বাংলারজমিন
শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক কারাগারে
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
১১ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:০১ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সামসুল আলম পলাশ (৪৮) নামে এক শিক্ষককে গতকাল দুপুরে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তিনি পৌরশহরের দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী ইংরেজি শিক্ষক। গত মঙ্গলবার বিকালে তাকে আটক করা হয়। আটক শিক্ষক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাক শিমুল গ্রামের মৃত হায়দর আলীর পুত্র। জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে ৭ম শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস নেয়ার সময় শিক্ষক পলাশ এক ছাত্রীর শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। ক্লাস শেষে ওই ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার অভিভাবকে জানায়। ঘটনা শুনে মেয়ের অভিভাবক অভিযোগ নিয়ে প্রধানের শিক্ষকের কাছে যান। এরইমধ্যে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও অভিভাবক বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই শিক্ষককে খুঁজতে থাকে। ওই শিক্ষক রুমে আশ্রয় নিয়ে উত্তেজিত জনতা শিক্ষক অফিস ঘেরাও করে রাখে। শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে স্থানীয় লোকজন।
তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার রেইনা ও আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিদ্যালয়ে ছুটে যান। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাশকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এসময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দায়িত্বে গাফিলতির জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমানকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করলে তিনি ইউএনও গাড়িতে উঠে প্রাণ রক্ষা করেন। এসময় ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষক পলাশ ও প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমানের বিচার দাবি করে স্লোগান দিতে থাকে।
এদিকে শিক্ষক পলাশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গতকাল বুধবার সকালে আখাউড়া-কসবা সড়কের দেবগ্রাম আমতলী এলাকায় মানববন্ধন করেছে। এসময় ছাত্রী নিপীড়নকারী শিক্ষক পলাশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার জন্য প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমানের বদলির দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১ ঘণ্টা সড়কে অবস্থান করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ছাত্র বলেন, ওই শিক্ষক ছাত্রীদের মেয়ের নজরে দেখে না। প্রায় সময়ই তিনি মেয়েদের শরীরে হাত দিতেন। প্রধান শিক্ষককে বলার পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নিতেন না।
দেবগ্রামের বাসিন্দা রিপন মিয়া বলেন, শিক্ষক পলাশে এর আগেও কয়েকজন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছে। এসব কারণে সে জেলও খেটেছে। পলাশ শিক্ষক নামের কলঙ্ক।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, শিক্ষক পলাশের বিরুদ্ধে ছাত্রীর অভিভাবক মামলা করেছেন। আটক শিক্ষক পলাশকে গতকাল বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আক্তার রেইনা ও আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিদ্যালয়ে ছুটে যান। পরে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাশকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এসময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দায়িত্বে গাফিলতির জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমানকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করলে তিনি ইউএনও গাড়িতে উঠে প্রাণ রক্ষা করেন। এসময় ক্ষুব্ধ জনতা শিক্ষক পলাশ ও প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমানের বিচার দাবি করে স্লোগান দিতে থাকে।
এদিকে শিক্ষক পলাশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে দেবগ্রাম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গতকাল বুধবার সকালে আখাউড়া-কসবা সড়কের দেবগ্রাম আমতলী এলাকায় মানববন্ধন করেছে। এসময় ছাত্রী নিপীড়নকারী শিক্ষক পলাশের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার জন্য প্রধান শিক্ষক শেখ মাহফুজুর রহমানের বদলির দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১ ঘণ্টা সড়কে অবস্থান করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ছাত্র বলেন, ওই শিক্ষক ছাত্রীদের মেয়ের নজরে দেখে না। প্রায় সময়ই তিনি মেয়েদের শরীরে হাত দিতেন। প্রধান শিক্ষককে বলার পরও তিনি কোনো ব্যবস্থা নিতেন না।
দেবগ্রামের বাসিন্দা রিপন মিয়া বলেন, শিক্ষক পলাশে এর আগেও কয়েকজন ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেছে। এসব কারণে সে জেলও খেটেছে। পলাশ শিক্ষক নামের কলঙ্ক।
এ ব্যপারে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, শিক্ষক পলাশের বিরুদ্ধে ছাত্রীর অভিভাবক মামলা করেছেন। আটক শিক্ষক পলাশকে গতকাল বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।