ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯
পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন যারা
স্পোর্টস ডেস্ক
২৬ জুন ২০১৯, বুধবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন
এজবাস্টনে গত ম্যাচের নায়ক ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডকে এনে দিয়েছিলেন রুদ্ধশ্বাস জয়। আজ এ ভেন্যুতে মুখোমুখি হচ্ছে নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান। এ ম্যাচে ব্যাটে-বলে পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন কারা, দেখে নেয়া যাক-
ফখর জামান
ফর্মে রয়েছে পাকিস্তানের বাঁহাতি ওপেনার ফখর জামান। ভারতের বিপক্ষে ৬৬ রান করার পর গত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৪ রান করেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফখরের রেকর্ড বেশ ভালো। ৭ ম্যাচে ৪ ফিফটিতে ৫০.৬৬ গড়ে ৩০৪ রান করেছেন তিনি। ২০১৭ সালে বার্মিংহামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় ফখরের। ওই ম্যাচে ২৩ বলে করেছিলেন ৩১ রান। পাকিস্তান জিতেছিল ৭ উইকেটে। এবার আরো বড় ইনিংস খেলে দলের জয়ে অবদান রাখতে চাইবেন মারকুটে এই ব্যাটসম্যান।
কেন উইলিয়ামসন
চাপের মখে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত শতকে (১০৬*) ২৪১ রানের টার্গেট টপকালেন কেন উইলিয়ামসন। পরের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর খেললেন ক্যারিয়ারসেরা ১৪৮ রানের ইনিংস। ওই ম্যাচও জিতলো নিউজিল্যান্ড। এবারের বিশ্বকাপে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিকটা আজ গড়ে ফেলতে পারেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসন। আর এবারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটি তিনি হাঁকিয়েছিলেন এই বার্মিংহামেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে ১৭ ম্যাচ খেলেছেন উইলিয়ামসন। ৫৬.১২ গড়ে করেছেন ৮৯৮ রান। সেঞ্চুরি ৩টি, হাফসেঞ্চুরি ৪টি।
হারিস সোহেল
শোয়েব মালিকের জায়গায় সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেছেন বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হারিস সোহেল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত ম্যাচে ৫৯ বলে ৮৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে ৩০৮ রানের পুঁজি এনে দেন হারিস। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এর আগে ১০ ম্যাচে ৪৮.৫৫ গড়ে ৪৩৭ রান করেছেন তিনি। হাফসেঞ্চুরি রয়েছে ৫টি। গত বছর নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে ৪ ওয়ানডের ৩টিতেই পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছিলেন হারিস। ব্যাট হাতে আজও ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন তিনি।
রস টেইলর
পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান রস টেলর। ২৬ ম্যাচে ৬৬.৭৫ গড়ে ১০৬৮ রান করেছেন তিনি। ৩ সেঞ্চুরির সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি ৭টি। ২০১১ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ১৩১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন টেইলর। ম্যাচটি জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৮ বছরের মধ্যে বিশ্বকাপে কিউইদের প্রথম জয় ছিল সেটি। চলতি আসরেও রান পাচ্ছেন টেইলর। পাঁচ ম্যাচে দুটি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। গত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিপর্যয়ের মুখে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন টেইলর।
মোহাম্মদ আমির
বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচেই উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমির। ৫ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে মিচেল স্টার্ক ও জোফরা আর্চারের সঙ্গে যৌথভাবে আসরের সর্বাধিক উইকেট শিকারি বোলার তিনি। পাকিস্তানের গত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুরুতে হাশিম আমলাকে ফিরিয়ে ব্রেক-থ্রু দেন আমির। পরে সেট হয়ে যাওয়া ফাফ ডু প্লেসিকে আউট করে ম্যাচটা নিজেদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এর আগে ১০ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছেন আমির।
ট্রেন্ট বোল্ট
নিউজিল্যান্ডের বর্তমান দলের বোলারদের মধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে সফল ট্রেন্ট বোল্ট। বাঁহাতি এই পেসার ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ২২ উইকেট। গত বিশ্বকাপে মিচেল স্টার্কের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বাধিক উইকেট নিয়েছিলেন বোল্ট। চলতি আসরে প্রথম দিকে খুব বেশি সাফল্য পাননি তিনি। প্রথম ৪ ম্যাচে নেন ৪ উইকেট। তবে গত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্বরূপে ফিরেছেন বোল্ট। ৩০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে কিউইদের জয়ে অবদান রাখেন তিনি।
ফখর জামান
ফর্মে রয়েছে পাকিস্তানের বাঁহাতি ওপেনার ফখর জামান। ভারতের বিপক্ষে ৬৬ রান করার পর গত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৪ রান করেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফখরের রেকর্ড বেশ ভালো। ৭ ম্যাচে ৪ ফিফটিতে ৫০.৬৬ গড়ে ৩০৪ রান করেছেন তিনি। ২০১৭ সালে বার্মিংহামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় ফখরের। ওই ম্যাচে ২৩ বলে করেছিলেন ৩১ রান। পাকিস্তান জিতেছিল ৭ উইকেটে। এবার আরো বড় ইনিংস খেলে দলের জয়ে অবদান রাখতে চাইবেন মারকুটে এই ব্যাটসম্যান।
কেন উইলিয়ামসন
চাপের মখে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি। প্রথমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত শতকে (১০৬*) ২৪১ রানের টার্গেট টপকালেন কেন উইলিয়ামসন। পরের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর খেললেন ক্যারিয়ারসেরা ১৪৮ রানের ইনিংস। ওই ম্যাচও জিতলো নিউজিল্যান্ড। এবারের বিশ্বকাপে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিকটা আজ গড়ে ফেলতে পারেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসন। আর এবারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটি তিনি হাঁকিয়েছিলেন এই বার্মিংহামেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে এর আগে ১৭ ম্যাচ খেলেছেন উইলিয়ামসন। ৫৬.১২ গড়ে করেছেন ৮৯৮ রান। সেঞ্চুরি ৩টি, হাফসেঞ্চুরি ৪টি।
হারিস সোহেল
শোয়েব মালিকের জায়গায় সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেছেন বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হারিস সোহেল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত ম্যাচে ৫৯ বলে ৮৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে ৩০৮ রানের পুঁজি এনে দেন হারিস। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এর আগে ১০ ম্যাচে ৪৮.৫৫ গড়ে ৪৩৭ রান করেছেন তিনি। হাফসেঞ্চুরি রয়েছে ৫টি। গত বছর নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে ৪ ওয়ানডের ৩টিতেই পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছিলেন হারিস। ব্যাট হাতে আজও ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন তিনি।
রস টেইলর
পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান রস টেলর। ২৬ ম্যাচে ৬৬.৭৫ গড়ে ১০৬৮ রান করেছেন তিনি। ৩ সেঞ্চুরির সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি ৭টি। ২০১১ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ১৩১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন টেইলর। ম্যাচটি জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৮ বছরের মধ্যে বিশ্বকাপে কিউইদের প্রথম জয় ছিল সেটি। চলতি আসরেও রান পাচ্ছেন টেইলর। পাঁচ ম্যাচে দুটি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। গত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বিপর্যয়ের মুখে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন টেইলর।
মোহাম্মদ আমির
বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচেই উইকেট নিয়েছেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমির। ৫ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে মিচেল স্টার্ক ও জোফরা আর্চারের সঙ্গে যৌথভাবে আসরের সর্বাধিক উইকেট শিকারি বোলার তিনি। পাকিস্তানের গত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শুরুতে হাশিম আমলাকে ফিরিয়ে ব্রেক-থ্রু দেন আমির। পরে সেট হয়ে যাওয়া ফাফ ডু প্লেসিকে আউট করে ম্যাচটা নিজেদের হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এর আগে ১০ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়েছেন আমির।
ট্রেন্ট বোল্ট
নিউজিল্যান্ডের বর্তমান দলের বোলারদের মধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে সবচেয়ে সফল ট্রেন্ট বোল্ট। বাঁহাতি এই পেসার ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ২২ উইকেট। গত বিশ্বকাপে মিচেল স্টার্কের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বাধিক উইকেট নিয়েছিলেন বোল্ট। চলতি আসরে প্রথম দিকে খুব বেশি সাফল্য পাননি তিনি। প্রথম ৪ ম্যাচে নেন ৪ উইকেট। তবে গত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে স্বরূপে ফিরেছেন বোল্ট। ৩০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে কিউইদের জয়ে অবদান রাখেন তিনি।