শেষের পাতা

কারাগারে রেল কর্মচারী সুমন

ব্যাংক হিসাবে ৯ কোটি টাকা লেনদেন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে

২৬ জুন ২০১৯, বুধবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন

৮ম শ্রেণি পাস সনদ দিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের চিফ পার্সোনাল অফিসে যোগ দেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মিশ্রিপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে অলি উল্লাহ সুমন (৩৫)। ২০০৪ সালের ২৩শে ডিসেম্বরআট হাজার টাকা বেতনে যোগ দিয়ে বর্তমানে বেতন পান ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু তার চলাফেরা ও বেশভুষা রাজকীয়। অনুসন্ধানে নেমে অলি উল্লাহ সুমনের দুটি ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৯ কোটি টাকা লেনদেন দেখে বিস্মিত হন দুদক কর্মকর্তারা।

 লেনদেনে সোনালী ব্যাংক রেলওয়ে বিল্ডিং শাখার হিসাবে ২০১০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ১ কোটি ৩১ লাখ ৭ হাজার ৪৮৭ টাকা এবং ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, স্টেশন শাখার হিসাবে ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৪৮১ টাকা ৫০ পয়সা লেনদেন করেন।
এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ বাদামতলী থেকে অলি উল্লাহ সুমনকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি টিম। টিমে নেতৃত্ব দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন। এরপর দুপুর ২টার দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিনের আদালতে পাঠান। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

দুদক চট্টগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ লাভলু বলেন, গ্রেপ্তারের পর পরই তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামির পক্ষে কেউ জামিনের আবেদন করেননি।

দুদক চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী, দাবি পরিদর্শক মো. অলি উল্লাহ সুমনকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রায় ৯ কোটি টাকা লেনদেন হওয়া তার দুটি হিসাবে এখন কোনো টাকা নেই।

টাকাগুলো উত্তোলন করে তিনি কোথায়, কোন কাজে লাগিয়েছেন তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চাকরির প্রলোভনে মানুষের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের কাজে তার সঙ্গে আরো কেউ জড়িত কিনা তাও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত এই অস্বাভাবিক লেনদেনের দায়ে অলি উল্লাহ ওরফে সুমনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৪ঠা সেপ্টেম্বর সিএমপির কোতোয়ালি থানায় দুদক চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিন মামলা দায়ের করেন এবং তিনি নিজেই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন।

তদন্তে দেখা যায়, চাকরি দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঙ্কে টঙ্গী, কিশোরগঞ্জ, পাহাড়তলী, ধামরাই, ঈশ্বরদী, গাইবান্ধা থেকে তার দুটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে উল্লিখিত টাকা গ্রহণ করেন অলি উল্লাহ সুমন। এ ছাড়া নগদেও বিভিন্ন লোকজন থেকে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে টাকা গ্রহণ করেছেন বলে তথ্য পায় দুদক।

ময়মনসিংহ পৌরসভা এলাকায় নিজের নামে ২৪ লাখ টাকায় ৫ শতাংশ জমি কেনা ছাড়াও নামে-বেনামে, স্ত্রীর নামে অবৈধ সমপদের হদিস পেয়েছে দুদক।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status