এক্সক্লুসিভ

প্রথম ভাষণে বসিরহাটে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের দাবি জানালেন নুসরাত

কলকাতা প্রতিনিধি

২৭ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

রাজনীতিতে নবাগত এবং সাংসদ হিসেবেও এই প্রথমবার লোকসভার অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন তিনি। গত সপ্তাহে নিজের বিয়ের জন্য ব্যস্ত থাকায় শপথ নিতে পারেননি। গত মঙ্গলবার নববধূ বেশে শপথ নিয়ে সকলকে মোহিত করে দিয়েছেন। আর হাতে মেহেন্দি, সিঁথিতে রাঙানো সিঁদুর, হাতে দুড়ির সঙ্গে চূড়া এমন বেশেই বুধবার প্রথম ভাষণ দিলেন নুসরাত। গতকালই অবশ্য দলনেতা ক্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সংসদীয় রীতিনীতির প্রাথমিক পাঠ নিয়েছেন। এদিন জিরো আওয়ারে নুসরাত তার নিজের কেন্দ্র বসিরহাটে একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী বসিরহাট কেন্দ্র থেকে তিন লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। জয়ী হওয়ার পর নিজের কেন্দ্রে যেতে পারেননি বিয়ের ব্যস্ততার জন্য। কিন্তু লোকসভায় প্রথম সুযোগেই নিজের কেন্দ্রের জন্য দাবি পেশ করেছেন তিনি।

সাংসদ নুসরাত এদিন বলেন, তার কেন্দ্রের অধিকাংশ মানুষই গরিব। ফলে তাদের বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়ানোর সামর্থ্য নেই। আর বসিরহাটে  কোনো কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ও নেই। তাই এলাকার মানুষের কথা ভেবে এই দাবি তুলেছেন বলে জানিয়েছেন নুসরাত। তার মতে, এটা এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান যে যথেষ্ট ভালো সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। বসিরহাট বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকার কথা উল্লেখ করে নুসরাত বলেছেন, সেখানে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাছাড়া তার কেন্দ্রে বহু এক্স সার্ভিস ম্যান ও তাদের পরিবার বসবাস করেন। পরিসংখ্যান দিয়ে নুসরাত বলেছেন, তার কেন্দ্রে ৮৬.৮১ শতাংশ মানুষ গরিব ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির। এর মধ্যে মাত্র ১৩.১৯ শতাংশ মানুষ শহুরে। তাই  দ্রুত যাতে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় তৈরির ব্যবস্থা করা হয়, সে দাবিতেই এদিন বারবার জোর দিয়েছেন নুসরাত।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status