বাংলারজমিন
রাবি ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৭ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
রাবি প্রতিনিধি
১০ জুলাই ২০১৯, বুধবার, ৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়াসহ শাখা ছাত্রলীগের ৭ নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও লিচু চুরির মামলা করা হয়েছে। গত ১৫ই মে নগরীর হেতেম খাঁ এলাকার আব্দুল্লাহ ইবনে মনোয়ার বাদী হয়ে রাজশাহী সিএমএম আদালতে এই মামলা করেন। আগামী ১৬ই জুলাই আসামিদের আদালতে হাজিরার জন্য ডাকা হয়েছে। বাদী পক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান বাদশা গত মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদ্দাম হোসেন, আইন বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আলী, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কানন, উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান আশিক ও কর্মী মেহেদী হাসান বিজয়। এ ছাড়াও বহিরাগত আকাশ নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে। যিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে থাকেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার আসামিরা দুর্দান্ত চাঁদাবাজ, দাঙ্গাবাজ, পরধন লোভী। আসামিরা সমাজে এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যে তারা করতে পারে না। বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ গোদাগাড়ী বাগানের আম ও লিচু চলতি মৌসুমসহ (২০১৯-২০) এই দুই মৌসুমের আম ও লিচু ১৫১৯৯৯.১০ টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নিকট হতে লিজ গ্রহণ করে। বর্তমান সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। লিজ সময় অতিক্রান্ত হওয়াকালীন উপরোক্ত নামীয় আসামিরাসহ আরো ১৫/২০ জন গত ০৭/০৫/১৯ তারিখ রাতে আনুমানিক ৮টায় গোদাগাড়ী বাগানে অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রসহ মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে বাদীর কাছ থেকে ২,০০,০০০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় বাদীর সঙ্গে সাক্ষীরাও থাকায় আসামিরা কোনো অঘটন ঘটাতে না পেরে উপরোক্ত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জন আসামি বাদীকে হুমকি দেয়। তারা বাদীকে দুই দিনের মধ্যে দুই লাখ টাকা পৌঁছে দিতে বলেন। না হলে বাদীকে বাগান থেকে আম ও লিচু না পাড়তে দেয়ার হুমকি দেয়। অবশেষে ঘটনার দিন ০৯/০৫/১৯ তারিখ বেলা ৪টায় উপরোক্ত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন মিলে বাগানের লিচু পাড়তে থাকে।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বাগানের পাহারাদার লিচু পাড়তে নিষেধ করলে ১নং আসামি গোলাম কিবরিয়া বাদীকে কিল ঘুষি মারে এবং মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে বাগান হতে দূরে সরে যেতে বলে। আসামিরা সকলে মিলে বাগানে প্রায় ১৫০০০০ টাকার লিচু চুরি করে। বাগানের পাহারাদার কিছু দূরে গিয়ে মোবাইল ফোনে বাদীকে ঘটনাটি জানালে আসামিরা চুরিকরা লিচুসহ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আসামিরা এখনো চাঁদার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এতে বাদীর জীবন হুমকির মুখে রয়েছে। উপরোক্ত ঘটনা ঘটিয়ে আসামীরা দ:বি: ৩২৩/৩৭৯/৩৮৫/৩৮৭/৫০৬(২)/৩৪ ধারার অপরাধ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, এই মামলা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রলীগকে হেয় প্রতিপন্ন কারার জন্য এ মামলা করা হয়েছে। লিচু পাড়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৯ই মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই বাগানে লিচু পাড়ে। সে সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। তবে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত থাকতে পারেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ই মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের পেছনে গোদাগাড়ী বাগানে আট ছাত্রলীগ নেতাকর্মী লিচু খেতে গেলে তাদের মারধর করে বাগানের প্রহরীরা। এতে ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কাননের দুই হাত ভেঙে যায় এবং উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদি হাসানের পায়ে গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনার জেরে ৯ই মে বিকালে ২০-৩০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ওই বাগান থেকে লিচু পেড়ে নেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার আসামিরা দুর্দান্ত চাঁদাবাজ, দাঙ্গাবাজ, পরধন লোভী। আসামিরা সমাজে এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যে তারা করতে পারে না। বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ গোদাগাড়ী বাগানের আম ও লিচু চলতি মৌসুমসহ (২০১৯-২০) এই দুই মৌসুমের আম ও লিচু ১৫১৯৯৯.১০ টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নিকট হতে লিজ গ্রহণ করে। বর্তমান সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। লিজ সময় অতিক্রান্ত হওয়াকালীন উপরোক্ত নামীয় আসামিরাসহ আরো ১৫/২০ জন গত ০৭/০৫/১৯ তারিখ রাতে আনুমানিক ৮টায় গোদাগাড়ী বাগানে অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রসহ মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে বাদীর কাছ থেকে ২,০০,০০০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় বাদীর সঙ্গে সাক্ষীরাও থাকায় আসামিরা কোনো অঘটন ঘটাতে না পেরে উপরোক্ত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জন আসামি বাদীকে হুমকি দেয়। তারা বাদীকে দুই দিনের মধ্যে দুই লাখ টাকা পৌঁছে দিতে বলেন। না হলে বাদীকে বাগান থেকে আম ও লিচু না পাড়তে দেয়ার হুমকি দেয়। অবশেষে ঘটনার দিন ০৯/০৫/১৯ তারিখ বেলা ৪টায় উপরোক্ত আসামিসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন মিলে বাগানের লিচু পাড়তে থাকে।
এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, বাগানের পাহারাদার লিচু পাড়তে নিষেধ করলে ১নং আসামি গোলাম কিবরিয়া বাদীকে কিল ঘুষি মারে এবং মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে বাগান হতে দূরে সরে যেতে বলে। আসামিরা সকলে মিলে বাগানে প্রায় ১৫০০০০ টাকার লিচু চুরি করে। বাগানের পাহারাদার কিছু দূরে গিয়ে মোবাইল ফোনে বাদীকে ঘটনাটি জানালে আসামিরা চুরিকরা লিচুসহ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। আসামিরা এখনো চাঁদার হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এতে বাদীর জীবন হুমকির মুখে রয়েছে। উপরোক্ত ঘটনা ঘটিয়ে আসামীরা দ:বি: ৩২৩/৩৭৯/৩৮৫/৩৮৭/৫০৬(২)/৩৪ ধারার অপরাধ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, এই মামলা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রলীগকে হেয় প্রতিপন্ন কারার জন্য এ মামলা করা হয়েছে। লিচু পাড়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৯ই মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ওই বাগানে লিচু পাড়ে। সে সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। তবে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত থাকতে পারেন।
প্রসঙ্গত, গত ৭ই মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের পেছনে গোদাগাড়ী বাগানে আট ছাত্রলীগ নেতাকর্মী লিচু খেতে গেলে তাদের মারধর করে বাগানের প্রহরীরা। এতে ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কাননের দুই হাত ভেঙে যায় এবং উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মেহেদি হাসানের পায়ে গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনার জেরে ৯ই মে বিকালে ২০-৩০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ওই বাগান থেকে লিচু পেড়ে নেন।