ইংল্যান্ড থেকে

ভারত নিয়ে যা ভাবছেন সৌম্য

ইশতিয়াক পারভেজ,বার্মিংহাম থেকে

২৮ জুন ২০১৯, শুক্রবার, ৯:২১ পূর্বাহ্ন

সবারই জানা বাংলাদেশ দল বিশ্বকাপ খেলতে এসেও আছে ৫ দিনের লম্বা ছুটিতে। অবশ্য নিরুপায় হয়েই। বার্মিংহামে ইচ্ছে করলেই অনুশীলনে নামতে পারছেন না মাশরাফিরা। কারণ বার্মিংহামের এজবাস্টন স্টেডিয়ামে ৩০শে জুন পর্যন্ত অন্য দলগুলোর খেলা থাকায় মাঠ পাচ্ছে না টাইগাররা। আইসিসি অবশ্য বিকল্প ব্যবস্থাও রাখেনি মাঠের। তাই দলের সিনিয়র-জুনিয়র সব ক্রিকেটারই ঘুরে বেড়াচ্ছেন ছুটির আনন্দে। গতকাল সকালে ‘হায়াত’ হোটেল ছেড়ে গেছে টিম নিউজিল্যান্ড। সেখানেই এখন টাইগারদের ডেরা।  যদিও  চার পাঁচজন ছাড়া বাকিরা সবাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে। দেশ থেকে আসা সংবাদকর্মীদের তাই দলের সংবাদ সংগ্রহ করতে চলছে বিড়ম্বনা। তবে গতকাল সেই ‘সংবাদ সংকট’ লাঘব করেন সৌম্য সরকার। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে নিজেদের অবস্থান নিয়ে কথা বলেন তিনি। বিশেষ করে বড় প্রতিপক্ষকে নিয়ে আলাদাভাবে ভেবে চাপ নিতে যে চান না তারা সেটিই জানিয়েছেন অকপটে। তিনি বলেন, ‘যদি আলাদাভাবে (ভারতকে) দেখি, শুরুতেই পিছিয়ে যাবো। সেটা না চিন্তা করে আমরা কীভাবে ক্রিকেট খেলছি এভাবে চিন্তা করে যদি পুরো খেলতে পারি মনে হয় আমরা জিতবো।’
তবে দুই দলের শক্তির পার্থক্যের কথা উঠলে যে কেউ এগিয়ে রাখবে ভারতকেই। সৌম্যও মনে করেন তাই। দুই দলের মধ্যে তুলনা করতেই তিনি বলেন, ‘ওরা ভারত, আমরা বাংলাদেশ। আসলে পার্থক্য এটাই। মাঠে যে যেদিন ভালো খেলবে, ভালো খেলার ওপর সব নির্ভর করছে। এই বড় টুর্নামেন্টে যদি নাম দেখে খেলতে যান অবশ্যই শুরুতে ব্যাকফুটে থাকবেন। এসব চিন্তা না করে জয়ের লক্ষ্যে একটা ভালো পরিকল্পনা করে নামতে হবে। ওদের শক্তি দুর্বলতা বুঝে আমাদের তিন বিভাগেই ভালো করতে হবে। ভালো করতে পারলে অবশ্যই জিততে পারি।’
বিশ্বকাপের দৌড়ে মাশরাফিদের টিকে থাকতে হলে হারাতেই হবে ভারত ও পাকিস্তানকে শেষ দু্‌ই ম্যাচে। সৌম্যও জানেন এই চরম বাস্তবতা। তিনি বলেন, ‘ওইটা তো বদলাতে পারবো না। আমাদের যে দুটো ম্যাচ আছে দুটি জিতলে রেসে থাকতে পারবো। আমরা আমাদের কাজ নিয়েই ভাবছি।’ তবে ২রা জুলাই বার্মিংহামে প্রতিপক্ষ ভারতের ব্যাটিং যেমন ভয় তেমনি বোলিং নিয়েও। বিশেষ করে চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে তাদের বোলারদের বিপক্ষেই। তাই ভারতের বোলিং নিয়ে পরিকল্পনাও করে রেখেছেন তিনি। সৌম্য বলেন, ‘ওদের নাম্বার ওয়ান পেস বোলার আছে। আবার ওদের স্পিনার যারা আছে তারাও অনেক ভালো। ওভাবে খেলতে হবে, ওদের কীভাবে পিক করতে হবে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট দিনে কাকে পিক করতে পারলে সহজে খেলতে পারবো আর কাকে সমীহ করতে হবে  এই পরিকল্পনা করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় হয়, আগ থেকে ভেবে রেখেছি ওই বোলারকে পিক করবো। দেখা গেল ম্যাচে সে সবচেয়ে ভালো বোলিং করছে। এটা অ্যাডজাস্ট করাই হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ। এটাই দেখার বিষয় কাকে পিক করছি, কাকে সমীহ করছি।’
এজবাস্টনের উইকেট নিয়ে কথা শুরু হয়ে  গেছে বেশ ভালোভাবেই। বিশেষ করে এখানে এরই মধ্যে খেলেছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। একই ভেন্যুতে আগামী ৩০শে জুন ভারতের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। যে কারণে ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের খেলতে হতে পারে ব্যবহৃত উইকেটেই। অধিনায়ক মাশরাফি চিন্তায় আছেন এই উইকেট নিয়েও। সৌম্যের মধ্যেও সেই চিন্তা আছে। বিশেষ করে পুরানো উইকেট হলে পেসাররা নয়, স্পিনাররাই বেশি সাহায্য পাবে। উইকেট নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্ভর করে উইকেটের ওপর। নতুন উইকেট থাকলে পেসারদের একটু সুবিধা থাকে শুরুতে। আর ব্যবহৃত উইকেট থাকলে স্পিনাররা।’
এই বিশ্বকাপে তাকে নিয়ে যতটা আশা ছিল  সেটি পুরণ করতে অনেকটাই ব্যর্থ সৌম্য। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই দারুণ শুরুর পর আউট হয়েছেন বাজেভাবে। তাই শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তাকে সরিয়ে ওপেনিংয়ে আনা হয় লিটন কুমার দাসকে। কিন্তু নতুন পজিশন ৬-এ নেমে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন সৌম্য। তার আউট নিয়ে তিনি বলেন, ‘ওভাবে চিন্তা করতে গেলে, যে সময়ে আউট হয়েছি তখন রান আসছিল। আরও কিছুটা সময় যদি উইকেটে থেকে কিছুটা রান দিতে পারি, পেছনের ব্যাটসম্যানরা সহজে এগোতে পারবে। ওই পরিস্থিতিতে যদি আমি আরেকটু রান করতে পারি, পরের ব্যাটসম্যানরা একটু সময় পাবে। তাতে দলের স্কোর অনেক বড় হবে। আমার সব সময় প্ল্যান এমনই থাকে। অনেক সময় উইকেট কঠিন থাকলেও চেষ্টা থাকে এমনভাবে খেলার রানের ফ্লো ঠিক রাখতে। পেছনের ব্যাটসম্যানরা যেন মনে না করে উইকেট অনেক কঠিন, এখানে হবে না। সব সময়ই ইতিবাচক মনোভাবে খেলতে চাই।’
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status