বাংলাদেশ কর্নার
সাউদাম্পটনে প্রতিপক্ষ কেবল আফগানিস্তান নয়
স্পোর্টস রিপোর্টার
২৩ জুন ২০১৯, রবিবার, ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
বিশ্বকাপে ক্রমাগত হারতে থাকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় পাওয়াটা কঠিন হবে না বলেই ধরে নিয়েছেন হয়তো। দু’দলের সাম্প্রতিক নৈপুণ্যও টাইগারদের পক্ষে। কাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা। তবে সাউদাম্পটনে কেবল আফগানিস্তান নয়, টাইগারদের প্রতিপক্ষ হয়ে থাকবে অন্য বিষয়ও।
রোজ বোল মাঠ
টাইগারদের মোকাবিলায় নামার আগে সাউদাম্পটনের মাঠের সঙ্গে পরিচয় হয়ে যাবে আফগানদের। শনিবার ভারতের বিপক্ষে তারা এই মাঠেই খেলেছে। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের যা পারফরম্যান্স। বিশেষ করে যে শক্তিতে তারা আলোচিত সেই স্পিনারদের যা হাল তাতে ভয় অতো পাওয়ার কথা না বাংলাদেশের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই ৩৯৭ রান দিয়েছে আফগানরা। তুরুপের তাস রশিদ খান ৯ ওভারেই দিয়েছেন ১১০ রান। খেয়েছেন রেকর্ড ১১ ছক্কা। কিন্তু রশিদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যটসম্যানদের অমন দাপটের নজির নেই। রশিদ যে মানের লেগ স্পিনার তাতে তার খারাপ দিন চলতেই থাকবে, এমনটা ভাবাও বাড়াবাড়ি। সাউদাম্পটনের রোজ বোল মাঠের আকারও আসলে আফগান স্পিনারদের সুবিধে দিবে। ইংল্যান্ডের বড় মাঠগুলোর একটি রোজভোল। বড় মাঠে স্পিনাররা তুলনামূলক বেশি কার্যকরী। তবে এক্ষেত্রে সুবিধা পাবে বাংলাদেশও। রোজবোলে সাকিব আল হাসান আর মেহেদী হাসান মিরাজ হতে পারেন দলের বোলিংয়ের মূল ভরসা।
সাইফুদ্দিন বিতর্ক
একটি জাতীয় দৈনিকের খবর ঘিরেই যত উত্তাপ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নাকি ‘চোটের ভান’ করে খেলতে নামেননি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সফলতম বোলার তিনিই। ৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট। ডেথ ওভারে দারুণ বল করেন বলে রুবেল হোসেনকে বসিয়ে তাকে খেলিয়ে যাচ্ছিল দল। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগের দিন আচমকা জানা যায়, পীঠের চোটে পড়েছেন এই পেস অলরাউন্ডার। টনটনে ম্যাচ খেলে আসার পরও যে চোট কারো নজরে আসেনি, নটিংহ্যামে আসতে তা কোথা থেকে এলো। তা নিয়েই সংশয়। কিন্তু একজন খেলোয়াড়ের যেকোনো সময় চোট অনুভব হতেই পারে না। যার শরীর কেবল মাত্র তিনিই বলতে পারবেন সেখানে ব্যথা কত। এই ধরনের পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের উপরই ছাড়া হয় সিদ্ধান্তের ভার। সাইফুদ্দিনের উপর সে সিদ্ধান্তের ভার দিয়েও টিম ম্যানেজমেন্ট যে সন্দেহমুক্ত নয়, একটি সূত্রে আগেই জানা গেছে তা। সাইফুদ্দিনের ঘটনা সত্য-মিথ্যা যাইহোক। বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে তা বাংলাদেশ দলের জন্য কোনো ভালো খবর নয়। বিশ্বকাপে এখন সব ম্যাচই বাংলাদেশের বাঁচা-মরার।
ঢিলেঢালা ফিল্ডিং
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটসম্যানরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছেন। অতো বিশাল লক্ষ্য হওয়ায় কেউ তাদের খামতি দেখছে না। বোলিংয়ের হতশ্রী দশা নিয়ে আগেই সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু যেটা এড়িয়ে গেছে সেটা হলো ফিল্ডিং। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে সবচেয়ে বাজে ফিল্ডিং দল বাংলাদেশ কিনা, এই প্রশ্নও ওঠার জোগাড়। একদম শুরুর ম্যাচ থেকে দলের ফিল্ডিং ছিল না ধারাবাহিক। ক্যাচ পড়েছে নিয়মিত। ফিল্ডিংয়ে ক্ষিপ্রতার অভাব দেখা গেছে ভীষণ। বল গড়িয়ে যাচ্ছে, আরেকটু বাড়তি তাদিগ নিয়ে ডাইভ দিচ্ছেন না কেউ। বল ধরে থ্রো করতে দেরি হচ্ছে, একের জায়গায় দুই আর দুইয়ের জায়গায় হয়ে যাচ্ছে তিন রান। ঠিকঠাক জাজমেন্টেরও ঘাটতি চোখে লাগার মতো। সেদিন ডেভিড ওয়ার্নার যেমন দু’বার পান জীবন। মাত্র ১০ রানে তার ক্যাচ ফেলেন সাব্বির রহমান। ফিফটি পেরুনোর পর সেই সাব্বিরই ওয়ার্নারকে রান আউট করতে ব্যর্থ।
অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা সেদিন ম্যাচ শেষে স্বীকার করেন, দলের অনেকের ছোটখাটো চোট সমস্যা থাকাতেও ফিল্ডিংয়ে প্রভাব পড়ছে। আফগানিস্তান ম্যাচে তাই বাংলাদেশের ফিল্ডিং আর শরীরী ভাষা থাকবে উদ্বেগের কারণ হয়ে। এসব আমলে নিলেও আফগানদের বিপক্ষে আসলে অনেকখানি এগিয়ে বাংলাদেশ। সব বিভাগ মিলিয়ে শক্তিতে এগিয়ে, র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে, সামপ্রতিক পারফরম্যান্সে তো বটেই। ব্যাটিং নিয়ে এখন পর্যন্ত মাত করা বাংলাদেশের তুলনায় ব্যাটিং শক্তিতে বেশ খানিকটা পিছিয়ে আফগানরা। নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ খারাপ খেলেনি। যদিও হারের পর সেমিফাইনাল কঠিন হয়ে পড়ায় হতাশা রয়েছে টাইগার শিবিরে। তবে খেলার ধরনে গোটা দুনিয়ারই বাহবা পেয়েছে বাংলাদেশ দল।
রোজ বোল মাঠ
টাইগারদের মোকাবিলায় নামার আগে সাউদাম্পটনের মাঠের সঙ্গে পরিচয় হয়ে যাবে আফগানদের। শনিবার ভারতের বিপক্ষে তারা এই মাঠেই খেলেছে। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের যা পারফরম্যান্স। বিশেষ করে যে শক্তিতে তারা আলোচিত সেই স্পিনারদের যা হাল তাতে ভয় অতো পাওয়ার কথা না বাংলাদেশের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই ৩৯৭ রান দিয়েছে আফগানরা। তুরুপের তাস রশিদ খান ৯ ওভারেই দিয়েছেন ১১০ রান। খেয়েছেন রেকর্ড ১১ ছক্কা। কিন্তু রশিদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যটসম্যানদের অমন দাপটের নজির নেই। রশিদ যে মানের লেগ স্পিনার তাতে তার খারাপ দিন চলতেই থাকবে, এমনটা ভাবাও বাড়াবাড়ি। সাউদাম্পটনের রোজ বোল মাঠের আকারও আসলে আফগান স্পিনারদের সুবিধে দিবে। ইংল্যান্ডের বড় মাঠগুলোর একটি রোজভোল। বড় মাঠে স্পিনাররা তুলনামূলক বেশি কার্যকরী। তবে এক্ষেত্রে সুবিধা পাবে বাংলাদেশও। রোজবোলে সাকিব আল হাসান আর মেহেদী হাসান মিরাজ হতে পারেন দলের বোলিংয়ের মূল ভরসা।
সাইফুদ্দিন বিতর্ক
একটি জাতীয় দৈনিকের খবর ঘিরেই যত উত্তাপ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নাকি ‘চোটের ভান’ করে খেলতে নামেননি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সফলতম বোলার তিনিই। ৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট। ডেথ ওভারে দারুণ বল করেন বলে রুবেল হোসেনকে বসিয়ে তাকে খেলিয়ে যাচ্ছিল দল। অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের আগের দিন আচমকা জানা যায়, পীঠের চোটে পড়েছেন এই পেস অলরাউন্ডার। টনটনে ম্যাচ খেলে আসার পরও যে চোট কারো নজরে আসেনি, নটিংহ্যামে আসতে তা কোথা থেকে এলো। তা নিয়েই সংশয়। কিন্তু একজন খেলোয়াড়ের যেকোনো সময় চোট অনুভব হতেই পারে না। যার শরীর কেবল মাত্র তিনিই বলতে পারবেন সেখানে ব্যথা কত। এই ধরনের পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের উপরই ছাড়া হয় সিদ্ধান্তের ভার। সাইফুদ্দিনের উপর সে সিদ্ধান্তের ভার দিয়েও টিম ম্যানেজমেন্ট যে সন্দেহমুক্ত নয়, একটি সূত্রে আগেই জানা গেছে তা। সাইফুদ্দিনের ঘটনা সত্য-মিথ্যা যাইহোক। বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে তা বাংলাদেশ দলের জন্য কোনো ভালো খবর নয়। বিশ্বকাপে এখন সব ম্যাচই বাংলাদেশের বাঁচা-মরার।
ঢিলেঢালা ফিল্ডিং
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটসম্যানরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছেন। অতো বিশাল লক্ষ্য হওয়ায় কেউ তাদের খামতি দেখছে না। বোলিংয়ের হতশ্রী দশা নিয়ে আগেই সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু যেটা এড়িয়ে গেছে সেটা হলো ফিল্ডিং। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে সবচেয়ে বাজে ফিল্ডিং দল বাংলাদেশ কিনা, এই প্রশ্নও ওঠার জোগাড়। একদম শুরুর ম্যাচ থেকে দলের ফিল্ডিং ছিল না ধারাবাহিক। ক্যাচ পড়েছে নিয়মিত। ফিল্ডিংয়ে ক্ষিপ্রতার অভাব দেখা গেছে ভীষণ। বল গড়িয়ে যাচ্ছে, আরেকটু বাড়তি তাদিগ নিয়ে ডাইভ দিচ্ছেন না কেউ। বল ধরে থ্রো করতে দেরি হচ্ছে, একের জায়গায় দুই আর দুইয়ের জায়গায় হয়ে যাচ্ছে তিন রান। ঠিকঠাক জাজমেন্টেরও ঘাটতি চোখে লাগার মতো। সেদিন ডেভিড ওয়ার্নার যেমন দু’বার পান জীবন। মাত্র ১০ রানে তার ক্যাচ ফেলেন সাব্বির রহমান। ফিফটি পেরুনোর পর সেই সাব্বিরই ওয়ার্নারকে রান আউট করতে ব্যর্থ।
অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা সেদিন ম্যাচ শেষে স্বীকার করেন, দলের অনেকের ছোটখাটো চোট সমস্যা থাকাতেও ফিল্ডিংয়ে প্রভাব পড়ছে। আফগানিস্তান ম্যাচে তাই বাংলাদেশের ফিল্ডিং আর শরীরী ভাষা থাকবে উদ্বেগের কারণ হয়ে। এসব আমলে নিলেও আফগানদের বিপক্ষে আসলে অনেকখানি এগিয়ে বাংলাদেশ। সব বিভাগ মিলিয়ে শক্তিতে এগিয়ে, র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে, সামপ্রতিক পারফরম্যান্সে তো বটেই। ব্যাটিং নিয়ে এখন পর্যন্ত মাত করা বাংলাদেশের তুলনায় ব্যাটিং শক্তিতে বেশ খানিকটা পিছিয়ে আফগানরা। নটিংহ্যামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ খারাপ খেলেনি। যদিও হারের পর সেমিফাইনাল কঠিন হয়ে পড়ায় হতাশা রয়েছে টাইগার শিবিরে। তবে খেলার ধরনে গোটা দুনিয়ারই বাহবা পেয়েছে বাংলাদেশ দল।