খেলা
নিউজিল্যান্ডের ‘আন্ডারডগ’ তকমাই ভালো
স্পোর্টস রিপোর্টার
৯ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
তারা গতবারের রানার্সআপ। এবারো উঠেছে সেমিফাইনালে। তবুও ম্যানচেস্টারে আজ ভারতের বিপক্ষে ‘আন্ডারডগ’ নিউজিল্যান্ড। কিউইদের কোচ গ্যারি স্টিড অবশ্য মনে করেন, আন্ডারডগ তকমা তাদের জন্য মঙ্গলজনক। গতকাল সংবাদ-সম্মেলনে স্টিড বলেন, ‘আমরা জিতবো- মানুষজন এটা প্রত্যাশা করে না। তবে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে এটা ভালো ব্যাপার। কারণ আমরা বেশ চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারবো।’ বিশ্বকাপ আসরে ওল্ট ট্র্যাফোর্ড স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারত-নিউজিল্যান্ড। এ ভেন্যুতে প্রথমবার তারা লড়েছিল ১৯৭৫ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে। ম্যাচটিতে কিউইরা জিতেছিল ৪ উইকেটে।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড ভালো নয়। অতীতে ৭ সেমিফাইনালের ৬টিতেই হেরেছে তারা। তবে গত আসরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শেষ চারের ব্যর্থতাটা ঘুচাতে পেরেছে কেন উইলিয়ামসনের দল। আর স্টিড বললেন, ‘সেমিতে আমাদের হার না মানা মানসিকতা দেখতে পাবেন। প্রয়োজনীয় মূহূর্তে আমরা মাথা তুলে দাঁড়াবো। আর এখন তো কোনো দ্বিতীয় সুযোগ নেই। আছে কি?’ অনেকটা ভাগ্যের জোরেই এবার শেষ চারে জায়গা পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। এক সময় পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে থাকলেও শেষ ৩ ম্যাচ হেরে নিচে নেমে যায় দলটি। পাকিস্তানের সঙ্গে সমান ১১ পয়েন্ট থাকার পরও নেট রানরেটে এগিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পায় উইলিয়ামসনের দল।
ভারতকে ‘সাহসী’ ক্রিকেট খেলতে বলছেন কোহলি
রাউন্ড রবিন লীগে ৯ ম্যাচে কেবল একটিতে হেরেছে ভারত (একটি পরিত্যক্ত)। সেরা দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। তবে ভারত দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি নিজেদের ফেবারিট ভাবছেন না। কোহলি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড গতবারের ফাইনালিস্ট এবং তারা জানে কীভাবে নকআউট পর্বের ম্যাচ খেলতে হয়। আমার মনে হয়, সেমিফাইনালে যে দল বেশি সাহসী থাকবে, চাপ সামলে খেলে যেতে পারবে, তারাই জিতবে।’
ওয়ানডেতে মুখোমুখি পরিসংখ্যানে খুব বেশি তফাৎ নেই ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে। ভারতের ৫৫ জয়ের বিপরীতে কিউইদের জয় ৪৫টি। তবে বিশ্বকাপে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। ১৯৭৫-২০০৩ পর্যন্ত ৮ বার মুখোমুখি হয় দু’দল। নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৪ ম্যাচ ভারতের জয় ৩টি, একটি পরিত্যক্ত। ইংল্যান্ডের মাটিতে কখনো কিউইদের হারাতে পারেনি ভারত। তবে সর্বশেষ সাক্ষাতে জয় পায় ম্যান ইন ব্লু’রা।
বিশ্বকাপের আগের ৭ ম্যাচের ফল
১৯৭৫ (গ্রুপ পর্ব)
ভেন্যু: ওল্ড ট্র্যাফোর্ড (ম্যানচেস্টার)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী।
১৯৭৯ (গ্রুপ পর্ব)
ভেন্যু: হেডিংলি (লিডস)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
১৯৮৭ (গ্রুপ পর্ব, প্রথম লেগ)
ভেন্যু: চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম (ব্যাঙ্গালোর)
ফল: ভারত ১৬ রানে জয়ী।
১৯৮৭ (গ্রুপ পর্ব, দ্বিতীয় লেগ)
ভেন্যু: বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড (নাগপুর)
ফল: ভারত ৯ উইকেটে জয়ী।
১৯৯২ (রাউন্ড রবীন লীগ)
ভেন্যু: ক্যারিসব্রুক (ডানেডিন)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী।
১৯৯৯ (সুপার সিক্স)
ভেন্যু: ট্রেন্ট ব্রিজ (নটিংহ্যাম)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।
২০০৩ (সুপার সিক্স)
ভেন্যু: সেঞ্চুরিয়ন পার্ক (সেঞ্চুরিয়ন)
ফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী।
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড ভালো নয়। অতীতে ৭ সেমিফাইনালের ৬টিতেই হেরেছে তারা। তবে গত আসরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে শেষ চারের ব্যর্থতাটা ঘুচাতে পেরেছে কেন উইলিয়ামসনের দল। আর স্টিড বললেন, ‘সেমিতে আমাদের হার না মানা মানসিকতা দেখতে পাবেন। প্রয়োজনীয় মূহূর্তে আমরা মাথা তুলে দাঁড়াবো। আর এখন তো কোনো দ্বিতীয় সুযোগ নেই। আছে কি?’ অনেকটা ভাগ্যের জোরেই এবার শেষ চারে জায়গা পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। এক সময় পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে থাকলেও শেষ ৩ ম্যাচ হেরে নিচে নেমে যায় দলটি। পাকিস্তানের সঙ্গে সমান ১১ পয়েন্ট থাকার পরও নেট রানরেটে এগিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পায় উইলিয়ামসনের দল।
ভারতকে ‘সাহসী’ ক্রিকেট খেলতে বলছেন কোহলি
রাউন্ড রবিন লীগে ৯ ম্যাচে কেবল একটিতে হেরেছে ভারত (একটি পরিত্যক্ত)। সেরা দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। তবে ভারত দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি নিজেদের ফেবারিট ভাবছেন না। কোহলি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড গতবারের ফাইনালিস্ট এবং তারা জানে কীভাবে নকআউট পর্বের ম্যাচ খেলতে হয়। আমার মনে হয়, সেমিফাইনালে যে দল বেশি সাহসী থাকবে, চাপ সামলে খেলে যেতে পারবে, তারাই জিতবে।’
ওয়ানডেতে মুখোমুখি পরিসংখ্যানে খুব বেশি তফাৎ নেই ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে। ভারতের ৫৫ জয়ের বিপরীতে কিউইদের জয় ৪৫টি। তবে বিশ্বকাপে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড। ১৯৭৫-২০০৩ পর্যন্ত ৮ বার মুখোমুখি হয় দু’দল। নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৪ ম্যাচ ভারতের জয় ৩টি, একটি পরিত্যক্ত। ইংল্যান্ডের মাটিতে কখনো কিউইদের হারাতে পারেনি ভারত। তবে সর্বশেষ সাক্ষাতে জয় পায় ম্যান ইন ব্লু’রা।
বিশ্বকাপের আগের ৭ ম্যাচের ফল
১৯৭৫ (গ্রুপ পর্ব)
ভেন্যু: ওল্ড ট্র্যাফোর্ড (ম্যানচেস্টার)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী।
১৯৭৯ (গ্রুপ পর্ব)
ভেন্যু: হেডিংলি (লিডস)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।
১৯৮৭ (গ্রুপ পর্ব, প্রথম লেগ)
ভেন্যু: চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম (ব্যাঙ্গালোর)
ফল: ভারত ১৬ রানে জয়ী।
১৯৮৭ (গ্রুপ পর্ব, দ্বিতীয় লেগ)
ভেন্যু: বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ড (নাগপুর)
ফল: ভারত ৯ উইকেটে জয়ী।
১৯৯২ (রাউন্ড রবীন লীগ)
ভেন্যু: ক্যারিসব্রুক (ডানেডিন)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী।
১৯৯৯ (সুপার সিক্স)
ভেন্যু: ট্রেন্ট ব্রিজ (নটিংহ্যাম)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।
২০০৩ (সুপার সিক্স)
ভেন্যু: সেঞ্চুরিয়ন পার্ক (সেঞ্চুরিয়ন)
ফল: ভারত ৭ উইকেটে জয়ী।