দেশ বিদেশ
স্কলার্সহোম ট্র্যাজেডি
এখনো জ্ঞান ফিরেনি স্কুলছাত্র ফাবিয়ানের
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৪ জুন ২০১৯, সোমবার, ৯:৩৪ পূর্বাহ্ন
স্কলার্সহোমের ক্যাম্পাসে গুরুতর আহত চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাবিয়ান চৌধুরীর ঘটনার পর ক্ষোভ বাড়ছে সিলেটে। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তারা নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন। ঘটনায় গতকাল সিলেটে শিশু কিশোর মেলার পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়েছে। এর আগে গত শনিবার সিলেটে ‘সংক্ষুব্ধ নাগরিকবন্ধন’ হয়েছে। পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে- ফাবিয়ান চৌধুরীর অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত। গত এক সপ্তাহ ধরে সে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। এখনো ডাক্তাররা পরিবারকে কোনো সুখবর দিতে পারেননি। ঢাকার গ্রীন লাইফ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা ফাবিয়ানের ফুসফুস ও কোমরের নিচের অংশ মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়েছে। সিলেটের শিবগঞ্জের স্কলার্সহোম ক্যাম্পাসে গত ১৭ই জুনের ঘটনা। টিলাগড়ের বাসিন্দা ফারহিম চৌধুরীর চতুর্থ শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে ফাবিয়ান চৌধুরীকে ওই দিন স্কুলের মাঠের পাশে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। ফাবিয়ান চৌধুরী স্কুল ক্যাম্পাসের চতুর্থ তলা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছে বলে ওই দিন স্কুলে থাকা অভিভাবকরা অভিযোগ করেন। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে এড়িয়ে যান। ঘটনার পর সিলেটের ইবনে সিনা, ওয়েসিস এবং আল হারমাইন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফাবিয়ান চৌধ
ুরীকে ঢাকার গ্রীন লাইফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫ দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে সে। ফাবিয়ান চৌধুরীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়- গ্রীন লাইফে সন্তানকে নিয়ে ফাবিয়ানের পিতা ফারহিম সহ অন্যরা ব্যস্ত রয়েছেন। তারা এখনো ছেলেকে বাঁচাকে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। কথা বলার মতো মানসিকতা তাদের নেই। ওই সূত্র জানায়, ফাবিয়ানের ফুসফুসের টিস্যু ছিঁড়ে গেছে। এ কারণে তার রক্তক্ষরণ বেশি হয়। একই সঙ্গে তার কোমরের নিচের হাড় ভেঙ্গে গেছে। শাররিক অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ফাবিয়ানের চিকিৎসা শুরু করা যাচ্ছে না। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। এদিকে- সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত মানববন্ধনে ‘সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন’-এর নেতারা চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাবিয়ান চৌধুরীর উন্নত চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার ‘স্কুল’ কর্তৃপক্ষকে বহন ও দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। ফাবিয়ানের এই দুর্ঘটনা সিলেটের অভিভাবক মহলে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততা নাগরিকরা সংক্ষুব্ধ হয়েছেন। সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম নাগরিকবন্ধন কর্মসুচির সূচনা বক্তব্যে ফাবিয়ানের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বলেন- দুর্ঘটনা যে কোন সময়, যে কোন জায়গায় ঘটতে পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন নিজের ঘরেও দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু সেই দুর্ঘটনার কারণ তো জানতে হবে। কারন উদ্ঘাটন হলে স্পষ্ট হবে ফাবিয়ান কেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে? ফাবিয়ানের সংকটাপন্ন জীবনের জন্য প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীন নিরাপত্তা ব্যাবস্থা কত টুকু দায়ি তা খুঁজে বেড় করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী গোলাম সোবহান চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে পরিবারের পক্ষ থেকে বলেন ফাবিয়ানের দাদা সম্পর্কীয় সৈয়দ ফয়সল আহমেদ। তিনি বলেন, ফাবিয়ান পাঁচতলা থেকে পড়ে গেছে এমন খবর পেয়ে আমরা পাগলের মত স্কুলে ছুটে যাই। দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসা সাংবাদিক শাহ মুজিবুর রহমান জকন বলেন, ফাবিয়ানকে ছাঁদ থেকে ভূতে ফেলা দেয়ার কথা বলেছেন দায়িত্বশীলদের কেউ কেউ। এছাড়া স্কলার্স হোম স্কুল ও কলেজ-এর বিভিন্ন শাখার অভিভাবকদের মধ্য থেকে রাখা বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন মফিজুর রহমান বারেক, মীর সাইদুল আহরার, ব্যাংক কর্মকর্তা জায়েদুল বাহার রাসেল ও কাশেম আজাদ, মুজাহিদ খান গুলশান, নুরুল ইসলাম সাজুয়ান প্রমুখ।
ুরীকে ঢাকার গ্রীন লাইফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৫ দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে রয়েছে সে। ফাবিয়ান চৌধুরীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়- গ্রীন লাইফে সন্তানকে নিয়ে ফাবিয়ানের পিতা ফারহিম সহ অন্যরা ব্যস্ত রয়েছেন। তারা এখনো ছেলেকে বাঁচাকে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। কথা বলার মতো মানসিকতা তাদের নেই। ওই সূত্র জানায়, ফাবিয়ানের ফুসফুসের টিস্যু ছিঁড়ে গেছে। এ কারণে তার রক্তক্ষরণ বেশি হয়। একই সঙ্গে তার কোমরের নিচের হাড় ভেঙ্গে গেছে। শাররিক অবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ফাবিয়ানের চিকিৎসা শুরু করা যাচ্ছে না। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। এদিকে- সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত মানববন্ধনে ‘সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলন’-এর নেতারা চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফাবিয়ান চৌধুরীর উন্নত চিকিৎসার সমস্ত ব্যয়ভার ‘স্কুল’ কর্তৃপক্ষকে বহন ও দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। ফাবিয়ানের এই দুর্ঘটনা সিলেটের অভিভাবক মহলে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্লিপ্ততা নাগরিকরা সংক্ষুব্ধ হয়েছেন। সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম নাগরিকবন্ধন কর্মসুচির সূচনা বক্তব্যে ফাবিয়ানের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে বলেন- দুর্ঘটনা যে কোন সময়, যে কোন জায়গায় ঘটতে পারে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন নিজের ঘরেও দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু সেই দুর্ঘটনার কারণ তো জানতে হবে। কারন উদ্ঘাটন হলে স্পষ্ট হবে ফাবিয়ান কেন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছে? ফাবিয়ানের সংকটাপন্ন জীবনের জন্য প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বহীন নিরাপত্তা ব্যাবস্থা কত টুকু দায়ি তা খুঁজে বেড় করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী গোলাম সোবহান চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে পরিবারের পক্ষ থেকে বলেন ফাবিয়ানের দাদা সম্পর্কীয় সৈয়দ ফয়সল আহমেদ। তিনি বলেন, ফাবিয়ান পাঁচতলা থেকে পড়ে গেছে এমন খবর পেয়ে আমরা পাগলের মত স্কুলে ছুটে যাই। দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আসা সাংবাদিক শাহ মুজিবুর রহমান জকন বলেন, ফাবিয়ানকে ছাঁদ থেকে ভূতে ফেলা দেয়ার কথা বলেছেন দায়িত্বশীলদের কেউ কেউ। এছাড়া স্কলার্স হোম স্কুল ও কলেজ-এর বিভিন্ন শাখার অভিভাবকদের মধ্য থেকে রাখা বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন মফিজুর রহমান বারেক, মীর সাইদুল আহরার, ব্যাংক কর্মকর্তা জায়েদুল বাহার রাসেল ও কাশেম আজাদ, মুজাহিদ খান গুলশান, নুরুল ইসলাম সাজুয়ান প্রমুখ।