বাংলারজমিন
ডুমুরিয়ায় ‘কাবিখা’র নামে হরিলুট
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১০ জুলাই ২০১৯, বুধবার, ৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে একটি মাটির রাস্তা উন্নয়নে ‘কাবিখা’র বরাদ্দকৃত ৮ টন চালের ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কাজে হরিলুট হয়েছে। টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে কমিটির মধ্যে চলছে চাপা উত্তেজনা। ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নে বয়ারসিং ব্রিজ থেকে দিরাজ সরদারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ‘কাবিখা’ থেকে ৮ টন চাল বরাদ্দ করা হয়। কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য স্থানীয় ইউপি মেম্বার অসীম কুমার বিশ্বাসকে সভাপতি করে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে ২ টন চালের ডিও নিয়ে মাটির কাজ শুরু হয়। প্রথমদিকে রাস্তার পাশের জায়গার মাটি দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও পরে মাছের ঘেরের পানি শুকিয়ে মাটি নেয়ার কথা বলা হয়। এলাকার লোকজন জানান, কাজ চলাকালে উপজেলার পিআইও কখনই কাজ পরিদর্শন করতে আসেননি। অথচ বিলের ক্ষেত্রে পিআইওকে ম্যানেজ করে কাগজে-কলমে কাজ দেখিয়ে বাকি ৬ টন চালের ডিও নিয়ে চাল উত্তোলন করেন উক্ত কমিটি। অপর একটি সূত্র জানায়, রাস্তা উন্নয়নের জন্য ২-৪ দিনে যে কাজ হয়েছে তাতে ব্যয় হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।
আবার কারও মতে, অফিসের বিভিন্ন উৎকোচ ও আনুষঙ্গিক দিয়ে একটু বেশি খরচ হয়েছে। তারপরও প্রতি টন চালের দাম ৩০ হাজার টাকা হিসেবে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার সিংহভাগই হরিলুট হয়েছে। টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকার মনোরঞ্জন মণ্ডল, শম্ভু মণ্ডল, শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, আমরা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে ঘের শুকিয়ে মাটি দেয়ার ব্যবস্থা করি। প্রকল্প সভাপতি অসীম কুমার বিশ্বাস লেবার সর্দারের কাজের টাকা না দেয়ায় তারা কাজ বন্ধ করে রাখে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন বলেন, আমি কাজ দেখে বিল দিয়েছি।
আবার কারও মতে, অফিসের বিভিন্ন উৎকোচ ও আনুষঙ্গিক দিয়ে একটু বেশি খরচ হয়েছে। তারপরও প্রতি টন চালের দাম ৩০ হাজার টাকা হিসেবে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকার সিংহভাগই হরিলুট হয়েছে। টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকার মনোরঞ্জন মণ্ডল, শম্ভু মণ্ডল, শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল জানান, আমরা স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে ঘের শুকিয়ে মাটি দেয়ার ব্যবস্থা করি। প্রকল্প সভাপতি অসীম কুমার বিশ্বাস লেবার সর্দারের কাজের টাকা না দেয়ায় তারা কাজ বন্ধ করে রাখে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন বলেন, আমি কাজ দেখে বিল দিয়েছি।