খেলা
‘দুর্নীতির অংশ’ হবেন না বলে পদকও নেননি মেসি
স্পোর্টস ডেস্ক
৮ জুলাই ২০১৯, সোমবার, ৯:১১ পূর্বাহ্ন
কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ শেষে আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের ব্রোঞ্জ মেডেল দেয়া হয়। আর্জেন্টিনা দল পরে সেই পদক নিয়ে ছবিও তুলেছে। কিন্তু পদক নেয়ার সময় তো বটেই, দলগত ছবি তোলার সময়ও মেসি ছিলেন না। চিলিকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকায় তৃতীয় হয়েছে আর্জেন্টিনা। চিলিকে হারালেও ম্যাচটা আর্জেন্টিনার জন্য বিষাদময় হয়ে উঠেছে অধিনায়ক লিওনেল মেসির লাল কার্ড দেখার কারণে। বিতর্কিত লাল কার্ড দেখে ম্যাচের ৩৭ মিনিটেই মাঠ ছাড়েন মেসি। সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে দুটি পেনাল্টি না পাওয়া, এর ওপর গতকাল স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বিতর্কিত লাল কার্ড দেখার পর ক্ষোভের আগুন জ্বলছে মেসির ভেতর। কনমেবল তাকে বড় শাস্তি দিতে পারে জেনেও আর্জেন্টিনা অধিনায়ক ঝাঁজাল ভাষায় সমালোচনা করেছেন। এদিন মেসি মেডেল নিতেও মঞ্চে আসেননি। মঞ্চে উঠে পদক নিলে সেটি হবে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া, এমনটাই ভেবেছেন মেসি। সোজাসাপ্টা বলেছেন, ‘পদক নিতে যাইনি। কারণ আমাদের যে অসম্মান করা হয়েছে, সেটি মেনে নিতে পারিনি। তা ছাড়া এই দুর্নীতির অংশ হতে চাই না।’ শুধু মেসি নয়, ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্ডিও ব্রোঞ্জ পদক নিতে যাননি। আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে যে দুটি পেনাল্টি দাবি করেছে, তার একটির শিকার ওটামেন্ডি। কনুই মেরে তাকে পেনাল্টি বক্সে ফেলে দেয়া হয়েছিল। মেসি ও আর্জেন্টিনা খেলোয়াড়দের দাবির পরও রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে সেটি রিভিউ করে দেখেননি। আর্জেন্টিনা আরও খেপেছে এ কারণে, স্থান নির্ধারণী ম্যাচে চিলিকে রেফারি ভারের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দিয়েছে ঘটনা ঘটনার প্রায় মিনিট দেড়েক পরে। সেই ভিএআর সিদ্ধান্ত রেফারি নিজে নিয়েছেন মাঠে রাখা ডিসপ্লেতে রিপ্লে দেখে। যদিও ফাউলটি বক্সের দাগ ঘেঁষে একটু বাইরে হয়েছিল। সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরেও কনমেবলকে ধুয়ে দিয়েছিলেন মেসি। দাবি করেছিলেন, স্বাগতিক ব্রাজিলের হাতে শিরোপা তুলে দেয়ার জন্য সম্ভাব্য সব রকম চেষ্টাই করছে কনমেবল। আর সেমির পরে এসব কথা বলেছিলেন দেখেই পরের ম্যাচে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে, এটাই তার দাবি। মেসি বলেন, ‘হ্যাঁ, দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটাই হয়েছে। আপনি সৎ হতে পারবেন না, আবার কীভাবে কী করা উচিত সেটাও বলতে পারবেন না! কিন্তু আমি সব সময় নির্বিকার চিত্তে সত্য বলে যাব, সৎ থাকবো।’