অনলাইন
১৭ই জুলাই চালু হচ্ছে ঢাকা-বেনাপোল সরাসরি ট্রেন সার্ভিস
স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে
১১ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ১:১২ পূর্বাহ্ন
প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে চালু হচ্ছে ঢাকা-বেনাপোল সরাসরি রেল সার্ভিস। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলকে সরাসরি রেল যোগাযোগের আওতায় আনা হচ্ছে। এজন্য চালু করা হচ্ছে, একটি বিলাসবহুল বিরতীহীন ট্রেন সার্ভিস। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৭ই জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন করবেন।
ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বেনাপোল স্থলবন্দর ও যশোর রেল স্টেশন পরিদর্শন করে এ সংক্রান্ত খুটিনাটি বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম জোনের চীফ কমার্শিয়াল অফিসার শাহনেওয়াজ বলেন, প্রথম পর্যায়ে ঢাকা বোনাপোল বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিসটি ২৫শে জুলাই উদ্বোধন করা হবে বলে রেলমন্ত্রী নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে তা এগিয়ে এনে ১৭ই জুলাই সকাল ১০টায় করা হয়েছে। এদিন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই সার্ভিসটি উদ্বোধন করবেন বলে আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুই স্টেশনের কর্মকর্তাসহ দায়িত্বশীল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বেনাপোল রেলস্টশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, আগামী ১৭ই জুলাই বেনাপোল-ঢাকা সরাসরি রেল চলাচল উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে। ওইদিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই রেল চলাচল উদ্বোধন করবেন। এই লক্ষ্যে আগামী ১১ ও ১৩ই জুলাই রেলওয়ের দু’টি উর্ধ্বতন অগ্রগামী দল বেনাপোল ও যশোর রেলস্টেশন পরিদর্শন করবেন। ১৩ই জুলাই বিকালে রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান যশোর যাবেন। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ইন্দো-বাংলা চেম্বারের সভাপতি সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান জানান, এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি ঢাকা বেনাপোল রেল সার্ভিস উদ্বোধনের বিষয়ে সবিশেষ খবরাখবর দিয়েছেন।
উল্লেখ্য বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। ভারতের বনগাঁ রেল স্টেশন দিয়ে বেনাপোলের সঙ্গে বর্তমানে সরাসরি মালট্রেন ও খুলনা থেকে সরাসরি কলকাতার হাওড়া স্টেশনের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল সার্ভিস চালু রয়েছে। এছাড়া খুলনার সঙ্গে ঢাকার সরাসরি রেল সার্ভিস চালু রয়েছে গত কয়েক বছর ধরেই।
কিন্তু দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোলের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি কোন ট্রেন সার্ভিস না থাকার কারণে এ বন্দর দিয়ে কলকাতাগামী যাত্রীদের ট্রেন সেবা নিতে বেশ বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছিল। যাত্রীদের এসব সমস্যার কথা মাথায় রেখে গত বছরই ঢাকা-বেনাপোল সরাসরি রেল সার্ভিস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে রেল মন্ত্রণালয়। কয়েক দফা সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর অবশেষে চালু হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত ঢাকা-বেনাপোল ও বেনাপোল-ঢাকা সরাসরি রেল সার্ভিস। এজন্য ইতিমধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে উন্নতমানের কোচও আমদানি করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
এই রেলে ১০টি বগি থাকবে। দু’টি এসি কেবিন ও দু’টি এসি সেলুন কোচ ছাড়াও ৬টি নন এসি চেয়ার কোচ থাকছে। থাকছে খাবার বগিসহ নামাজের সুব্যবস্থা। এছাড়া এ ট্রেনে বিমানের আদলে থাকছে বায়োটয়লেট।
ঢাকার কমলাপুর থেকে ট্রেনটি সপ্তাহে ৬দিন রাতে ছেড়ে সকালে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাবে। একইভাবে প্রতি সপ্তাহে ৬দিন সকালে অপর একটি ট্রনে বেনাপোল বন্দর থেকে ছেড়ে বিকালে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে। বিরতীহীন এই ট্রেনটি যাত্রাপথে ইশ্বরদী ও যশোর জংশনে ৫ মিনিট করে যাত্রা বিরতীসহ চলাচলের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ ঘন্টা।
ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এসি কেবিন ১২০০ টাকা, এসি চেয়ার ১০০০ হাজার টাকা ও নন এসি চেয়ার ৫০০ টাকা।
স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, এই সার্ভিসটি চালু হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রেল যোগাযোগে বিপ্লব ঘটবে। বর্তমানে সপ্তাহে ৬দিন খুলনা-ঢাকার মধ্যে রেল চলাচল করছে। এরপর বেনাপোল ঢাকা রেল যোগাযোগ স্থাপন হলে সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ২টি করে ট্রেন ঢাকা যশোর ভায়া বেনাপোল খুলনার মধ্যে চলাচল করবে। ফলে ঢাকা, খুলনা ও বেনাপোলগামী যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি প্রায় শতভাগ দূর হবে।
তবে এই বিষয়ে রেল ব্যবহারকারী একাধিক যাত্রীর প্রত্যাশা হচ্ছে রেলের সিডিউল বিপর্যয় রোধ করতে হবে। সেবার মান বাড়াতে হবে। তাহলে যাত্রীরা যেমন উপকৃত হবেন। তেমনি সড়কের নৈরাজ্য কিছুটা কমবে।
ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বেনাপোল স্থলবন্দর ও যশোর রেল স্টেশন পরিদর্শন করে এ সংক্রান্ত খুটিনাটি বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম জোনের চীফ কমার্শিয়াল অফিসার শাহনেওয়াজ বলেন, প্রথম পর্যায়ে ঢাকা বোনাপোল বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিসটি ২৫শে জুলাই উদ্বোধন করা হবে বলে রেলমন্ত্রী নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি সাপেক্ষে তা এগিয়ে এনে ১৭ই জুলাই সকাল ১০টায় করা হয়েছে। এদিন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এই সার্ভিসটি উদ্বোধন করবেন বলে আমাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুই স্টেশনের কর্মকর্তাসহ দায়িত্বশীল উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বেনাপোল রেলস্টশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, আগামী ১৭ই জুলাই বেনাপোল-ঢাকা সরাসরি রেল চলাচল উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে। ওইদিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই রেল চলাচল উদ্বোধন করবেন। এই লক্ষ্যে আগামী ১১ ও ১৩ই জুলাই রেলওয়ের দু’টি উর্ধ্বতন অগ্রগামী দল বেনাপোল ও যশোর রেলস্টেশন পরিদর্শন করবেন। ১৩ই জুলাই বিকালে রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান যশোর যাবেন। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ইন্দো-বাংলা চেম্বারের সভাপতি সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান জানান, এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি ঢাকা বেনাপোল রেল সার্ভিস উদ্বোধনের বিষয়ে সবিশেষ খবরাখবর দিয়েছেন।
উল্লেখ্য বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ভারতের কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। ভারতের বনগাঁ রেল স্টেশন দিয়ে বেনাপোলের সঙ্গে বর্তমানে সরাসরি মালট্রেন ও খুলনা থেকে সরাসরি কলকাতার হাওড়া স্টেশনের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল সার্ভিস চালু রয়েছে। এছাড়া খুলনার সঙ্গে ঢাকার সরাসরি রেল সার্ভিস চালু রয়েছে গত কয়েক বছর ধরেই।
কিন্তু দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোলের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি কোন ট্রেন সার্ভিস না থাকার কারণে এ বন্দর দিয়ে কলকাতাগামী যাত্রীদের ট্রেন সেবা নিতে বেশ বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছিল। যাত্রীদের এসব সমস্যার কথা মাথায় রেখে গত বছরই ঢাকা-বেনাপোল সরাসরি রেল সার্ভিস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করে রেল মন্ত্রণালয়। কয়েক দফা সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর অবশেষে চালু হচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত ঢাকা-বেনাপোল ও বেনাপোল-ঢাকা সরাসরি রেল সার্ভিস। এজন্য ইতিমধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে উন্নতমানের কোচও আমদানি করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
এই রেলে ১০টি বগি থাকবে। দু’টি এসি কেবিন ও দু’টি এসি সেলুন কোচ ছাড়াও ৬টি নন এসি চেয়ার কোচ থাকছে। থাকছে খাবার বগিসহ নামাজের সুব্যবস্থা। এছাড়া এ ট্রেনে বিমানের আদলে থাকছে বায়োটয়লেট।
ঢাকার কমলাপুর থেকে ট্রেনটি সপ্তাহে ৬দিন রাতে ছেড়ে সকালে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাবে। একইভাবে প্রতি সপ্তাহে ৬দিন সকালে অপর একটি ট্রনে বেনাপোল বন্দর থেকে ছেড়ে বিকালে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে। বিরতীহীন এই ট্রেনটি যাত্রাপথে ইশ্বরদী ও যশোর জংশনে ৫ মিনিট করে যাত্রা বিরতীসহ চলাচলের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ ঘন্টা।
ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এসি কেবিন ১২০০ টাকা, এসি চেয়ার ১০০০ হাজার টাকা ও নন এসি চেয়ার ৫০০ টাকা।
স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, এই সার্ভিসটি চালু হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রেল যোগাযোগে বিপ্লব ঘটবে। বর্তমানে সপ্তাহে ৬দিন খুলনা-ঢাকার মধ্যে রেল চলাচল করছে। এরপর বেনাপোল ঢাকা রেল যোগাযোগ স্থাপন হলে সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ২টি করে ট্রেন ঢাকা যশোর ভায়া বেনাপোল খুলনার মধ্যে চলাচল করবে। ফলে ঢাকা, খুলনা ও বেনাপোলগামী যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি প্রায় শতভাগ দূর হবে।
তবে এই বিষয়ে রেল ব্যবহারকারী একাধিক যাত্রীর প্রত্যাশা হচ্ছে রেলের সিডিউল বিপর্যয় রোধ করতে হবে। সেবার মান বাড়াতে হবে। তাহলে যাত্রীরা যেমন উপকৃত হবেন। তেমনি সড়কের নৈরাজ্য কিছুটা কমবে।