এক্সক্লুসিভ
ছয় মাসে রেলপথে ২০২ দুর্ঘটনা, নিহত ২০৯
স্টাফ রিপোর্টার
১১ জুলাই ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:০৫ পূর্বাহ্ন
গত ছয় মাসে রেলপথে ২০২টি দুর্ঘটনায় ২০৯ জন নিহত ও ১৪৬ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪৭ নারী ও ২১ শিশু রয়েছে। চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব প্রাণঘাতীর ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং এন্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসি আরএফ) জরিপ ও পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২২টি বাংলা ও ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং আটটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে ৩৯টি দুর্ঘটনায় ১০ নারী ও ৪ শিশুসহ ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং আটজন আহত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ৪৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হয়েছে যথাক্রমে ৪৩ জন ও ২২ জন। নিহতের তালিকায় ১০ নারী ও ৪ শিশু রয়েছে। মার্চে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৬ নারী ও ৪ শিশুসহ ৩৮ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছে। এপ্রিলে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৩টি। এতে ২৬ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪ নারী ও ৩ শিশু রয়েছে। মে মাসে ৩০টি দুর্ঘটনায় ৮ নারী ও ৩ শিশুসহ ৩০ জন নিহত হয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছে ৩ জন। জুনে দুর্ঘটনার সংখ্যা ২৯। এতে ৩৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা যথাক্রমে ৯ ও ৩। এসসিআরএফ সভাপতি আশীষ কুমার দে বলেন, গত ছয় মাসে সড়কের তুলনায় রেলপথে দুর্ঘটনার হার খুবই কম। তাদের পর্যবেক্ষণে এসব দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির পেছনে পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো: দূরপাল্লার ট্রেনগুলোর চালকদের অসতর্কতা, কিছুসংখ্যক রেলসেতুসহ অনেক স্থানে রেলপথ দীর্ঘদিন সংস্কার না করা , রেলপথ ক্রসিংগুলোর (সড়ক ও রেলপথের সংযোগ স্থল) কর্মচারিদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি, মোবাইল ফোনে আলাপরত অবস্থায় রেলপথ পারাপার এবং রেলপথ সংলগ্ন এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারীদের সচেতনতার অভাব।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে ৩৯টি দুর্ঘটনায় ১০ নারী ও ৪ শিশুসহ ৩৯ জনের প্রাণহানি এবং আটজন আহত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ৪৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হয়েছে যথাক্রমে ৪৩ জন ও ২২ জন। নিহতের তালিকায় ১০ নারী ও ৪ শিশু রয়েছে। মার্চে ৩৫টি দুর্ঘটনায় ৬ নারী ও ৪ শিশুসহ ৩৮ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছে। এপ্রিলে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৩টি। এতে ২৬ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪ নারী ও ৩ শিশু রয়েছে। মে মাসে ৩০টি দুর্ঘটনায় ৮ নারী ও ৩ শিশুসহ ৩০ জন নিহত হয়েছে। এ সময়ে আহত হয়েছে ৩ জন। জুনে দুর্ঘটনার সংখ্যা ২৯। এতে ৩৩ জন নিহত ও ১০০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা যথাক্রমে ৯ ও ৩। এসসিআরএফ সভাপতি আশীষ কুমার দে বলেন, গত ছয় মাসে সড়কের তুলনায় রেলপথে দুর্ঘটনার হার খুবই কম। তাদের পর্যবেক্ষণে এসব দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির পেছনে পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো: দূরপাল্লার ট্রেনগুলোর চালকদের অসতর্কতা, কিছুসংখ্যক রেলসেতুসহ অনেক স্থানে রেলপথ দীর্ঘদিন সংস্কার না করা , রেলপথ ক্রসিংগুলোর (সড়ক ও রেলপথের সংযোগ স্থল) কর্মচারিদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি, মোবাইল ফোনে আলাপরত অবস্থায় রেলপথ পারাপার এবং রেলপথ সংলগ্ন এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারীদের সচেতনতার অভাব।