দেশ বিদেশ
জামিনে মুক্ত সাবেক এমপি রানা
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল থেকে
১০ জুলাই ২০১৯, বুধবার, ৮:৪০ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ ও দুই যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে টাঙ্গাইল কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা। প্রায় ৩৪ মাস কারাবাসের পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এ সময় টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্বাস আলী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসতিয়াক আহমেদ রাজীবসহ রানার অনুসারীরা উপস্থিত ছিলেন। কারাগার থেকে বের হয়ে তিনি সরাসরি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য গত ৪ঠা জুলাই আমানুর রহমান খান রানাকে টাঙ্গাইল আদালতে হাজির করা হয়। তারপর থেকে তিনি টাঙ্গাইল কারাগারে ছিলেন। গত সোমবার যুবলীগের দুই নেতা শামীম ও মামুন হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ ( ঘাটাইল ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন। গত ১৯শে জুন হাইকোর্ট এ মামলায় রানাকে স্থায়ী জামিন দেন। জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি একে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এদিকে গত ১৪ই মার্চ মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সাবেক এই এমপিকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ২৫শে মার্চ জামিন স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় আপিল বিভাগ আবেদনটির শুনানি নিয়ে ১লা এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি খারিজ করে দিলে এ মামলায় রানার জামিন বহাল থাকে। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ই জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ। এই মামলায় সাবেক এমপি রানা ছাড়াও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছে।