বাংলারজমিন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রী ও স্বামী খুন
একজনের ফাঁসি ৩ জনের যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
১১ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:২০ পূর্বাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলাদা দু’টি হত্যা মামলার রায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৩ জনের যাবজ্জীবন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম চাঞ্চল্যকর এই দুই হত্যা মামলার রায় প্রদান করেন। এরমধ্যে স্ত্রী কামরুন্নাহার তূর্ণা হত্যা মামলায় তার স্বামী আরিফুল হক রনিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রনি পলাতক। অন্য মামলার রায়ে বাঞ্ছারামপুরের মো. রিপন মিয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ আসামিকে যাবজ্জীবন দেয়া হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। আশুগঞ্জের চরচারতলায় ২০১৭ সালের ২৪শে এপ্রিল তূর্ণা হত্যার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে তূর্ণার পিতা মফিজুল হক বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। এই মামলায় তূর্ণার স্বামী রনিকে একমাত্র আসামি করা হয়। ২০১২ সালে রনির সঙ্গে বিয়ে হয় তূর্ণার। মাদক সেবনসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। এজন্য বিভিন্ন সময় রনি তাকে মারধর করতো। ২০১৭ সালের ২৪শে এপ্রিল তূর্ণাকে হত্যা করে বাড়ির পরিত্যক্ত পানির টাঙ্কিতে লাশ লুকিয়ে রাখে রনি। অন্যদিকে বাঞ্ছারামপুরের রূপসদী ইউনিয়নের পশ্চিম কান্দাপাড়ার মো. রিপন মিয়া খুন হন স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এই হত্যা মামলায় একই ইউনিয়নের বেলানগর গ্রামের ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া, বাতেন মিয়ার ছেলে মো. কবির মিয়া ও কাজী মোস্তফার ছেলে মো. হাবিব মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এই হত্যা মামলার আসামি রিপনের স্ত্রী আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেয়া হয়। আমেনা বেগমের পরকীয়া প্রেমে জড়িত থাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে আসামিরা রিপনকে হত্যা করে লাশ মাটির নিচে পুঁতে রাখে। এ হত্যা ঘটনায় রিপনের ভাই বারু মিয়া রিপনের স্ত্রীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরমধ্যে আসামি শিপন, কবির ও হাবিব পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।