দেশ বিদেশ
খালেদাকে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে না দেয়ায় স্বরাষ্ট্র সচিবসহ ৫ জনকে লিগ্যাল নোটিশ
স্টাফ রিপোর্টার
১০ জুলাই ২০১৯, বুধবার, ৮:৪০ পূর্বাহ্ন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ওকালত নামায় স্বাক্ষর করার অনুমতি না দেয়ায় আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠিয়েছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। স্বরাষ্ট্র সচিব, ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ প্রধান (আইজিপি), আইজি প্রিজন ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপারিনটেনডেন্টসহ এই পাঁচজনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গতকাল রেজিস্ট্রি ডাকযোগে খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে ওকালত নামায় স্বাক্ষর করতে অনুমতি দেয়ার কথা বলেছেন। অনুমতি না দেয়া হলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ওনার (খালেদা জিয়া) কাছে আমরা ওকালত নামা পৌঁছাতে পারছি না। বার বার জমা দিয়েছি। তারপরও স্বাক্ষর করা ওকালতনামা পাচ্ছি না। গত ১৯শে জুন ওকালত নামায় বেগম জিয়ার স্বক্ষরের অনুমতি প্রদানের জন্য ডিসিকে চিঠি দিয়েছি। আইজি প্রিজনকেও চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো কাজ না হওয়ায় আজ (গতকাল) ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। তিনি বলেন, বেগম জিয়া দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে রয়েছেন। আইনগত অধিকার থেকে বার বার তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাকে ওকালত নামায় স্বাক্ষর পর্যন্ত করতে দেয়া হচ্ছে না। যেটা একজন বন্দির অধিকার। এটা তার আইনগত এবং সাংবিধানিক অধিকারও।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুটি মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান তিনি। পরবর্তীকালে হাইকোর্ট এই মামলায় তার সাজা ৫ বছরের পরিবর্তে দশ বছর করা হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন। এই দুই মামলায় মুক্তি আটকে আছে বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার। অর্থাৎ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিন হলেই খুলবে তার মুক্তির পথ। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দায়ের করা ৩৭টি মামলার মধ্যে ৩৫টি মামলায় জামিনে আছেন তিনি।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুটি মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান তিনি। পরবর্তীকালে হাইকোর্ট এই মামলায় তার সাজা ৫ বছরের পরিবর্তে দশ বছর করা হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন। এই দুই মামলায় মুক্তি আটকে আছে বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার। অর্থাৎ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিন হলেই খুলবে তার মুক্তির পথ। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দায়ের করা ৩৭টি মামলার মধ্যে ৩৫টি মামলায় জামিনে আছেন তিনি।