এক্সক্লুসিভ
মাকে বাঁচাতে পারলাম না
আলাউদ্দিন কবির, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) থেকে
২৬ জুন ২০১৯, বুধবার, ৮:১৭ পূর্বাহ্ন
সিলেটে বড় মেয়ের বাড়ি থেকে কুলাউড়া আসার জন্য দুপুরে ঘর থেকে বের হন মনোয়ারা পারভীন (৪৫) নামে এক গৃহবধূ। কিন্তু স্টেশনে প্রবেশ করার আগমুহূর্তে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায়। পারাবত ট্রেন সময়মতো ধরতে না পারায় তারা রাতের উপবন ট্রেনে উঠেন। আর এই যাত্রাই কাল হলো তার জন্য।
কুলাউড়ার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকায় বড়ছড়া ব্রিজের উপর ট্রেনটি দুর্ঘটনার শিকার হলে তিনি মারা যান। এসময় তার সহযাত্রী নিজের দ্বিতীয় মেয়ে কুলাউড়া ইয়াকুব-তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষের ছাত্রী রোকসানা পারভীন প্রাণপণ চেষ্টা করেও তার মাকে বাঁচাতে পারেননি। নিজের চোখের সামনে মাকে হারিয়ে এখন বাকরুদ্ধ রোকসানা।
রোববার রাতে সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। মনোয়ারা পারভীন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট ঠিকাদার মো. আব্দুল বারীর স্ত্রী। গত ২২শে জুন দুপুরে পারাবত ট্রেনে মনোয়ারা পারভীন তার দ্বিতীয় মেয়ে রোকসানা পারভীনকে সঙ্গে নিয়ে তার বড় মেয়ে ইশরাত আরা মুন্নির সিলেটের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন।
রোববার নিহত মনোয়ারার একমাত্র ছেলে সিলেট শাহজালাল সিটি কলেজের ছাত্র শাহরি আহমদ দীপু সিলেট থেকে তার মা ও বোন রোকসানাকে একটি সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে সিলেট স্টেশনে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে তাদের বিকালে পারাবত ট্রেনে কুলাউড়ায় ফেরার কথা ছিল। পারাবত ট্রেন সময়মতো ধরতে না পারায় তারা রাতের উপবন ট্রেনে উঠেন। এরপর ট্রেন কুলাউড়ার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকায় আসার পর দুর্ঘটনার শিকার হলে ট্রেনের বগি উল্টে পড়ে যায়।
এ সময় মনোয়ারার মেয়ে রোকসানা তার মাকে উদ্ধারের প্রাণপণ চেষ্টা চালায়। সঙ্গে সঙ্গে তার বাবাকে ফোন দেয়, ‘বাবা আম্মা মারা গেছেন, গাড়ি থেকে উনাকে বের করতে পারছি না।’ খবর পেয়ে মনোয়ারার স্বামী কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মো. আব্দুল বারী ঘটনাস্থলে স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য বাড়ি থেকে রওনা দেন। কিন্তু তিনি সেখানে গিয়ে স্ত্রীকে পাননি। এর আগে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তার লাশ উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
মনোয়ারার স্বামী আব্দুল বারী তার লাশ শনাক্ত করে মরদেহ কুলাউড়ার টিটিডিসি এলাকায় বাসায় নিয়ে আসেন। মরদেহ বাসায় আনার পর শোকের মাতম শুরু হয়। তাকে এক নজর দেখার জন্য বাসায় সহস্রাধিক লোকের সমাগম ঘটে। সোমবার বিকাল ৫টায় মো. আব্দুল বারীর গ্রামের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার গুপ্তগ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত মনোয়ারা পারভীনের মেয়ে রোকসানা পারভীন বলেন, আম্মুকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। অনেক চেষ্টা করেও আমার আম্মুকে বাঁচাতে পারলাম না। আম্মু যখন ট্রেনের নিচে আটকা পড়লো, তখন কতজনের হাতেপায়ে ধরে বলেছি- হেল্প মি, হেল্প মি। সহযোগিতা না করে সবাই সেলফি তোলা আর ফেসবুক লাইভ নিয়ে ব্যস্ত ছিল। কেউ আমাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এলো না। আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) সঙ্গে কথা বলতে চাই না। প্লিজ, আমাকে বিরক্ত করবেন না।’ আমার চোখের সামনে আমার আম্মু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো।
কুলাউড়ার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকায় বড়ছড়া ব্রিজের উপর ট্রেনটি দুর্ঘটনার শিকার হলে তিনি মারা যান। এসময় তার সহযাত্রী নিজের দ্বিতীয় মেয়ে কুলাউড়া ইয়াকুব-তাজুল মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক ২য় বর্ষের ছাত্রী রোকসানা পারভীন প্রাণপণ চেষ্টা করেও তার মাকে বাঁচাতে পারেননি। নিজের চোখের সামনে মাকে হারিয়ে এখন বাকরুদ্ধ রোকসানা।
রোববার রাতে সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তিনি ঘটনাস্থলে মারা যান। মনোয়ারা পারভীন কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট ঠিকাদার মো. আব্দুল বারীর স্ত্রী। গত ২২শে জুন দুপুরে পারাবত ট্রেনে মনোয়ারা পারভীন তার দ্বিতীয় মেয়ে রোকসানা পারভীনকে সঙ্গে নিয়ে তার বড় মেয়ে ইশরাত আরা মুন্নির সিলেটের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন।
রোববার নিহত মনোয়ারার একমাত্র ছেলে সিলেট শাহজালাল সিটি কলেজের ছাত্র শাহরি আহমদ দীপু সিলেট থেকে তার মা ও বোন রোকসানাকে একটি সিএনজি অটোরিকশা দিয়ে সিলেট স্টেশনে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে তাদের বিকালে পারাবত ট্রেনে কুলাউড়ায় ফেরার কথা ছিল। পারাবত ট্রেন সময়মতো ধরতে না পারায় তারা রাতের উপবন ট্রেনে উঠেন। এরপর ট্রেন কুলাউড়ার বরমচাল রেলক্রসিং এলাকায় আসার পর দুর্ঘটনার শিকার হলে ট্রেনের বগি উল্টে পড়ে যায়।
এ সময় মনোয়ারার মেয়ে রোকসানা তার মাকে উদ্ধারের প্রাণপণ চেষ্টা চালায়। সঙ্গে সঙ্গে তার বাবাকে ফোন দেয়, ‘বাবা আম্মা মারা গেছেন, গাড়ি থেকে উনাকে বের করতে পারছি না।’ খবর পেয়ে মনোয়ারার স্বামী কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা মো. আব্দুল বারী ঘটনাস্থলে স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য বাড়ি থেকে রওনা দেন। কিন্তু তিনি সেখানে গিয়ে স্ত্রীকে পাননি। এর আগে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তার লাশ উদ্ধার করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
মনোয়ারার স্বামী আব্দুল বারী তার লাশ শনাক্ত করে মরদেহ কুলাউড়ার টিটিডিসি এলাকায় বাসায় নিয়ে আসেন। মরদেহ বাসায় আনার পর শোকের মাতম শুরু হয়। তাকে এক নজর দেখার জন্য বাসায় সহস্রাধিক লোকের সমাগম ঘটে। সোমবার বিকাল ৫টায় মো. আব্দুল বারীর গ্রামের বাড়ি কুলাউড়া উপজেলার গুপ্তগ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত মনোয়ারা পারভীনের মেয়ে রোকসানা পারভীন বলেন, আম্মুকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। অনেক চেষ্টা করেও আমার আম্মুকে বাঁচাতে পারলাম না। আম্মু যখন ট্রেনের নিচে আটকা পড়লো, তখন কতজনের হাতেপায়ে ধরে বলেছি- হেল্প মি, হেল্প মি। সহযোগিতা না করে সবাই সেলফি তোলা আর ফেসবুক লাইভ নিয়ে ব্যস্ত ছিল। কেউ আমাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এলো না। আমি আপনাদের (সাংবাদিকদের) সঙ্গে কথা বলতে চাই না। প্লিজ, আমাকে বিরক্ত করবেন না।’ আমার চোখের সামনে আমার আম্মু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো।
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]