অজিদের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তিত নন ল্যাঙ্গার

উসমান খাজা ও মার্কাস স্টইনিসের ছিটকে যাওয়ায় বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে অস্ট্রেলিয়ান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার অবশ্য চিন্তিত নন। এতে ভেঙে পড়ার কোনও কারণ দেখছেন না অজি প্রধান কোচ। খাজার বদলে দলে এসেছেন ম্যাথিউ ওয়েড  আর স্টইনিসের বদলে মিচেল মার্শ। এর আগে শন মার্শের পরিবর্তে দলে এসেছেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব। এনিয়ে অজি কোচ ল্যাঙ্গার বলেন,‘ উসমান খাজা ও মার্কাস স্টইনিস নেই বলে আমি চিন্তিত নই। ম্যাথিউ ওয়েড, মিচেল মার্শরা আসার পর প্রথম একাদশ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমার হাতে এখন অনেক বেশি বিকল্প রয়েছে। মিচেল মার্শ আসায় আমরা মিডল ওভারে মিডিয়াম পেস করার জন্য একজনকে পেয়ে গেলাম। স্টইনিস এই কাজটি করত। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের হয়ে মিচেল মার্শ গত চারটি ম্যাচে বেশ ভালো পারফর্ম করেছে। হ্যান্ডসকম্বও ছন্দে আছে। দেশে এত বিকল্প খেলোয়াড় রয়েছে যে আমরা একদিক থেকে ভাগ্যবান। হ্যান্ডসকম্ব চলে আসায় স্টিভ স্মিথকে আমরা তিন নম্বরে খেলাতে পারি। সেই ক্ষেত্রে ফর্মে থাকা উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারিও ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেতে পারে। আমাদের হাতে অনেক বিকল্প।’

এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপের ভরসা টপঅর্ডার। অজিদের ব্যাটিং শক্তির ৬০ শতাংশই অজি দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ। টপঅর্ডারের ব্যাটিং নিয়ে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘আমাদের পারফর্ম্যান্স অনেকটা ভারতের মতোই। টপ অর্ডার কেন্দ্রিক। সেটা আরও শক্তপোক্ত করতে চাইছি আমরা। স্মিথকে তিন নম্বরে আনার ভাবনা-চিন্তাও আছে।’
 ৯ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে ৬৩৮ রান ওয়ার্নারের। আর ২ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটি নিয়ে ফিঞ্চের সংগ্রহ ৫০৭। দুই ওপেনার মিলে ৫ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ল্যাঙ্গার বলেন, ‘আমরা এমনভাবে ব্যাটিং লাইন আপ সাজাবো, প্রথম চার জন ব্যাটসম্যানের সকলেই সেঞ্চুরি করার ক্ষমতা থাকে।’