দেশ বিদেশ
পানিতে মল-ব্যাকটেরিয়া: ওয়াসার ব্যাখ্যা চেয়েছে হাইকোর্ট
স্টাফ রিপোর্টার
৮ জুলাই ২০১৯, সোমবার, ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
ঢাকা ওয়াসার পানিতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ইকোলাই ও মলের জীবাণুর অস্তিত্ব পাওয়ার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৪শে জুলাইয়ের মধ্যে ওয়াসাকে প্রতিবেদন আকারে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীল আহমেদ। এর আগে গত ৩রা জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রতিবেদন দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াসার ১০টি জোনের মধ্যে চারটি মডস জোন এবং সায়েদাবাদ ও চাঁদনীঘাট থেকে সংগৃিহত আটটি নমুনা পানিতে দূষণ পেয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি। এসব এলাকার পানিতে ব্যাকটেরিয়া, উচ্চমাত্রার অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে। এ ছাড়া কিছু কিছু নমুনায় মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। পরীক্ষাটি আইসিডিডিআরবি, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে করা হয়। এলাকাগুলো হলো- পুরান ঢাকার পাতলা খান লেন, সদরঘাট, কাজীপাড়া ও সায়েদাবাদ। এসব এলাকার পানিতে ব্যাকটেরিয়া, উচ্চমাত্রার অ্যামোনিয়া পাওয়া গেছে। এছাড়া কিছু কিছু নমুনাতে মলের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ‘ওয়াসার পানি একশত ভাগ সুপেয়’ ওয়াসার এমডির এই বক্তব্যের প্রতিবাদে ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতেই সরবত বানিয়ে, তা এমডিকে খাওয়াতে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন ক্ষুব্ধ বাসিন্দা। কয়েকদিন পরেই আদালতে ওয়াসার এমডি নিজেই স্বীকার করেন, ঢাকার ৫৯ এলাকার পানি মানহীন। এর পরিপ্রেক্ষিতে পানি পরীক্ষায় উদ্যোগ নেয়া হয় আদালতের পক্ষ থেকে।
গত ২১শে মে এক আদেশে ঢাকা ওয়াসার পানির উৎস, ১০টি বিতরণ জোন, গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০টি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর ৩৪টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা আইসিডিডিআরবি, বুয়েট ও ঢাবি অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৮টি নমুনাতে দূষণের প্রমাণ মিলেছে। গত বছর ৬ই নভেম্বর হাইকোর্টের দেয়া এক নির্দেশে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং আইসিডিডিআরবির প্রতিনিধির সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন- আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মনিরুল আলম, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবিএম বদরুজ্জামান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সাবিতা রিজওয়ানা রহমান।
গত ২১শে মে এক আদেশে ঢাকা ওয়াসার পানির উৎস, ১০টি বিতরণ জোন, গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং দৈবচয়নের ভিত্তিতে ১০টি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর ৩৪টি স্থান থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে তা আইসিডিডিআরবি, বুয়েট ও ঢাবি অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৮টি নমুনাতে দূষণের প্রমাণ মিলেছে। গত বছর ৬ই নভেম্বর হাইকোর্টের দেয়া এক নির্দেশে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং আইসিডিডিআরবির প্রতিনিধির সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন- আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণাকেন্দ্র আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মনিরুল আলম, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবিএম বদরুজ্জামান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সাবিতা রিজওয়ানা রহমান।