বাংলারজমিন
ঝুঁকিপূর্ণ করতোয়া সেতু
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
১১ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
অতিরিক্ত মাল বোঝাই ভারী যানবাহনের চাপে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠা জনগুরুত্বপূর্ণ পঞ্চগড় করতোয়া সেতুটির এখনো সংস্কারমূলক কাজ শুরু করা হয়নি। প্রয়োজনীয় কাজের অভাবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সেতুর উত্তর প্রান্তের উপরের ওয়েরিং কোর্স উঠে গিয়ে অনেক স্থানে রড বের হয়ে গেছে। এতে করে যেকোনো সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনটি হলে জেলা সদর ও তেঁতুলিয়াসহ অনেক এলাকার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এ অবস্থায় গতকাল দুপুরে ঝুঁকিপূর্ণ করতোয়া সেতু পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এ সময় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবদুুল মান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাঈমুল হাছান, পৌরসভার মেয়র তৌহিদুল ইসলাম ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ছাড়াও সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল মুকিত ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, আসলেই সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সংস্কার করে দেয়ার জন্য আমরা চিঠি পাঠাবো। একই সঙ্গে তিনি ওভার লোড নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশকে আরো কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল মুকিত জানান, সেতুটির ওয়েরিং কোর্স উঠে গেলেও সেতুটি মূল কাঠামো ঠিক আছে। সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেতুটি পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই সেতুটির সংস্কার করা হবে। উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে পঞ্চগড় জেলা শহরের প্রবেশ মুখে করতোয়া নদীর ওপর ২৭৫ মিটার করতোয়া সেতু নির্মাণ করা হয়। শহরের কোল ঘেঁষে নির্মিত সেতুটিই হয়ে ওঠে পঞ্চগড়ের সঙ্গে দেশের অন্য প্রান্তের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। জেলা শহরে প্রবেশের একমাত্র পথ এটি। ১৯৯৭ সালের ১লা সেপ্টেম্বর নেপাল, ২০১১ সালের ২২শে জানুয়ারি ভারত ও ২০১৭ সালের ১লা জানুয়ারি ভুটানের সঙ্গে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু হয়। এরপর থেকে প্রতিদিন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে পাথরসহ ভারী ভারী পণ্য নিয়ে সহস্রাধিক ট্রাক দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিচ্ছে। পণ্যবাহী ট্রাকগুলো নির্ধারিত ওজন সীমার কয়েকগুণ বেশি পণ্য নিয়ে সেতুটির ওপর দিয়ে চলাচল করছে। এতে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। সম্প্রতি ওভার লোডিং ও ভারী বর্ষণে সেতুটির ওপরে থাকা ওয়েরিং কোর্স উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও রড বেরিয়ে গেছে। বার বার সড়ক বিভাগ সংস্কার করলেও তা টিকছে না।