দেশ বিদেশ

রণদা প্রসাদ সাহা হত্যা মামলার রায় আজ

স্টাফ রিপোর্টার

২৭ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৪০ পূর্বাহ্ন

মুক্তিযুদ্ধের সময় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলেসহ সাতজনকে হত্যার মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার। গতকাল বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মামলার রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলেসহ সাতজনকে টাঙ্গাইলের মাহবুবুর রহমান অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, হত্যা- গণহত্যাসহ তিনটি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
এর আগে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল গত ২৪ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত। আসামিপক্ষে ছিলেন গাজী এম এইচ তামিম। যুক্তি তর্ক শুনানি শেষে রানা দাশগুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি অভিযোগ এনেছিল প্রসিকিউশন। আমরা মনে করি তিনটি অভিযোগই আমরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ এ মামলায় ১৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।  যেসব সাক্ষ্য-প্রমাণ আমরা উপস্থাপন করেছি তাতে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চেয়েছি। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বলেন, এ মামলায় যে কজন সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই বলেছেন আরপি সাহা নিখোঁজ হয়েছেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে এ কথা কোনো সাক্ষীই বলেননি। প্রসিকিউশনের একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন, তিনি ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। আরপি সাহাকে তিনি চিনতেন না বলেছেন। ফলে এটাই প্রমাণ হয় যে, মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়ে এর বিচার হচ্ছে। আমি মনে করি প্রসিকিউশন আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। রায়ে আমি আমার মক্কেলের খালাস চেয়েছি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৮শে মার্চ মো. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই বছরের ১১ই ফেব্রুয়ারি এই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।
এরপর গত বছরের ২ নভেম্বর মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থা। আসামি মাহবুবুর রহমানের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মুক্তিযুদ্ধের সময় মির্জাপুর শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন। মাহবুবুর রাহমান ও তার ভাই আব্দুল মান্নান সে সময় রাজাকার বাহিনীতে ছিলেন। রণদা প্রসাদ সাহার পৈতৃক নিবাস ছিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। সেখানে তিনি একাধিক শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। একসময় নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যবসায় নামেন রণদা প্রসাদ সাহা। থাকতেন নারায়ণগঞ্জের খানপুরের সিরাজদিখানে। সে বাড়ি থেকেই তাকে, তার ছেলে ও অন্যদের ধরে নিয়ে যান আসামি মাহবুবুর রহমান ও তার সহযোগীরা।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status