প্রথম পাতা
চেনা সাকিব মুশফিক
ইশতিয়াক পারভেজ, ইংল্যান্ড থেকে
২৫ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:২৩ পূর্বাহ্ন
দুই দিন আগের কথা। রোজ বোল স্টেডিয়ামে ভারতকে প্রায় মাটিতে নামিয়ে এনেছিল আফগানিস্তান। রান মেশিন বিরাট কোহলির দল মাত্র ২২৪ তোলে ৮ উইকেট হারিয়ে। যদিও শেষ পর্যন্ত জয় এসেছে ভারতের। কিন্তু সেটি নবাগত আফগানদের বিপক্ষে তাদের সব অভিজ্ঞতা উজাড় করে ঘাম ঝরিয়ে। গতকাল সাউদাম্পটন শহর থেকে প্রায় ৮ মাইল দূরে এই স্টেডিয়াম ছিল বাংলাদেশ ভক্তদের দখলে। লাল সবুজের পতাকা উড়িয়ে মাঠে আসা দর্শকদের বদ্ধমূল বিশ্বাস জিতবে টাইগাররা। কিন্তু ভয়ও কম ছিল না। বিশেষ করে এই মাঠের উইকেট ও আফগান স্পিন নিয়ে। সেই সঙ্গে বড় শঙ্কা, এই ম্যাচে হারলেই তো শেষ বাংলাদেশের বিশ্বকাপের দৌড়ে টিকে থাকার স্বপ্ন। এমন চাপের ম্যাচে ভয়টা আরো বেড়ে গেল ২৩ রানে ওপেনার লিটন দাসকে হারিয়ে। যদিও তার আউটটা ছিল ভীষণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। এরপর কিছুটা লড়াই জমিয়ে তুলে ফিরে যান দেশসেরা ওপেনার তামিমও। এবারও তিনি ব্যর্থ। তবে শেষ পর্যন্ত আবারো দলের দায়িত্ব কাঁদে তুলে নিলেন সেই সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহীম। তারাই টানলেন দলকে। ২০১৫ বিশ্বকাপেও তাদের ব্যাটে ২৫০ ছাড়িয়েছিল বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নবী, মুজিবর রহমাদের ঘূর্ণির সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন। ৬১ রানের জুটি গড়ে দলকে এনে দিলেন বড় সংগ্রহের ভিত। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান তোলে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে টসে হার দেখেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান আফগানিস্তান অধিনায়ক গুলবাদিন নায়েব। এদিন কৌশলগত কারণে সৌম্য সরকারের বদলে ওপেন করতে পাঠানো হয় লিটন কুমার দাসকে। লিটন স্পিনে দারুণ খেলে। সেই কারণেই হয়তো এই পরিবর্তন। ভালোই করছিলেন তিনি। কিন্তু ১৭ বলে ১৬ রান করার সময় মুজিবর রহমানের হঠাৎ নিচু হয়ে আসা বলে ব্যাট চালান লিটন। কিন্ত টাইমিংটাই হয়নি। মাটি থেকে ফুট খানেক উপরে শর্ট কাভারে ক্যাচ দেন হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে। কিন্ত ক্যাচটি তিনি এমন নিচু থেকে ধরেছেন মনে হচ্ছিল মাটি স্পর্শ করা বলই ধরেছেন। আম্পায়ার আউটের সফট সিগন্যাল দিয়ে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠান। কয়েকবার রিপ্লেদেখে আউটের সিদ্ধান্ত জানান আলিম দার। তার সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
এরপর সাকিব আসেন ক্রিজে। তামিমকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই শুরু করেন। গড়ে তোলেন ৫৯ রানের জুটি। দেশের দুই সেরা ক্রিকেটারের এই জুটি বেশ স্বতিই দিচ্ছিল টাইগার শিবিরে। কিন্ত আগের ম্যাচেই ফিফটি হাঁকানো তামিম ফের খেললেন এলোমেলো শট। ভালো খেলতে খেলতে ফিরেছেন নিজের ভুলে। দারুণ এক চার মেরে পরের বলে নবীকে ব্যাকফুটে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ৩৬ রান করে। সেটি ছিল ওভারের শেষ বল। রশীদের করা পরের ওভারের প্রথম বলে এলবিডাব্লিউর আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। সাকিব রিভিউ চান। দেখা যায়, বেলের ইঞ্চি চারেক ওপর দিয়ে চলে যেত বল। বেঁচে যান তিনি। এরপর সাকিব ও মুশফিক দলকে দ্রুত গতিতে রান এনে দিয়েছেন। তবে ফিফটির সামনে এসে একটু থমকে গিয়েছিলেন সাকিব। ২৭তম ওভারে ৪৯ রানে থাকা সাকিব গুলবদিন নায়েবের ৬ বল থেকে ১টি রানও নিতে পারেননি। পরে মোহাম্মদ নবীর ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় ফিফটি পূর্ণ করেন। অবশ্য এরপর নিজের নামের পাশে এক রান যোগ করেই ফিরে গেছেন সাজঘরে। মুজিবের একটি ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডাব্লিউ হন তিনি ব্যক্তিগত ৫১ রানে। ১৪৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপরই আউট হয়েছেন এই বিশ্বকাপে প্রথমবার পাঁচে নামা সৌম্য সরকার। এর আগে ৬ ম্যাচেই তিনি ছিলেন তামিমের ওপেনিং সঙ্গী। রিভিউ নিয়ে সৌম্য এলবিডাব্লিউর হাত থেকে রক্ষা পাননি।
তবে লড়াই করে গেছেন মুশফিক। সাকিবের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি ভাঙার পর দলের হাল ধরেন মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে। কারণ সৌম্যের সঙ্গে তার জুটি থেমেছে মাত্র ৮ রানে। রিয়াদকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদ মুক্ত করেন তিনি। দলের স্কোর বোর্ডে ২০৭ রানের সময় ২৭ রান করা রিয়াদ আউট হয়ে যান। ব্যাথা পেয়ে খেলতে পারছিলেন না তিনি। এরপর মোসাদ্দেককে নিয়ে মুশফিক গড়েন ৪৪ রানের জুটি। তাতেই দল পায় ২৫০ রানের দেখা। ৪৮.৩ ওভারের সময় ৮৩ রান করা মুশফিক আউট হন। এরপর এক ম্যাচ পর একাদশে ফেরা সৈকত আউট হন ৩৫ করে।
বিশ্বকাপের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার ম্যাচে টসে হার দেখেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান আফগানিস্তান অধিনায়ক গুলবাদিন নায়েব। এদিন কৌশলগত কারণে সৌম্য সরকারের বদলে ওপেন করতে পাঠানো হয় লিটন কুমার দাসকে। লিটন স্পিনে দারুণ খেলে। সেই কারণেই হয়তো এই পরিবর্তন। ভালোই করছিলেন তিনি। কিন্তু ১৭ বলে ১৬ রান করার সময় মুজিবর রহমানের হঠাৎ নিচু হয়ে আসা বলে ব্যাট চালান লিটন। কিন্ত টাইমিংটাই হয়নি। মাটি থেকে ফুট খানেক উপরে শর্ট কাভারে ক্যাচ দেন হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে। কিন্ত ক্যাচটি তিনি এমন নিচু থেকে ধরেছেন মনে হচ্ছিল মাটি স্পর্শ করা বলই ধরেছেন। আম্পায়ার আউটের সফট সিগন্যাল দিয়ে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে পাঠান। কয়েকবার রিপ্লেদেখে আউটের সিদ্ধান্ত জানান আলিম দার। তার সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
এরপর সাকিব আসেন ক্রিজে। তামিমকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই শুরু করেন। গড়ে তোলেন ৫৯ রানের জুটি। দেশের দুই সেরা ক্রিকেটারের এই জুটি বেশ স্বতিই দিচ্ছিল টাইগার শিবিরে। কিন্ত আগের ম্যাচেই ফিফটি হাঁকানো তামিম ফের খেললেন এলোমেলো শট। ভালো খেলতে খেলতে ফিরেছেন নিজের ভুলে। দারুণ এক চার মেরে পরের বলে নবীকে ব্যাকফুটে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ৩৬ রান করে। সেটি ছিল ওভারের শেষ বল। রশীদের করা পরের ওভারের প্রথম বলে এলবিডাব্লিউর আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। সাকিব রিভিউ চান। দেখা যায়, বেলের ইঞ্চি চারেক ওপর দিয়ে চলে যেত বল। বেঁচে যান তিনি। এরপর সাকিব ও মুশফিক দলকে দ্রুত গতিতে রান এনে দিয়েছেন। তবে ফিফটির সামনে এসে একটু থমকে গিয়েছিলেন সাকিব। ২৭তম ওভারে ৪৯ রানে থাকা সাকিব গুলবদিন নায়েবের ৬ বল থেকে ১টি রানও নিতে পারেননি। পরে মোহাম্মদ নবীর ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে বিশ্বকাপে নিজের তৃতীয় ফিফটি পূর্ণ করেন। অবশ্য এরপর নিজের নামের পাশে এক রান যোগ করেই ফিরে গেছেন সাজঘরে। মুজিবের একটি ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডাব্লিউ হন তিনি ব্যক্তিগত ৫১ রানে। ১৪৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপরই আউট হয়েছেন এই বিশ্বকাপে প্রথমবার পাঁচে নামা সৌম্য সরকার। এর আগে ৬ ম্যাচেই তিনি ছিলেন তামিমের ওপেনিং সঙ্গী। রিভিউ নিয়ে সৌম্য এলবিডাব্লিউর হাত থেকে রক্ষা পাননি।
তবে লড়াই করে গেছেন মুশফিক। সাকিবের সঙ্গে ৬১ রানের জুটি ভাঙার পর দলের হাল ধরেন মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে। কারণ সৌম্যের সঙ্গে তার জুটি থেমেছে মাত্র ৮ রানে। রিয়াদকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়ে দলকে বিপদ মুক্ত করেন তিনি। দলের স্কোর বোর্ডে ২০৭ রানের সময় ২৭ রান করা রিয়াদ আউট হয়ে যান। ব্যাথা পেয়ে খেলতে পারছিলেন না তিনি। এরপর মোসাদ্দেককে নিয়ে মুশফিক গড়েন ৪৪ রানের জুটি। তাতেই দল পায় ২৫০ রানের দেখা। ৪৮.৩ ওভারের সময় ৮৩ রান করা মুশফিক আউট হন। এরপর এক ম্যাচ পর একাদশে ফেরা সৈকত আউট হন ৩৫ করে।