নই উঠে না। আমার বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যে তথ্য দিয়েছেন। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তি অভিযোগ করায় মামলা আমলে নেয়া হয়েছে।’ এব্যাপারে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার জানান, ‘নির্যাতনের বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি ওসি নির্যাতন করে থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’