এক্সক্লুসিভ

বৃটিশ রাষ্ট্রদূতকে ট্রাম্পের নিন্দা মে’র সমর্থন

মানবজমিন ডেস্ক

১০ জুলাই ২০১৯, বুধবার, ৭:১৫ পূর্বাহ্ন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার পররাষ্ট্র নীতিমালা নিয়ে যতটা না সমালোচনায় থাকেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নানান বিষয়ে মন্তব্য করেও ততটাই আলোচিত হন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বৃটিশ রাষ্ট্রদূত কিম ডারোখকে নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দ্বন্দ্বে নেমেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে ওই দূতের তীব্র সমালোচনা করেছেন। অভিযোগ উঠেছে, গোপন কূটনৈতিক বার্তায় ট্রাম্পকে অযোগ্য ও অদক্ষ বলেছিলেন ডারোখ। সে খবর ফাঁস করেছে একটি গণমাধ্যম। এরপরই রেগে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। জানান, ওই রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আর কাজ করবেন না তিনি। এমনকি ছাড়েন নি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সমালোচনা করতেও। এদিকে, নিজেদের দূতের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

খবরে বলা হয়, রোববার ডারোখের কূটনৈতিক বার্তার খবর প্রকাশ হয়। সেদিন কিছু বলেন নি ট্রাম্প। তবে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মুখ খুলেছেন। বলেছেন, ওনি বৃটেনের জন্য ভালো কাজ করেন নি, এটা আপনাদের বলতে পারি। আমরাও লোকটির খুব বড় ভক্ত নই। চাইলে তার সম্পর্কে অনেক কিছুই বলতে পারি, কিন্তু তাকে নিয়ে মন্তব্য করব না।
ডারোখের খবর প্রকাশের পর টানা টুইট করে গেছেন ট্রাম্প। জানিয়েছেন, ওই দূতের সঙ্গে আর কাজ করবেন না। বাদ রাখেন নি বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করতেও। বলেছেন, ব্রেক্সিট ইস্যুটিকে জগাখিচুড়ি বানিয়ে ফেলেছেন মে।
এদিকে, বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (ডাউনিং স্ট্রিট) জানিয়েছে, কূটনৈতিক তথ্য ফাঁসের বিষয়টি দুঃখজনক। কীভাবে ওই গোপন কূটনৈতিক বার্তার সন্ধান পেলো গণমাধ্যম, সে বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বৃটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এক বিবৃতিতে ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এটা পরিষ্কার করে বলেছি যে, এই তথ্য ফাঁস হওয়াটি অত্যন্ত দুঃখজনক। যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের মধ্যে একটি বিশেষ ও মজবুত সম্পর্ক রয়েছে। ফাঁস হওয়া ওই তথ্য আমাদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ নয়।

ডাউনিং স্ট্রিট আরো জানায়, ডারোখের মন্তব্যের সঙ্গে তারা একমত পোষণ করে না। তবে তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন রয়েছে তাদের।

বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, দূত দূতের কাজ করছিলেন। যে দেশে তিনি কর্মরত, সেখানকার বিস্তারিত মূল্যায়ন ও সেদেশ সম্পর্কে তার ব্যক্তিগত মতামত জানিয়েছেন। কিন্তু সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত মত, আমারও নয়, বৃটিশ সরকারেরও নয়।

হান্ট আরো বলেন, আমরা এখনো বিশ্বাস করি, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন প্রশাসন অত্যন্ত কার্যকরী পথে এগিয়ে চলছে। আর আন্তর্জাতিক স্তরে তারা বৃটেনের পরম বন্ধু।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status