দেশ বিদেশ
শিশু ডিপজল হত্যা
মামলার সব আসামি হাইকোর্টে খালাস
স্টাফ রিপোর্টার
১০ জুলাই ২০১৯, বুধবার, ৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে দেড় বছরের শিশু ডিপজলকে পানিতে ফেলে হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকেই খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি নিয়ে এই রায় দেন। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ ও আইনজীবী সাইফুর রহমান রাহি। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমএ মান্নান মোহন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম। খালাস পাওয়া তিন আসামি হলো শিশুর মা লতিফা বেগম এবং একই উপজেলার নগরকান্দি গ্রামের প্রতিবেশি আয়েন উদ্দিন মোল্যার ছেলে মনির মোল্যা ও লুৎফর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগম। আসামি মনির ও নাজমা ভাই-বোন। ডেপুটি অ্যাটনি জেনারেল এমএ মান্নান মোহন বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্যে গরমিল থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ডেথ রেফারেন্স রিজেক্ট করা হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হবে। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফরিদ বলেন, চাক্ষুষ সাক্ষী না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে আসামিরা খালাস পেয়েছেন।
নথি থেকে জানা যায়, লতিফা বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী মনির মোল্যার সঙ্গে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে ঝগড়ার পর স্ত্রী লতিফা বেগমকে মারধর করেন ইকু বিশ্বাস। পরকিয়ায় বাধা ও মারপিটের ঘটনায় আসামিরা ইকু বিশ্বাসের ওপর ক্ষিপ্ত হন। ২০০৫ সালের ১২ই এপ্রিল ভোরে ডিপজল নিখোঁজ হন। পরদিন বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে শিশু ডিপজলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই মোল্লাহাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই বছরের ২৯শে অক্টোবর মনির মোল্যা ও নাজমা বেগমকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা করেন ইকু বিশ্বাস। তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ১০ই মে এজাহারভুক্ত দুই আসামি ও শিশুটির মা লতিফা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। দীর্ঘ আট বছর বিচার চলার পর ২০১৪ সালের ২১শে এপ্রিল বাগেরহাটের দায়রা জজ আদালত মোল্লাহাট উপজেলার নগরকান্দি গ্রামের ইকু বিশ্বাসের স্ত্রী ও শিশু ডিপজলের মা লতিফা বেগম, একই গ্রামের আয়েন উদ্দিন মোল্যার ছেলে মনির মোল্যা ও লুৎফর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগমকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। পরে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে বিষয়টি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন। এরপর গতকাল হাইকোর্ট আসামিদের আপিল গ্রহণ ও ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে এই রায় দেন।
নথি থেকে জানা যায়, লতিফা বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী মনির মোল্যার সঙ্গে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে ঝগড়ার পর স্ত্রী লতিফা বেগমকে মারধর করেন ইকু বিশ্বাস। পরকিয়ায় বাধা ও মারপিটের ঘটনায় আসামিরা ইকু বিশ্বাসের ওপর ক্ষিপ্ত হন। ২০০৫ সালের ১২ই এপ্রিল ভোরে ডিপজল নিখোঁজ হন। পরদিন বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে শিশু ডিপজলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই মোল্লাহাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই বছরের ২৯শে অক্টোবর মনির মোল্যা ও নাজমা বেগমকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা করেন ইকু বিশ্বাস। তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ১০ই মে এজাহারভুক্ত দুই আসামি ও শিশুটির মা লতিফা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। দীর্ঘ আট বছর বিচার চলার পর ২০১৪ সালের ২১শে এপ্রিল বাগেরহাটের দায়রা জজ আদালত মোল্লাহাট উপজেলার নগরকান্দি গ্রামের ইকু বিশ্বাসের স্ত্রী ও শিশু ডিপজলের মা লতিফা বেগম, একই গ্রামের আয়েন উদ্দিন মোল্যার ছেলে মনির মোল্যা ও লুৎফর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগমকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। পরে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে বিষয়টি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন। এরপর গতকাল হাইকোর্ট আসামিদের আপিল গ্রহণ ও ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে এই রায় দেন।