দেশ বিদেশ
‘ছেলেধরা’ আতঙ্কে চট্টগ্রাম প্রশাসন বলছে গুজব
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
৯ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন
গাঁও-গ্রামে এক সময় ছেলে ধরার ভয় দেখিয়ে শিশুদের ঘুম পাড়াতো মায়েরা। আর এখন সেই ভয় মা-বাবাদের চোখে-মুখে ভর করেছে চট্টগ্রামজুড়ে। গত কয়েকদিন ধরে ছেলেধরা আতঙ্কে শিশুদের স্কুলে পর্যন্ত যেতে দিচ্ছে না মা-বাবারা।
অথচ এটিকে গুজব বলছে প্রশাসন। চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কামরুজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, এটি নিছক একটি গুজব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল কৌশলে এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ চট্টগ্রাম মহানগর থেকে জেলার কোথাও এ ধরনের অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা ঘটেনি। গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের ফেসবুক আইডির প্রতি বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। গুজব ছড়ানোয় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কয়েকটি আইডি থেকে গত কয়েকদিন ধরে ছেলে অপহরণ বা নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে বিশেষ সাবধান বাণী প্রচার করে স্ট্যাটাস দেয়া হচ্ছে। যেখানে ছেলে ধরার কোনো কথা উল্লেখ করা না হলেও শিশু অপহরণের বিষয়ে শুনেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। ফলে, ছেলে ধরার বিষয়টি মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে ছেলে ধরার বিষয়ে এক মুঠোফোন থেকে আরেক মুঠোফোনে সরাসরি মেসেজ দেয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে। এতে পদ্মা সেতু তৈরি করতে এক লাখ শিশুর মাথা লাগবে। এ জন্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু শিশু নিখোঁজ রয়েছে। কাজেই আপনার বাচ্চাকে ঘর থেকে বের হতে দেবেন না। স্কুল, মাদ্রাসা, খেলার মাঠ কোথাও না। ছেলেধরা চক্র এলাকায় ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং শিশুদের অপহরণ করে নিয়ে হত্যা করে মাথা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এমন কথা লেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আপনি মুসলমান হলে মেসেজটি আরো ১০ জনের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার অনুরোধও করা হচ্ছে।
এমন বিচিত্র কিছু ক্ষুদে বার্তায় চট্টগ্রাম মহানগর থেকে জেলা- উপজেলাসমূহের বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামের শিশু ও অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগরীর কাপাসগোলা এলাকার বাসিন্দা জয়নব বেগম বলেন, ছেলেধরা আতঙ্কে শিশুরা বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে। অপরিচিত লোক দেখলেই ভয়ে দৌড়ে বাসায় ছুটে আসছে। স্থানীয় লোকজনও অপরিচিত লোকদের ধরে পরিচয় জানতে চাইছে। ছেলেধরা মনে করে দু’জনকে পিটুনিও দিয়েছে। ছেলেধরা আতঙ্ক নিয়ে কথা হয় নগরীর চান্দগাঁও থানার সমশেরপাড়া এলাকার পারভীন আকতার নামে এক গৃহবধূর সঙ্গে। তার ছয় বছরের মেয়ে মীম পড়েন পাশের একটি কিন্ডারগার্টেনে। তবে গত কয়েকদিন যাবৎ ছেলে ধরার কথা শুনে ভয়ে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন না তিনি। আতঙ্কিত এই গৃহবধূ বলেন, কি করবো ভাই বলতে পারছি না। সব জায়গায় নাকি ছেলেধরা নেমেছে। বাচ্চাদের মাথা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তাই মেয়েকে স্কুলে পাঠাচ্ছি না। তবে নগরীর ১৬ থানার কয়েকটি থানায় এ বিষয়ে জানতে চেয়েও কোনো সত্যতা মেলেনি। থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসাররা বলছেন, শিশু অপহরণ, নিখোঁজ বা হারানোর অস্বাভাবিক কোনো তথ্য তাদের হাতে নেই। এ ধরনের কোনো অভিযোগ বা জিডি করার জন্যও থানায় কেউ আসেনি। এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছেলে ধরার কোনো সত্যতা নেই। এ ধরনের ঘটনা কোথাও ঘটেনি। অসাধু কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলেধরা বলে গুজব ছড়াচ্ছে। এতে কোনো রকম আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
অথচ এটিকে গুজব বলছে প্রশাসন। চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কামরুজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, এটি নিছক একটি গুজব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল কৌশলে এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ চট্টগ্রাম মহানগর থেকে জেলার কোথাও এ ধরনের অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা ঘটেনি। গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের ফেসবুক আইডির প্রতি বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। গুজব ছড়ানোয় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কয়েকটি আইডি থেকে গত কয়েকদিন ধরে ছেলে অপহরণ বা নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে বিশেষ সাবধান বাণী প্রচার করে স্ট্যাটাস দেয়া হচ্ছে। যেখানে ছেলে ধরার কোনো কথা উল্লেখ করা না হলেও শিশু অপহরণের বিষয়ে শুনেছেন বলে উল্লেখ করা হয়। ফলে, ছেলে ধরার বিষয়টি মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে ছেলে ধরার বিষয়ে এক মুঠোফোন থেকে আরেক মুঠোফোনে সরাসরি মেসেজ দেয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে। এতে পদ্মা সেতু তৈরি করতে এক লাখ শিশুর মাথা লাগবে। এ জন্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু শিশু নিখোঁজ রয়েছে। কাজেই আপনার বাচ্চাকে ঘর থেকে বের হতে দেবেন না। স্কুল, মাদ্রাসা, খেলার মাঠ কোথাও না। ছেলেধরা চক্র এলাকায় ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং শিশুদের অপহরণ করে নিয়ে হত্যা করে মাথা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এমন কথা লেখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আপনি মুসলমান হলে মেসেজটি আরো ১০ জনের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার অনুরোধও করা হচ্ছে।
এমন বিচিত্র কিছু ক্ষুদে বার্তায় চট্টগ্রাম মহানগর থেকে জেলা- উপজেলাসমূহের বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামের শিশু ও অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগরীর কাপাসগোলা এলাকার বাসিন্দা জয়নব বেগম বলেন, ছেলেধরা আতঙ্কে শিশুরা বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে। অপরিচিত লোক দেখলেই ভয়ে দৌড়ে বাসায় ছুটে আসছে। স্থানীয় লোকজনও অপরিচিত লোকদের ধরে পরিচয় জানতে চাইছে। ছেলেধরা মনে করে দু’জনকে পিটুনিও দিয়েছে। ছেলেধরা আতঙ্ক নিয়ে কথা হয় নগরীর চান্দগাঁও থানার সমশেরপাড়া এলাকার পারভীন আকতার নামে এক গৃহবধূর সঙ্গে। তার ছয় বছরের মেয়ে মীম পড়েন পাশের একটি কিন্ডারগার্টেনে। তবে গত কয়েকদিন যাবৎ ছেলে ধরার কথা শুনে ভয়ে বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন না তিনি। আতঙ্কিত এই গৃহবধূ বলেন, কি করবো ভাই বলতে পারছি না। সব জায়গায় নাকি ছেলেধরা নেমেছে। বাচ্চাদের মাথা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তাই মেয়েকে স্কুলে পাঠাচ্ছি না। তবে নগরীর ১৬ থানার কয়েকটি থানায় এ বিষয়ে জানতে চেয়েও কোনো সত্যতা মেলেনি। থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসাররা বলছেন, শিশু অপহরণ, নিখোঁজ বা হারানোর অস্বাভাবিক কোনো তথ্য তাদের হাতে নেই। এ ধরনের কোনো অভিযোগ বা জিডি করার জন্যও থানায় কেউ আসেনি। এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছেলে ধরার কোনো সত্যতা নেই। এ ধরনের ঘটনা কোথাও ঘটেনি। অসাধু কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলেধরা বলে গুজব ছড়াচ্ছে। এতে কোনো রকম আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।