দেশ বিদেশ
আইসিসি: যৌন দাসত্বের অপরাধে প্রথম দোষী কঙ্গোর সাবেক বিদ্রোহী নেতা
মানবজমিন ডেস্ক
৯ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:০৩ পূর্বাহ্ন
ডিআর কঙ্গোর সাবেক বিদ্রোহী নেতা বসকো নতাগান্দাকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এ ছাড়া যৌন দাসত্বের অপরাধেও তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই প্রথম যৌন দাসত্বের অভিযোগে কোনো ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আইসিসি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। আইসিসি’র বিচারকদের উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, নতাগান্দার অনুগত বিদ্রোহী যোদ্ধারা শিশুদের অঙ্গচ্ছেদ করেছে ও তাদের মাথা থেঁতলে দিয়েছে।
নতাগান্দার নৃশংসতার জন্য তাকে ডাকা হতো ‘টার্মিনেটর’ নামে। তাকে হত্যা, ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব ও শিশু সেনা ব্যবহার সহ মোট ১৮টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে আইসিসি। তার আইনজীবী দাবি করেছেন, নতাগান্দা নিজেও শিশু সেনা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। তিনি আদতে একজন ‘ভিকটিম’।
২০১৩ সালে ডিআর কঙ্গোর মার্কিন দূতাবাসে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজের বিদ্রোহী দলে ক্ষমতা হারানোর পর নিজেকে বাঁচাতেই আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি। আইসিসি কর্তৃক চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হলেন নতাগান্দা।
প্রসঙ্গত, নতাগান্দার জন্ম রুয়ান্ডায়। তার কিশোর বয়সে তুতসিদের ওপর রুয়ান্ডায় হামলা শুরু হয়। সে সময় ডিআর কঙ্গোতে পালিয়ে যান তিনি। ১৭ বছর বয়স থেকে উভয় দেশে বিদ্রোহী ও সেনা হিসেবে যুদ্ধ শুরু করেন তিনি। ২০০৬ সাল থেকে শিশু সেনা নিয়োগ দেয়া শুরু করেন এই বিদ্রোহী। ২০০৮ সালে কিওয়ানজিতে ১৫০ জন মানুষকে হত্যা করে তার দল। ২০০৯ সালে কঙ্গোর জাতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ও জেনারেল পদে উন্নীত হন। কিন্তু ২০১২ সালে সেনাবাহিনী থেকে বের হয়ে যান ও নতুন করে বিদ্রোহ শুরু করেন। তার বিদ্রোহে ঘরছাড়া হয় ৮ লাখ মানুষ।
নতাগান্দার নৃশংসতার জন্য তাকে ডাকা হতো ‘টার্মিনেটর’ নামে। তাকে হত্যা, ধর্ষণ, যৌন দাসত্ব ও শিশু সেনা ব্যবহার সহ মোট ১৮টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছে আইসিসি। তার আইনজীবী দাবি করেছেন, নতাগান্দা নিজেও শিশু সেনা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। তিনি আদতে একজন ‘ভিকটিম’।
২০১৩ সালে ডিআর কঙ্গোর মার্কিন দূতাবাসে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজের বিদ্রোহী দলে ক্ষমতা হারানোর পর নিজেকে বাঁচাতেই আত্মসমর্পণ করেছিলেন তিনি। আইসিসি কর্তৃক চতুর্থ ব্যক্তি হিসেবে দোষী সাব্যস্ত হলেন নতাগান্দা।
প্রসঙ্গত, নতাগান্দার জন্ম রুয়ান্ডায়। তার কিশোর বয়সে তুতসিদের ওপর রুয়ান্ডায় হামলা শুরু হয়। সে সময় ডিআর কঙ্গোতে পালিয়ে যান তিনি। ১৭ বছর বয়স থেকে উভয় দেশে বিদ্রোহী ও সেনা হিসেবে যুদ্ধ শুরু করেন তিনি। ২০০৬ সাল থেকে শিশু সেনা নিয়োগ দেয়া শুরু করেন এই বিদ্রোহী। ২০০৮ সালে কিওয়ানজিতে ১৫০ জন মানুষকে হত্যা করে তার দল। ২০০৯ সালে কঙ্গোর জাতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ও জেনারেল পদে উন্নীত হন। কিন্তু ২০১২ সালে সেনাবাহিনী থেকে বের হয়ে যান ও নতুন করে বিদ্রোহ শুরু করেন। তার বিদ্রোহে ঘরছাড়া হয় ৮ লাখ মানুষ।