শেষের পাতা
নরসিংদীর অগ্নিদগ্ধ ফুলন আর নেই
স্টাফ রিপোর্টার
২৭ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন
নরসিংদীতে দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়ার ১৩ দিন পর মারা গেছেন অগ্নিদগ্ধ তরুণী ফুলন রানী বর্মণ (১৮)। গতকাল সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নরসিংদী পৌর এলাকার বীরপুরের যুগেন্দ্র বর্মণের মেয়ে ফুলন গত বছর এইচএসসি পাস করেন। পরিবারের আর্থিক অসঙ্গতির কারণে আর কোথাও ভর্তি হতে পারেন নি ফুলন। গত ১৩ই জুন রাতে বাড়ির কাছেই তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া হয়। সেই রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, ফুলনের শরীরের ২০ ভাগ পুড়ে গেছে। পরিবারের সদস্যরা জানান, এক আত্মীয়ের সঙ্গে ঘটনার দিন রাতে দোকানে কেক কিনতে গিয়েছিলেন ফুলন। কেক কিনে ওই আত্মীয় তাকে একা বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে চলে যান। বাড়ির কাছে পৌঁছালে কয়েকজন মুখ চেপে ধরে ফুলনকে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। পরে তার চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন গিয়ে তাকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ফুলনের বাবা যোগেন্দ্র বর্মণ নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে গোয়েন্দা পুলিশ ফুলনের ফুফাতো ভাই ভবতোষ এবং তার দুই বন্ধু সঞ্জীব, রাজু সূত্রধর ও আনন্দ বর্মণকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার রাজু গত শুক্রবার নরসিংদীর বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে রাজুর দেয়া বক্তব্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ফুলনের বাবার সঙ্গে প্রতিবেশী সুখলাল ও হীরালালের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে গত ১১ই জুন ভবতোষ ও ফুলনের মায়ের সঙ্গে সুখলালের ঝগড়া হয়। এরই জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন ভবতোষ। ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাজু ও আনন্দকে নিয়ে সে ফুলনের গায়ে আগুন দেয়ার পরিকল্পনা করে। সেদিন রাতে দোকান থেকে ফেরার পথে ফুলনের মাথা ও শরীরে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ফুলনের বাবা যোগেন্দ্র বর্মণ নরসিংদী সদর মডেল থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে গোয়েন্দা পুলিশ ফুলনের ফুফাতো ভাই ভবতোষ এবং তার দুই বন্ধু সঞ্জীব, রাজু সূত্রধর ও আনন্দ বর্মণকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার রাজু গত শুক্রবার নরসিংদীর বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে রাজুর দেয়া বক্তব্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ফুলনের বাবার সঙ্গে প্রতিবেশী সুখলাল ও হীরালালের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ নিয়ে গত ১১ই জুন ভবতোষ ও ফুলনের মায়ের সঙ্গে সুখলালের ঝগড়া হয়। এরই জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন ভবতোষ। ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাজু ও আনন্দকে নিয়ে সে ফুলনের গায়ে আগুন দেয়ার পরিকল্পনা করে। সেদিন রাতে দোকান থেকে ফেরার পথে ফুলনের মাথা ও শরীরে কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন দেয়া হয়।