দেশ বিদেশ
এনামুল বাছিরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চিঠি
স্টাফ রিপোর্টার
২৭ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
পুলিশের কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে চিঠি দিয়েছে কমিশন। দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠায় কমিশন এনামুল বাছিরকে বরখাস্ত করেছে। সমপ্রতি তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলবও করা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানের আগে তিনি যেন দেশ থেকে পালিয়ে যেতে না পারেন সে জন্যে ইমিগ্রেশনে চিঠি দেয়া হয়েছে। ডিআইজি মিজান ও দুদকের বরখাস্তকৃত পরিচালক এনামুল বাছিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৪শে জুন তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আর সেই তলবি নোটিশে তাদের দুইজনকে আগামী ১লা জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হজির হতে বলা হয়েছে। দুদক সূত্র জানায়, ঘুষের সত্যতার অভিযোগটি অনুসন্ধান করছেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লা, সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানুর রহমানের অভিযোগটির তদন্ত করছিলেন দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির। এরই মধ্যে এনামুল বাছিরকে ডিআইজি মিজান ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করেন। ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠায় এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করে কমিশন। যদিও পরিচালক এনামুল বাছির দাবি করেন, তিনি ঘুষ নেননি। ২০১৮ সালের ৩রা মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। প্রথমে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। পরে এই দায়িত্ব পান এনামুল বাছির। এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ ওঠায় দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে নতুন করে তদন্তভার দেয়া হয়েছে। এদিকে ৩ কোটি ৭ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগে স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নেসহ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। মঙ্গলবার তাকে বরখাস্ত করার তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।