বাংলারজমিন
পান চাষে ঝুঁকছেন মনোহরদীর কৃষকরা
মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
১৩ জুলাই ২০১৯, শনিবার, ৭:১৮ পূর্বাহ্ন
মনোহরদীতে দিন দিন বাড়ছে পান চাষ। ধান ও আলুসহ অন্যান্য ফসলের চেয়ে পানচাষ লাভজনক হওয়ায় অনেকেই ঝুঁকছেন পান চাষে। নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার বেশকিছু গ্রামের মাঠে নিজ মেধা ও উদ্যোগে পান চাষ করে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন কৃষকরা। বিঘাপ্রতি পানের বরজে এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ করে পরবর্তী বছর থেকে লাভ করছেন লক্ষাধিক টাকা। মনোহরদীর খিদিরপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের বিমল, মিজান ও সুফিয়া বেগম দীর্ঘদিন ধরে পান চাষ করে যাচ্ছে। তাদের সফলতায় তারাকান্দি ও নয়াপাড়া গ্রামের খসরু মাস্টার, সালাউদ্দিন, হারিছ, দুলাল, রবি, আবু সাঈদসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা পান চাষের দিকে ঝুঁকছেন। বিশেষ করে উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়নের রামপুর, নয়াপাড়া ও বাটিপাড়া, লেবুতলা ইউনিয়নের লেবুতলা, তারাকান্দি, শরিফপুর, সাগরদি ও ড্রেনের ঘাট এবং দৌলতপুর ইউনিয়নের কোচেরচর গ্রামসহ বেশকিছু এলাকায় পানচাষ হয়ে থাকে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুরুতে বিঘাপ্রতি পানের বরজে মাটির আইল, বেড়া, ছাউনি, শ্রমিক, পানের লতাসহ এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ হয়। পরের বছর থেকে খরচ কম হয়। কারণ, একটি পানের বরজ তৈরি করার পর মাটির আইল, বেড়া ও ছাউনি সংস্কার ছাড়া ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত পানের বরজ অক্ষুণ্ন থাকে। বৈশাখ থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত পানের ভরা মৌসুম।
ভাদ্র থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত পানের উৎপাদন কম হয়। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বাণিজ্যিকভিত্তিতে প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে ১৫ টন পানের আবাদ হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার পান দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোতে বিক্রি হয়ে থাকে। এ উপজেলায় বিশেষ করে দুই ধরনের পানের আবাদ হয়ে থাকে গয়ালসুর ও লালডিঙ্গি। মনোহরদী উপজেলার কৃষি অফিসার আয়েশা আক্তার বলেন, মনোহরদীর মাটি পানচাষের জন্য বেশ উপযোগী। এখানে বহুদিন ধরে কৃষকরা বাণিজ্যিকভিত্তিতে পান চাষ করে থাকে। প্রতি বছর পানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানচাষে আরো আগ্রহী করতে আধুনিক ও প্রযুক্তিগত সব ধরনের পরামর্শসহ সহযোগিতা করছেন বলে তিনি জানান।
ভাদ্র থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত পানের উৎপাদন কম হয়। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বাণিজ্যিকভিত্তিতে প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে ১৫ টন পানের আবাদ হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার পান দেশের বিভিন্ন জেলাগুলোতে বিক্রি হয়ে থাকে। এ উপজেলায় বিশেষ করে দুই ধরনের পানের আবাদ হয়ে থাকে গয়ালসুর ও লালডিঙ্গি। মনোহরদী উপজেলার কৃষি অফিসার আয়েশা আক্তার বলেন, মনোহরদীর মাটি পানচাষের জন্য বেশ উপযোগী। এখানে বহুদিন ধরে কৃষকরা বাণিজ্যিকভিত্তিতে পান চাষ করে থাকে। প্রতি বছর পানের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানচাষে আরো আগ্রহী করতে আধুনিক ও প্রযুক্তিগত সব ধরনের পরামর্শসহ সহযোগিতা করছেন বলে তিনি জানান।