দেশ বিদেশ
পরকীয়ার সাজা নিয়ে হাইকোর্টের রুল
স্টাফ রিপোর্টার
৯ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের (ব্যাভিচার) সাজা সম্পর্কিত দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা কেন অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- এ মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। তিন সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়কে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক। দণ্ডবিধির এই বিধানটি চ্যালেঞ্জ করে এ রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। গত ১১ই ফেব্রুয়ারি এডভোকেট ইশরাত হাসান এই রিটটি করেন। রিটে দাবি করা হয় পরকীয়কায় যারা আসক্ত হন তারা উভয়েই সমান দোষে দোষী। কিন্তু প্রচলিত আইনটি বৈষম্যমূলক ও ভ্রান্ত। দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় বলা আছে, ‘কোন ব্যক্তি যদি অপর কোন ব্যক্তির স্ত্রী অথবা যাকে সে অন্য কোন ব্যক্তির স্ত্রী বলে জানে বা তার অনুরুপ বিশ্বাস করার কারণ আছে এমন কোন ব্যক্তির সঙ্গে উক্ত অন্য ব্যক্তির সম্মতি ও সমর্থণ ছাড়া এইরুপ যৌন সঙ্গম করে যা নারী ধর্ষণের শামিল নয়, তবে সে ব্যক্তি ব্যাভিচারের অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হবে এবং তাকে সাত বছর পর্যন্ত যে কোন মেয়াদের কারাদণ্ড সশ্রম ও বিনাশ্রম করাদণ্ডে অথবা অর্থদণ্ডে অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। তবে, একই ক্ষেত্রে স্ত্রী দুষ্কর্মের সহায়তাকারী হিসেবে গণ্য হবে না।
ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেন, দণ্ডবিধির এই ধারা অনুযায়ী কোনও স্ত্রী কারও সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে শুধু সেই ব্যক্তির শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামী কোন মামলা বা কিছুই করতে পারবে না। একইভাবে স্বামী অন্য কোনো নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে স্বামী কিংবা ওই নারীর বিরুদ্ধে স্ত্রী ব্যবস্থা নিতে পারবেন না। রিটকারী ইশরাত হাসান বলেন, এই আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটা অদ্ভূত ও বৈষম্যমূলক।
ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেন, দণ্ডবিধির এই ধারা অনুযায়ী কোনও স্ত্রী কারও সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে শুধু সেই ব্যক্তির শাস্তির বিধান রয়েছে। অথচ স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামী কোন মামলা বা কিছুই করতে পারবে না। একইভাবে স্বামী অন্য কোনো নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে স্বামী কিংবা ওই নারীর বিরুদ্ধে স্ত্রী ব্যবস্থা নিতে পারবেন না। রিটকারী ইশরাত হাসান বলেন, এই আইন সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৩২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটা অদ্ভূত ও বৈষম্যমূলক।