বাংলারজমিন
১০ লাখ টাকার বরকতকে দেখতে ভিড়
নূর ইসলাম, যশোর থেকে
১৩ জুলাই ২০১৯, শনিবার, ৭:১৮ পূর্বাহ্ন
১০ লাখ টাকার বরকত কে দেখতে মান্নানের বাড়িতে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। কোরবানি আসন্ন হওয়ায় এই ভিড় দিন দিন বাড়ছে। দূর দূরান্ত থেকে ক্রেতাদের পাশাপাশি উৎসুক জনতা একনজর বরকতকে দেখতে জড়ো হচ্ছে মান্নানের বাড়িতে। এসব অতিথিকে আপ্যায়নের সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন পরিবারের লোকজন। হাসিমুখে দর্শনার্থীদের সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে গৃহকর্তা। তাকে সাহায্য করছেন গৃহকর্ত্রী রহিমা বেগম। গত কোরবানির আগে ‘বরকত’র দাম উঠেছিল চার লাখ ৭০ হাজার টাকা। তা মনঃপূত হয়নি পালক আব্দুল মান্নানের। আর সে কারণে আরো এক বছর অপেক্ষা করেছেন তিনি। পরম যত্নে আরো হৃষ্টপুষ্ট করেছেন বরকতকে। বর্তমানে বরকত’র ওজন ১৩শ’ কেজি। দাম হাঁকিয়েছেন ১২ লাখ টাকা। সামান্য কম হলেও ছেড়ে দেবেন। না হলে এই কোরবানিতে ঢাকায় বিকোতে নিয়ে যাবেন।
‘বরকত’ একটি গরুর নাম। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার গোপালপুর সাতগাতি গ্রামের আব্দুল মান্নান গত প্রায় ৩ বছর নিজ সন্তান স্নেহে একে লালন করেছেন কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য। ‘ওকে কেনার পর আমার পরিবারে বরকত এসেছে বলে ওর নাম দেয়া হয়েছে বরকত’- জানালেন আব্দুল মান্নান। স্থানীয় গোপালপুর বাজারে পিয়াজের ব্যবসা আছে তার। শখের বশে গরু পোষেন। বিক্রি করে যা লাভ হয় তাতেই খুশি। তবে, বরকতকে নিয়ে তিনি বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন। তিনি বলেন, আমেরিকান ব্রাহ্মা জাতের গরুটি যখন ৯২ হাজার টাকায় কিনেছিলেন তখন তার বয়স ছিল এক বছর চার মাস। আগামী কোরবানির সময় বয়স হবে ৪৭ মাস। ‘প্রায় আড়াই বছরে সন্তান স্নেহে বরকতকে লালন-পালন করেছি’ জানিয়ে মালিক আব্দুল মান্নান জানান, ‘আমরা পরিবারের সবাই গরুটির যত্ন নিই। তাকে ভুসি, বিচালি আর খৈল ছাড়া অন্যকিছু খাওয়ানো হয় না। রাত ১টা পর্যন্ত তিনবার গামছা দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিই। বেশি গরমে গোয়াল ঘরে বৈদ্যুতিক পাখা চালাই। প্রতিদিন দুইবার গোসল করাই। সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত চিকিৎসা করাই’। বরকতের পেছনে প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান তিনি। সাদা রঙের বরকত লম্বায় আট আর উচ্চতায় সাড়ে পাঁচ ফুট। মালিকের ধারণা ওজন প্রায় ১৩শ’ কেজি হবে। গরুটি দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে শ’ শ’ মানুষের আগমন ঘটছে আব্দুল মান্নানের বাড়িতে।
আব্দুল মান্নানের মা বৃদ্ধ লিলি বেগম জানান, বরকতের বয়স যখন ১৬ মাস তখন খানপুরের মাসুম সরদারের কাছ থেকে ৯২ হাজার টাকায় ওকে কিনেছিল আমার মান্নান। গত কোরবানির প্রায় ১৫ দিন আগে থেকে গরুটি দেখার জন্য প্রতিদিন দুই/তিন শ’ মানুষ তাদের বাড়িতে আসতো জানিয়ে লিলি বেগম বলেন, ‘গভীর রাত পর্যন্ত আমি আর আমার ছেলে মানুষকে গরুটি দেখাতাম। এবারও প্রচুর মানুষ আসছে’।
আব্দুল মান্নানের ছেলে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ফয়সাল আহমেদ জানান, ‘গত বছর এর দাম উঠেছিল চার লাখ ৭০ হাজার টাকা। আমরা বিক্রি করিনি। খুলনায় হাটে উঠানোর পর দাম আরো কম বলায় ফিরিয়ে নিয়ে আসি। এবার ১০ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। তবে কিছু কম বেশি হলেও বিক্রি করবো’। কারণ ওজন দিন দিন বাড়ায় ওকে লালন পালন করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
এত টাকায় গরুটি বিক্রি হবে কেন জানতে চাইলে আব্দুল মান্নানের স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, ১৫ বছর আগে একটি দেশি গরু বিক্রি করেছিলাম দুই লাখ ৮০ হাজার টাকায়। বরকতের তুলনায় তা কিছুই না। এখনতো দামও বেড়েছে। আর মানুষ কোরবানির হাটে মাংসের হিসেবে গরু কেনে না, চেহারা দেখে কেনে। সে হিসেবে বরকতের কোনো তুলনাই হয় না’।
বাড়ি থেকে গরুটি বিক্রি করতে না পারলে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানালেন মান্নান।
এদিকে উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকী জানান, গত তিন বছর নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে বরকত’র শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার শরীরে কোনো খুঁত নেই। মানুষের জন্য ক্ষতিকারক কোনো ভ্যাকসিনেশন বা কোনো খাদ্য দ্রব্য বরকত’কে খাওয়ানো হয়নি। ভুসি, সরিষার খৈল বিচালী, ভাতের মাড়, কাঁচা সবুজ ঘাস এ সবই হচ্ছে বরকত’র খাবার। মান্নান ও তার পরিবারের সদস্যরা বরকত’কে পরম যত্নে লালন পালন করে আজকের এ অবস্থানে নিয়ে আসছেন।
‘বরকত’ একটি গরুর নাম। যশোরের মণিরামপুর উপজেলার গোপালপুর সাতগাতি গ্রামের আব্দুল মান্নান গত প্রায় ৩ বছর নিজ সন্তান স্নেহে একে লালন করেছেন কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য। ‘ওকে কেনার পর আমার পরিবারে বরকত এসেছে বলে ওর নাম দেয়া হয়েছে বরকত’- জানালেন আব্দুল মান্নান। স্থানীয় গোপালপুর বাজারে পিয়াজের ব্যবসা আছে তার। শখের বশে গরু পোষেন। বিক্রি করে যা লাভ হয় তাতেই খুশি। তবে, বরকতকে নিয়ে তিনি বেশি লাভের স্বপ্ন দেখছেন। তিনি বলেন, আমেরিকান ব্রাহ্মা জাতের গরুটি যখন ৯২ হাজার টাকায় কিনেছিলেন তখন তার বয়স ছিল এক বছর চার মাস। আগামী কোরবানির সময় বয়স হবে ৪৭ মাস। ‘প্রায় আড়াই বছরে সন্তান স্নেহে বরকতকে লালন-পালন করেছি’ জানিয়ে মালিক আব্দুল মান্নান জানান, ‘আমরা পরিবারের সবাই গরুটির যত্ন নিই। তাকে ভুসি, বিচালি আর খৈল ছাড়া অন্যকিছু খাওয়ানো হয় না। রাত ১টা পর্যন্ত তিনবার গামছা দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিই। বেশি গরমে গোয়াল ঘরে বৈদ্যুতিক পাখা চালাই। প্রতিদিন দুইবার গোসল করাই। সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত চিকিৎসা করাই’। বরকতের পেছনে প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান তিনি। সাদা রঙের বরকত লম্বায় আট আর উচ্চতায় সাড়ে পাঁচ ফুট। মালিকের ধারণা ওজন প্রায় ১৩শ’ কেজি হবে। গরুটি দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে শ’ শ’ মানুষের আগমন ঘটছে আব্দুল মান্নানের বাড়িতে।
আব্দুল মান্নানের মা বৃদ্ধ লিলি বেগম জানান, বরকতের বয়স যখন ১৬ মাস তখন খানপুরের মাসুম সরদারের কাছ থেকে ৯২ হাজার টাকায় ওকে কিনেছিল আমার মান্নান। গত কোরবানির প্রায় ১৫ দিন আগে থেকে গরুটি দেখার জন্য প্রতিদিন দুই/তিন শ’ মানুষ তাদের বাড়িতে আসতো জানিয়ে লিলি বেগম বলেন, ‘গভীর রাত পর্যন্ত আমি আর আমার ছেলে মানুষকে গরুটি দেখাতাম। এবারও প্রচুর মানুষ আসছে’।
আব্দুল মান্নানের ছেলে একাদশ শ্রেণির ছাত্র ফয়সাল আহমেদ জানান, ‘গত বছর এর দাম উঠেছিল চার লাখ ৭০ হাজার টাকা। আমরা বিক্রি করিনি। খুলনায় হাটে উঠানোর পর দাম আরো কম বলায় ফিরিয়ে নিয়ে আসি। এবার ১০ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি। তবে কিছু কম বেশি হলেও বিক্রি করবো’। কারণ ওজন দিন দিন বাড়ায় ওকে লালন পালন করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
এত টাকায় গরুটি বিক্রি হবে কেন জানতে চাইলে আব্দুল মান্নানের স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, ১৫ বছর আগে একটি দেশি গরু বিক্রি করেছিলাম দুই লাখ ৮০ হাজার টাকায়। বরকতের তুলনায় তা কিছুই না। এখনতো দামও বেড়েছে। আর মানুষ কোরবানির হাটে মাংসের হিসেবে গরু কেনে না, চেহারা দেখে কেনে। সে হিসেবে বরকতের কোনো তুলনাই হয় না’।
বাড়ি থেকে গরুটি বিক্রি করতে না পারলে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানালেন মান্নান।
এদিকে উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা আবুজার সিদ্দিকী জানান, গত তিন বছর নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে বরকত’র শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার শরীরে কোনো খুঁত নেই। মানুষের জন্য ক্ষতিকারক কোনো ভ্যাকসিনেশন বা কোনো খাদ্য দ্রব্য বরকত’কে খাওয়ানো হয়নি। ভুসি, সরিষার খৈল বিচালী, ভাতের মাড়, কাঁচা সবুজ ঘাস এ সবই হচ্ছে বরকত’র খাবার। মান্নান ও তার পরিবারের সদস্যরা বরকত’কে পরম যত্নে লালন পালন করে আজকের এ অবস্থানে নিয়ে আসছেন।