বাংলারজমিন
নোয়াখালীতে বিধবাকে গণধর্ষণ
মূল আসামিরা ধরা পড়েনি
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
২৭ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালীতে বিধবাকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের ঘটনায় নরপুশু সিএনজি ড্রাইভার মোরশেদকে গতকাল ২৬শে জুন আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের সাতঘরিয়া গ্রামের বাগানবাড়িতে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাতে চৌমুহনী বাজার থেকে নিজগ্রাম মাইজদীতে যাচ্ছিলেন ওই বিধবা। পথে সোনাইমুড়ীর নাওড়ী গ্রামের জমির বাড়ির মুকবুল আহম্মদের ছেলে সিএনজি চালক মোরশেদ আলম একই গ্রামের ছানা উল্যাহ জোর করে তাকে সিএনজিতে তুলে ওই বাগানবাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে গৃহবধূকে মোরশেদের নেতৃত্বে হারুন, ছানা উল্যাহ, সুফল ও জাহাঙ্গীরসহ ৫ বখাটে অস্ত্রের মুখে গণধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর বখাটেরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। গৃহবধূ কাকুতি মিনতি করলে রাত ১টার দিকে তাকে সিএনজিতে করে আমিশাপাড়া বাজারে রেখে যায়। এ সময় সিএনজি চালক মোরশেদ তাকে ভয়তীতি ও হুমকি দিলে গৃহবধূর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এতে বখাটে মোরশেদ পালানোর চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা গৃহবধূকে উদ্ধার ও বখাটেকে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিধবা ৫ নরপিশাচের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গণধর্ষণের ঘটনায় মেডিকেল টেস্টের জন্য ভিকটিমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সোনাইমুড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল সামাদ মানবজমিনকে জানান, গৃহবধূ শিল্পীর ১ পুত্র ১ কন্যা রয়েছে।
চৌমুহনী শহরে থাকেন। পিতার বাড়ি মাইজদী শহরে। আসামি মোরশেদকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মূল আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি।
ফলোআপ
বেগমগঞ্জে মাদক ও আধিপত্য বিস্তারে ২ গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে সম্রাট বাহিনীর গুলিতে যুবলীগ কর্মী খুন : থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ১
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে: মঙ্গলবার মাদকের ব্যবসা ও আধিপত্যকে কেন্দ্র করে বেগমগঞ্জে যুবলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেনের বড় ভাই হাসান বাদী হয়ে সম্রাট বাহিনীর বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় খুনের মামলা নথিভুক্ত করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টিএসআই আশিকুর রহমান মানবজমিনকে জানান, শাহাদাত হোসেন হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই হাসান বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা ও সম্রাট বাহিনী প্রধান সম্রাটকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম দিয়ে এবং অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় খুনের মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৭৭, তারিখ : ২৬-৬-১৯ই, দ: বি: ৩৬৪/৩০২/৩৪ বি.পি.সি। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে সাগর (২৪) নামক এক যুবলীগ কর্মীকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এদিকে নিহত শাহাদাত হোসেনের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হাজীপুরের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে বুধবার বিকালে সেখানে হাজার হাজার এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে এবং আত্মীয়স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। বুধবার বাদ আসর তার গ্রামের বাড়ির সামনে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে শাহাদাত হোসেনকে দাফন করা হয়। এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। নিহতের বাড়িতে সম্রাট বাহিনী পুনঃ হামলা করতে পারে আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে বলে বেগমগঞ্জ সার্কেল পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাজাহান শেখ জানান। উল্লেখ্য, এলাকায় মাদক ব্যবসার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকালে হাজীপুর কালামিয়ার পুল এলাকায় যুবলীগ নেতা সম্রাট গ্রুপ ও কারাগারে থাকা যুবলীগ নেতা খালাসী সুমন গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে যুবলীগ কর্মী শাহাদাত হোসেন (২৪) নিহত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৫ মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সম্রাট গ্রেপ্তার হয়নি।
চৌমুহনী শহরে থাকেন। পিতার বাড়ি মাইজদী শহরে। আসামি মোরশেদকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মূল আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি।
ফলোআপ
বেগমগঞ্জে মাদক ও আধিপত্য বিস্তারে ২ গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে সম্রাট বাহিনীর গুলিতে যুবলীগ কর্মী খুন : থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ১
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে: মঙ্গলবার মাদকের ব্যবসা ও আধিপত্যকে কেন্দ্র করে বেগমগঞ্জে যুবলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেনের বড় ভাই হাসান বাদী হয়ে সম্রাট বাহিনীর বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় খুনের মামলা নথিভুক্ত করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টিএসআই আশিকুর রহমান মানবজমিনকে জানান, শাহাদাত হোসেন হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই হাসান বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা ও সম্রাট বাহিনী প্রধান সম্রাটকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম দিয়ে এবং অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় খুনের মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৭৭, তারিখ : ২৬-৬-১৯ই, দ: বি: ৩৬৪/৩০২/৩৪ বি.পি.সি। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে সাগর (২৪) নামক এক যুবলীগ কর্মীকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এদিকে নিহত শাহাদাত হোসেনের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হাজীপুরের গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে বুধবার বিকালে সেখানে হাজার হাজার এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে এবং আত্মীয়স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। বুধবার বাদ আসর তার গ্রামের বাড়ির সামনে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে শাহাদাত হোসেনকে দাফন করা হয়। এলাকায় থমথমে ভাব বিরাজ করছে। নিহতের বাড়িতে সম্রাট বাহিনী পুনঃ হামলা করতে পারে আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছে বলে বেগমগঞ্জ সার্কেল পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাজাহান শেখ জানান। উল্লেখ্য, এলাকায় মাদক ব্যবসার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকালে হাজীপুর কালামিয়ার পুল এলাকায় যুবলীগ নেতা সম্রাট গ্রুপ ও কারাগারে থাকা যুবলীগ নেতা খালাসী সুমন গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে যুবলীগ কর্মী শাহাদাত হোসেন (২৪) নিহত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৫ মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী সম্রাট গ্রেপ্তার হয়নি।