ষোলো আনা
‘সৌম্যর কাছে পাওনা রয়েই গেল’
হাসিবুল হাসান
২ জুলাই ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
দলে ঢুকেছিলেন একজন সম্ভাবনাময় পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে। যিনি টপ-অর্ডারে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি টুকটাক বোলিং করতে পারেন। হয়ে উঠলেন দলের সবচাইতে আগ্রাসী ব্যাটসম্যানদের একজন। মাত্র এক ম্যাচ খেলেই উড়াল দিলেন ২০১৫ বিশ্বকাপগামী দলের সঙ্গে। নতুন হিসেবে বেশ ভালোই করলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক হাফ-সেঞ্চুরিসহ ৬ ম্যাচে করলেন ১৭৫ রান। তিনি সৌম্য সরকার।
পরের বছর ২০১৬ সালটা স্বপ্নের মতো কাটলো তার। ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে মন জয় করলেন সবার। মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখলেন দ্রুতই। ফর্মহীনতায় ছিলেন বেশ কিছুদিন। বাদ পড়েছিলেন দল থেকেও।
গত বছরের অক্টোবরে জিম্বাবুয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচে খেললেন ৯২ বলে ১১৭ রানের ঝড়ো এক ইনিংস। আভাস দিয়েছিলেন ফর্মে ফেরার। এরপর প্রিমিয়ার লীগে করলেন ডাবল সেঞ্চুরি। বনে গেলেন লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান। রানের বন্যা বইয়ে দিলেন বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে। টানা চার ম্যাচে করলেন হাফ-সেঞ্চুরি। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে খেললেন ৪১ বলে ৬৬ রানের টর্নেডো ইনিংস। গুরুত্বপূর্ণ সেই ইনিংসে ভর করে টাইগাররা প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা ঘরে তোলে।
আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে গেলেন বিশ্বকাপে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দারুণ এক আগ্রাসী ইনিংস খেলে করলেন ৩০ বলে ৪২ রান। এরপর থেকেই যেন খেই হারিয়ে ফেললেন। খেলতে পারছেন না বড় ইনিংস। এবারের বিশ্বকাপে সৌম্য ছিলেন সেরা ফর্মে। ছিলেন আগের চাইতে পরিণত। সৌম্যকে ঘিরে প্রত্যাশার পারদ ছিল তুঙ্গে। অথচ বিশ্বকাপের তার প্রতিফলন এখনো দেখা যায়নি। বিশ্বকাপে খেলা ৬ ইনিংসে করেছেন মাত্র ১১১ রান। গড় ১৮.৫০।
পরের দুই ম্যাচে শক্তিশালী ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা। সেমির স্বপ্ন পূরণে সেরাটা দিতে হবে টাইগারদের। সৌম্য এখনো খেলতে পারেন নি বড় ইনিংস। তার কাছে বড় ইনিংস পাওনা রয়েই গেল। শেষ দুটি ম্যাচে ভালো খেলবেন সৌম্য সরকার। এই আশাতেই বুক বেঁধে আছে কোটি ক্রিকেটপ্রেমী। আর কে না জানে, সৌম্য নিজের দিনে কতটা বিধ্বংসী হতে পারেন?