বাংলারজমিন
শ্রীমঙ্গলে সিসিটিভিতে ধরা পড়লো চোর
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
১২ জুলাই ২০১৯, শুক্রবার, ৮:১৮ পূর্বাহ্ন
চোরের ১০ দিন আর গেরস্থের ১ দিন। এটি গ্রামবাংলার চিরায়িত খনার বচনের কথা। আর এই কথাই সত্যি হলো শ্রীমঙ্গল শহরের মা-মনি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের স্বত্বাধিকারীর বেলায়। এ প্রতিষ্ঠানটি শহরের মৌলভীবাজার রোডের নামিদামি কাপড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিতে অনেক দিন ধরেই কর্মচারী হিসেবে চাকরি করছেন আব্দুর রহমান ওরফে বিবেক রায় (২৯), নৃপেন্দ্র রায় (৫৪), আনোয়ার হোসেন শুক্কুর (৩৫), রিপন পাল (৩২) ও শফি উদ্দিন (২৯)। এরা সবাই সেলসম্যান। গত ৪ঠা জুলাই সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে প্রতিষ্ঠানের মালিক রফিকুল আলম কাউছার মাগরিবের নামাজে থানা জামে মসজিদে যান। এ সময় তারা সকলেই দোকানে কর্মরত ছিল। পরদিন ৫ই জুলাই সকাল ১০টায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করাকালে দেখতে পান গত ৪ঠা জুলাই সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে তিনি নামাজে থাকাকালে দোকানের কর্মচারী নৃপেন্দ্র, শুক্কুর, রিপন ও শফি উদ্দিন মিলে দুটি বড় বড় শপিং ব্যাগে দোকানের বিভিন্ন ধরনের মূল্যবান কাপড়, লুঙ্গি ভর্তি করে আব্দুর রহমান ইকবাল বিবেকের হাতে তুলে দেয়। এর পর বিবেক এসব মালামাল দোকানের বাইরে নিয়ে যায়। ঘটনাটি দেখার পর কর্মচারীদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কাউছার। চুরির কথা স্বীকার করে তারা জানায় মালামালগুলো বিবেকের বাসায় রাখা আছে। বিষয়টি ৫ই জুলাই রাত ৯টার দিকে থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে ওসি’র নির্দেশে উপ-পুলিশ পরিদর্শক রাব্বী সুরভীপাড়ার ভাড়াটিয়া বাসার তার রুম থেকে দুটি প্লাস্টিকের শপিং ব্যাগ ভর্তি চেক শার্ট, লুঙ্গি, জর্জেট পুঁথির শাড়ি, থ্রি পিস, প্রিন্টের শাড়ি উদ্ধার করেন। এ সময় পুলিশ চুরি করা মালামালসহ দোকান কর্মচারী বিবেক, নৃপেন্দ্র ও শুক্কুরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, ‘আটক দোকান কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের মালিক বাদী হয়ে দ.বি.৩৮১/৪১১ পেনাল কোড-১৮৬০; কর্মচারী কর্তৃক চুরি ও চোরাই মাল হেফাজতে রাখার অপরাধে মামলা রজু করেন। তিনি বলেন, আটক তিন কর্মচারীকে শনিবার বেলা ১টার দিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে মৌলভীবাজার কারাগারে প্রেরণ করেন। পলাতক দুই কর্মচারীকে আটক করতে পুলিশি প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা বলেন, ‘আটক দোকান কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের মালিক বাদী হয়ে দ.বি.৩৮১/৪১১ পেনাল কোড-১৮৬০; কর্মচারী কর্তৃক চুরি ও চোরাই মাল হেফাজতে রাখার অপরাধে মামলা রজু করেন। তিনি বলেন, আটক তিন কর্মচারীকে শনিবার বেলা ১টার দিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে মৌলভীবাজার কারাগারে প্রেরণ করেন। পলাতক দুই কর্মচারীকে আটক করতে পুলিশি প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।