বাংলারজমিন
কালিহাতীতে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর মানবেতর জীবন
কালিহাতী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
২৪ জুন ২০১৯, সোমবার, ৯:১০ পূর্বাহ্ন
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের মেয়ে দুই সন্তানের জননী পুলিশ সদস্য রেজাউল করিম মঞ্জুর স্ত্রী ছালেহা শিশু সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। রোববার দুপুরে এলেঙ্গায় এক সংবাদ সম্মেলনে ছালেহা খাতুন তার শিশু সন্তান নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৪ সালে ভুয়াপুর উপজেলার খুদে নিকলা গ্রামের মৃত আকতার হোসেনের ছেলে মো. রেজাউল করিম (মঞ্জু)’র সঙ্গে পারিবারিকভাবে আমার বিবাহ হয়। পরে আমার স্বামীর বাড়ির লোকজন মিলে একাধিক কাগজে রেশন কার্ড করার কথা বলে আমার স্বাক্ষর ও টিপসহি নেয়। ওই স্বাক্ষর ও টিপসহিকৃত কাগজ ব্যবহার করে পুনরায় গত ১২/০৩/২০০৬ তারিখে ১ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে জাল কাবিননামা তৈরি করে গোপন রাখে। পরবর্তীতে বিষয়টি আমি জানতে পেরে ১০-১০-২০১৬ তারিখে জাল কাবিননামাটির কপি সংগ্রহ করি। পরবর্তীতে নিকাহ রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে জালকাবিন করার অভিযোগে আদালতে একটি মামলা করি। আমার স্বামী রেজাউল করিম মঞ্জু ও নিকাহ রেজিস্ট্রারের যোগসাজশে আমার ২০০৪ সালের বিয়ের কাবিননামায় অস্তিত্বহীন গোপালপুর উপজেলার হাদিরা গ্রামের লিয়াকত আলীর মেয়ে আজমেরী, মধুপুর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের আমীর আলীর ছেলে অস্তিত্বহীন হারুন-অর রশিদকে বর হিসেবে কাবিননামায় লিপিবদ্ধ করেন। বাস্তবে ওই নামের কোনো ছেলে এবং মেয়ে কোনো ঠিকানায় নাই বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান। প্রায় দুই বছর আগে আমার শাশুড়ি, ভাসুর, ননদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় আমার মেয়ে নুরে জান্নাত (১২)কে রেখে ছেলে ইব্রাহিম (১০)কে সহ আমাকে আমার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। তারপর থেকে আমার ভরণপোষণ ও কোনো প্রকার খোঁজখবর নেয় না। এ ব্যাপারে ছালেহা খাতুন পুলিশের বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও কোনো সুফল না পাওয়ায় টাঙ্গাইল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রেজাউল করিম (মঞ্জু), ভুয়াপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার মো. আফছার উদ্দিন, মো. জাহাঙ্গীর খান, শহিদুল ইসলাম, শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম (৫৩), মধুপুর আউশনারা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার রুহুল আমিন ভূঁইয়াকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ও ছালেহার স্বামী রেজাউল করিম মঞ্জু ২০০৪ সালে ছালেহার সঙ্গে বিয়ের কাবিননামা অস্বীকার করে বলেন, আমি ২০০৬ সালে ছালেহার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। কিন্তু তার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাকে আমি সম্প্রতি তালাক দিয়েছি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ও ছালেহার স্বামী রেজাউল করিম মঞ্জু ২০০৪ সালে ছালেহার সঙ্গে বিয়ের কাবিননামা অস্বীকার করে বলেন, আমি ২০০৬ সালে ছালেহার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। কিন্তু তার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তাকে আমি সম্প্রতি তালাক দিয়েছি।