শেষের পাতা
চুড়িহাট্টা ও এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিতে চায় সরকার
দীন ইসলাম
২৭ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টা ও বনানীর এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিতে চায় সরকার। আগামীতে অগ্নিকাণ্ড হলেও যাতে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি কম হয় সেজন্য শিক্ষা গ্রহণের এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ দুই অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। গতকাল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি’র আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে চুড়িহাট্টা ও বনানীর এফ আর টাওয়ার নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি’র রিপোর্টগুলো আলোচনা করা হয়।
আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এতে জানানো হয় গত ২০শে ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার চুড়িহাট্টায় সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ফলে ৭১ জনের মৃত্যু হয় ও ১০ জন আহত হয়। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে সম্পদের ক্ষতি হয়। চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান ও ভবিষ্যত করণীয় ঠিক করতে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করে। এ কমিটিগুলো পাঁচটি স্বল্পমেয়াদি ও ২৬ টি দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ দেয়। সভা সূত্রে জানা গেছে, এদিনের বৈঠকে ২৬টি দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় সুপারিশ উল্লেখ করে কোন কোন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বাস্তবায়ন করবে তা ঠিক করা হয়। এতে ঘুরে ফিরে কেমিক্যাল কারখানা ও গোডাউন সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি উঠে আসে।
এছাড়া ক্ষতিকর প্লাষ্টিক ও পলিথিনসহ বিভিন্ন পণ্য আবাসিক এলাকা থেকে নিরাপদ দূরত্বের স্থানে সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জানান, প্লাষ্টিক শিল্পনগরী তৈরি করার জন্য এরই মধ্যে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। এজন্য ৫০ একর জমি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ সভায় লাইসেন্সবিহীন কেমিক্যাল মজুদাগার বা কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার কথা বলেন। পাশাপাশি কেমিক্যাল গোডাউন বা কেমিক্যাল কারখানার আশেপাশে আবাসিক এলাকা বা বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমোদন না দেয়ার কথা বলা হয়। সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ি, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি বিভাগ আবাসিক এলাকা ও হোটেল বা রেস্টুরেন্টে ব্যবহার করা বৈদ্যুতির তার ও গ্যাস সিলিন্ডারের গুণগত মান নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার পরীক্ষা করবেন তারা। আগামীতে যে কোনো অগ্নি দূর্ঘটনার সময় এর আশেপাশে উৎসুক জনতা যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ কাজে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা ও তৎপরতা বাড়ানো হবে। এদিকে, গত ২৮শে মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড সংঘঠিত হয়। এ অগ্নিকাণ্ডের ফলে ২৬ জনের মৃত্যু ও ১১৫ জন আহত হয়।
এ অগ্নিকাণ্ড নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ কমিটি চারটি মতামতসহ ১৬ টি সুপারিশ দেয়। এসব সুপারিশে বলা হয়, দূর্ঘটনাস্থলে ভূক্তভোগী জনতার হাহাকার ও উৎসাহী জনতার ভিড় উদ্ধার কাজকে বাধাগ্রস্ত করে। এজন্য গতকালের সভায় দূর্ঘটনাস্থলে জনতার ভিড় কমাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়। এ বিষয়ে ইলেকট্র্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জনসচেতনতার উপর জোর দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অগ্নি দূর্ঘটনা মোকাবিলায় অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে।
আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এতে জানানো হয় গত ২০শে ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার চুড়িহাট্টায় সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ফলে ৭১ জনের মৃত্যু হয় ও ১০ জন আহত হয়। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে সম্পদের ক্ষতি হয়। চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান ও ভবিষ্যত করণীয় ঠিক করতে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করে। এ কমিটিগুলো পাঁচটি স্বল্পমেয়াদি ও ২৬ টি দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ দেয়। সভা সূত্রে জানা গেছে, এদিনের বৈঠকে ২৬টি দীর্ঘমেয়াদি সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় সুপারিশ উল্লেখ করে কোন কোন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বাস্তবায়ন করবে তা ঠিক করা হয়। এতে ঘুরে ফিরে কেমিক্যাল কারখানা ও গোডাউন সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি উঠে আসে।
এছাড়া ক্ষতিকর প্লাষ্টিক ও পলিথিনসহ বিভিন্ন পণ্য আবাসিক এলাকা থেকে নিরাপদ দূরত্বের স্থানে সরিয়ে নেয়ার কথা বলা হয়। এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি জানান, প্লাষ্টিক শিল্পনগরী তৈরি করার জন্য এরই মধ্যে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। এজন্য ৫০ একর জমি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ সভায় লাইসেন্সবিহীন কেমিক্যাল মজুদাগার বা কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার কথা বলেন। পাশাপাশি কেমিক্যাল গোডাউন বা কেমিক্যাল কারখানার আশেপাশে আবাসিক এলাকা বা বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমোদন না দেয়ার কথা বলা হয়। সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ি, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি বিভাগ আবাসিক এলাকা ও হোটেল বা রেস্টুরেন্টে ব্যবহার করা বৈদ্যুতির তার ও গ্যাস সিলিন্ডারের গুণগত মান নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার পরীক্ষা করবেন তারা। আগামীতে যে কোনো অগ্নি দূর্ঘটনার সময় এর আশেপাশে উৎসুক জনতা যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ কাজে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা ও তৎপরতা বাড়ানো হবে। এদিকে, গত ২৮শে মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড সংঘঠিত হয়। এ অগ্নিকাণ্ডের ফলে ২৬ জনের মৃত্যু ও ১১৫ জন আহত হয়।
এ অগ্নিকাণ্ড নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ কমিটি চারটি মতামতসহ ১৬ টি সুপারিশ দেয়। এসব সুপারিশে বলা হয়, দূর্ঘটনাস্থলে ভূক্তভোগী জনতার হাহাকার ও উৎসাহী জনতার ভিড় উদ্ধার কাজকে বাধাগ্রস্ত করে। এজন্য গতকালের সভায় দূর্ঘটনাস্থলে জনতার ভিড় কমাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়। এ বিষয়ে ইলেকট্র্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে জনসচেতনতার উপর জোর দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অগ্নি দূর্ঘটনা মোকাবিলায় অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে।