দেশ বিদেশ
খালেদা জিয়ার চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলার শুনানি শিগগিরই
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ জুন ২০১৯, সোমবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলার জামিন আবেদনের শুনানি চলতি সপ্তাহ বা আগামী সপ্তাহে করা হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ কথা জানান। এদিন আদালতে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জামিন আবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদূদ আহমদ, এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। আদেশের পর দুদকের কৌঁসুলি খুরশিদ আলম খান বলেছেন, আমরা জামিন আবেদনের প্রত্যেকটি যুক্তির আইনগতভাবে জবাব দেবো। কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না। এর আগে ৩০শে এপ্রিল হাইকোর্টে নথি না আসায় খালেদার জামিন শুনানি হয়নি। তখন আদালত নিম্ন আদালতকে ২ মাসের মধ্যে নথি তলব করেন। হাইকোর্টের ওই নির্দেশনার আলোকে বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় এই নথি হাইকোটে ফৌজদারি আপিল শাখায় পাঠানো হয়। এদিকে, বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন শুনানির জন্য আদালতে মেনশন করা হলে আদালত চলতি সপ্তাহ কিংবা আগামী সপ্তাহের মধ্যে জামিন আবেদন শুনানি করবেন বলে আমাদেরকে অবগত করেছেন। আশা করছি আদালত বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও সামাজিক অবস্থা সুবিবেচনা করে যথাযথ গুরুতসহকারে নিয়ে জামিন দেবেন।
গত বছরের ২৯শে অক্টোবর, ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন। পাশাপাশি তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আর ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয় রায়ে। এরপর রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার চারদিন পর গত বছর ১৮ই নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠা এই আপিলের সঙ্গে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনও করা হয়। গত ৩০শে এপ্রিল খালেদা জিয়াকে দেয়া দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের রায়ে দেয়া অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের আদেশে স্থিতাবস্থা দেন আদালত। তবে এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি শোনেনি আদালত। জামিনের আবেদনটি নথিভুক্ত করে দুই মাসের মধ্যে মামলার নথি তলব করা হয়। একইসঙ্গে নথি পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুটি মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান তিনি। পরবর্তীকালে হাইকোর্ট এই মামলায় তার সাজা ৫ বছরের পরিবর্তে দশ বছর করা হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন। এই দুই মামলায় জামিন না পাওয়ায় মুক্তি আটকে আছে বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার। অর্থাৎ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিন হলেই খুলবে তার মুক্তির পথ। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দায়ের ৩৭টি মামলার মধ্যে ৩৫ মামলায় জামিনে আছেন তিনি।
গত বছরের ২৯শে অক্টোবর, ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের প্রায় সোয়া ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন। পাশাপাশি তাদের ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। আর ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয় রায়ে। এরপর রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি হাতে পাওয়ার চারদিন পর গত বছর ১৮ই নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠা এই আপিলের সঙ্গে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনও করা হয়। গত ৩০শে এপ্রিল খালেদা জিয়াকে দেয়া দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের রায়ে দেয়া অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের আদেশে স্থিতাবস্থা দেন আদালত। তবে এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি শোনেনি আদালত। জামিনের আবেদনটি নথিভুক্ত করে দুই মাসের মধ্যে মামলার নথি তলব করা হয়। একইসঙ্গে নথি পাওয়ার পর জামিনের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলে আশ্বাস দেন। উল্লেখ্য, দুর্নীতির দুটি মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান তিনি। পরবর্তীকালে হাইকোর্ট এই মামলায় তার সাজা ৫ বছরের পরিবর্তে দশ বছর করা হয়। এই সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন। এই দুই মামলায় জামিন না পাওয়ায় মুক্তি আটকে আছে বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার। অর্থাৎ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিন হলেই খুলবে তার মুক্তির পথ। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দায়ের ৩৭টি মামলার মধ্যে ৩৫ মামলায় জামিনে আছেন তিনি।