দেশ বিদেশ
ইরান ও ইয়েমেন জলসীমায় সামরিক জোট গঠন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র
মানবজমিন ডেস্ক
১১ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৪৮ পূর্বাহ্ন
ইরান ও ইয়েমেনকে ঘিরে থাকা জলসীমার নিরাপত্তার খাতিরে অঞ্চলটিতে আন্তর্জাতিক সামরিক জোট গঠন করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় শীর্ষ নেতাদের সংস্থা জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) এর চেয়ারম্যান ম্যারিন জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড মঙ্গলবার একথা জানান। তিনি বলেন, অঞ্চলটিতে আন্তর্জাতিক নৌযানগুলোর মুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতেই এই জোট গঠন করা হবে। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখনই এমন ইচ্ছা প্রকাশ করলো মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, সমপ্রতি ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সমপর্কের তীব্র অবনতি হয়েছে। ইরান নিয়ন্ত্রিত হরমুজ প্রণালিতে হামলা হয়েছে চারটি সৌদি তেলের ট্যাংকারে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হামলাগুলো চালিয়েছে ইরান। তবে ইরান ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরপরই অঞ্চলটিতে অতিরিক্ত সেনা ও রণতরী মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। এর কয়েকদিন পরই হরমুজ প্রণালিতে একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করে ইরানি বাহিনী। প্রায় যুদ্ধ লেগে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় দুই দেশের মধ্যে। ইরানে হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়ে শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রামপ। এ ছাড়া ইরানের আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন নিয়েও দুই দেশের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব বিরাজমান রয়েছে।
জেনারেল ডানফোর্ড জানান, ইরান ও ইয়েমেনকে ঘিরে থাকা সমুদ্র অঞ্চলে সামরিক জোট গঠন করতে ওই অঞ্চলের একাধিক দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই জোটের নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রধান জাহাজ সরবরাহ করবে তারা। তবে মিত্র দেশগুলোকে নিকটবর্তী জায়গায় বন্দর তৈরি করে দিতে হবে ও সাহায্যকারী জাহাজ প্রদান করতে হবে। তাদের কাজ হবে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে হামলার হাত থেকে রক্ষা করতে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া। জোটের প্রত্যেক অংশীদারকে কতটুকু অবদান রাখতে হবে তা যুক্তরাষ্ট্রই তাদের সক্ষমতা বিবেচনায় ঠিক করে দেবে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বাণিজ্য রপ্তানির জন্য, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে পশ্চিমা দেশগুলোয় তেল রপ্তানির অন্যতম পথ হচ্ছে হরমুজ প্রণালি। এর বেশির ভাগ অংশই ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে ইরানের বিরুদ্ধে অঞ্চলটিতে আধিপত্য বিস্তার হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ডানফোর্ড জানান, ওই অঞ্চলের গুটিকয়েক পক্ষ সম্মত হলেই আমরা একটি ছোট আকারের জোট গঠন করতে পারবো। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তার সমপ্রসারণ হতে পারে।
খবরে বলা হয়, সমপ্রতি ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সমপর্কের তীব্র অবনতি হয়েছে। ইরান নিয়ন্ত্রিত হরমুজ প্রণালিতে হামলা হয়েছে চারটি সৌদি তেলের ট্যাংকারে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, হামলাগুলো চালিয়েছে ইরান। তবে ইরান ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরপরই অঞ্চলটিতে অতিরিক্ত সেনা ও রণতরী মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। এর কয়েকদিন পরই হরমুজ প্রণালিতে একটি মার্কিন ড্রোন ভূপাতিত করে ইরানি বাহিনী। প্রায় যুদ্ধ লেগে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় দুই দেশের মধ্যে। ইরানে হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়ে শেষ মুহূর্তে বাতিল করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রামপ। এ ছাড়া ইরানের আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন নিয়েও দুই দেশের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব বিরাজমান রয়েছে।
জেনারেল ডানফোর্ড জানান, ইরান ও ইয়েমেনকে ঘিরে থাকা সমুদ্র অঞ্চলে সামরিক জোট গঠন করতে ওই অঞ্চলের একাধিক দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই জোটের নেতৃত্ব দেবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রধান জাহাজ সরবরাহ করবে তারা। তবে মিত্র দেশগুলোকে নিকটবর্তী জায়গায় বন্দর তৈরি করে দিতে হবে ও সাহায্যকারী জাহাজ প্রদান করতে হবে। তাদের কাজ হবে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে হামলার হাত থেকে রক্ষা করতে নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া। জোটের প্রত্যেক অংশীদারকে কতটুকু অবদান রাখতে হবে তা যুক্তরাষ্ট্রই তাদের সক্ষমতা বিবেচনায় ঠিক করে দেবে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের বাণিজ্য রপ্তানির জন্য, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে পশ্চিমা দেশগুলোয় তেল রপ্তানির অন্যতম পথ হচ্ছে হরমুজ প্রণালি। এর বেশির ভাগ অংশই ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে ইরানের বিরুদ্ধে অঞ্চলটিতে আধিপত্য বিস্তার হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ডানফোর্ড জানান, ওই অঞ্চলের গুটিকয়েক পক্ষ সম্মত হলেই আমরা একটি ছোট আকারের জোট গঠন করতে পারবো। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তার সমপ্রসারণ হতে পারে।