দেশ বিদেশ

আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পিতার

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে

৯ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:১২ পূর্বাহ্ন

অসুস্থ বড়বোনকে চিকিৎসা দিতে শেরপুর সদর হাসপাতালে গিয়ে নিজের মেয়ের মরদেহ দেখে যেন আকাশ ভেঙে পড়ে আনোয়ার জাহিদ বাবুর মাথায়। মেয়ের বেওয়ারিশ লাশ বলে হাসপাতালে ফেলে রেখে গেছে স্কুলের আয়া। তবে আনোয়ার জাহিদ বাবুর দাবি, তার মেয়েকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্কুলের পরিচালক আবু তাহা সাদী। আর এজন্য ওই নরপিশাচসহ জড়িতদের ফাঁসি চেয়েছেন তিনি। গত রোববার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিহত নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া আনুশকা আয়াত বন্ধনের (১৪) মরদেহের ময়নাতদন্ত চলাকালীন এমনটাই জানান তার পিতা আনোয়ার জাহিদ। শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলা সদরের পূর্বছনকান্দা গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার জাহিদ বাবু। তার মেয়ে আনুশকা শেরপুর সদরের ফৌজিয়া মতিন পাবলিক স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। চতুর্থ শ্রেণিতে এ স্কুলে তাকে ভর্তি করানো হয়। এ স্কুলের ছাত্রীনিবাসের দু’তলার একটি কক্ষে শেরপুর সরকারি কলেজের দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্রী রিয়ার সঙ্গে থাকতো আনুশকা। মেয়েটির বাবা আনোয়ার জাহিদ বাবু বলেন, ‘ছাত্রীনিবাস হওয়ায় সেখানে পরিচালক আবু তাহা সাদী ছাড়া আর কেউ যেতে পারতেন না। গত শনিবার সকাল ৯টার দিকে আমার স্ত্রী সাদীর ফোন থেকে আনুশকার সঙ্গে কথা বলেন।’  ‘প্রায় ৫ মিনিট মা-মেয়ের কথা হয়। কথা বলার সময় আমার মেয়ে খুবই স্বাভাবিক ছিল। তবে ওই সময় ছাত্রীনিবাসে আর কেউ ছিলেন না। ধারণা করা হচ্ছে, ওই সময়ই আমার মেয়েকে একা পেয়ে আবু তাহা সাদী ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত থাকলে আমি তারও কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে- স্কুল থেকে একজন আয়া দিয়ে আমার মেয়ের মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর ওই আয়াও সেখানে ছিল না। উপস্থিত চিকিৎসক ও পুলিশ সবারই সন্দেহ ধর্ষণের পর আমার মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই আবু তাহা সাদী, তার স্ত্রী নাজনীন মোস্তারি নূপুর ও সাদীর ভাই শিবলীকে আটক করা হয়েছে। ‘তবে কেন এবং কী কারণে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। মরদেহের ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।


   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status