শেষের পাতা
লোকসভায় তিন তালাক বিল পাস
কলকাতা প্রতিনিধি
২৩ জুন ২০১৯, রবিবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন
তিন তালাককে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ভারতের লোকসভায় শুক্রবার একটি নতুন বিল পাস হয়েছে। গত সংসদের উচ্চকক্ষে বাতিল হওয়া বিলটি নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশনে প্রথম বিল হিসেবে এটি পেশ করা হয়েছিল। এদিন তিন তালাক বিলকে কেন্দ্র করে ভোটাভুটি হয়েছে। ভোটাভুটিতে দেখা গেছে, বিল পেশের পক্ষে ভোট পড়েছে ১৮৬টি, বিপক্ষে ৭৪। অবশ্য ভোটাভুটির আগে বিলটি নিয়ে প্রবল বিতর্ক হয়েছে। সেই বিতর্কে সরব হলেও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ভোটাভুটিতে অংশ নেয় নি তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন বিলটি পেশের আগে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, আমরা গত লোকসভাতেই বিলটি পাস করেছিলাম। কিন্তু রাজ্যসভায় পাস না হওয়ায় লোকসভার মেয়াদ শেষ হতেই বিলটি বাতিল হয়ে যায়।
অধ্যাদেশ জারি ছিল। তাই নতুন সংসদে বিলটি আজ আনা হয়েছে। শাহ বানু মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, তিন তালাক সাংবিধানিক নৈতিকতার বিরুদ্ধে। এটা ধর্ম নয়, নারীর গরিমার বিষয়। রাজনৈতিক মহলের মতে, সংখ্যালঘু সমাজকে বার্তা দিতে প্রথমেই তিন তালাক বিল আনা হয়েছে। লোকসভা ভোটে মুসলিমদের একাংশের ভোট পেয়েছে বিজেপি। তাই উদারপন্থি সংখ্যালঘুদের মন জয়ের চেষ্টায় নেমেছে দল। এদিন বিতর্কে অংশ নিয়ে কংগ্রেসের শশী থারুর বলেছেন, এই আইন সকলের জন্য করা হোক। স্রেফ মুসলিমদের জন্য নয়। কেননা, অন্য ধর্মের অনেক পুরুষও স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে থাকে। ওই পুরুষেরা কেন শাস্তি পাবে না? এমআইএম নেতা আসাউদ্দিন ওয়াইসির বলেছেন, এই আইন মুসলিম মহিলাদের আরো অসহায়ত্বের দিকে ঠেলে দেবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায় জানিয়েছেন, বিতর্কিত বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানোর পক্ষে দল। তবে লোকসভায় বিলটি পাস হলেও রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বিজেপি। ছ’টি করে আসন থাকা জেডিইউ ও টিআরএস বিলটির বিপক্ষে ভোট দিলে বিরোধী ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২০।
দশ সাংসদের বিজেডি ঘোষিত ভাবে বিলটির বিপক্ষে। ধোঁয়াশা রয়েছে জগন্মোহনের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের অবস্থান ঘিরেও। তবে বিজেপি আশাবাদী, বিজেডি ও জেডিইউ ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থাকলেই এ যাত্রায় পাস করানো যাবে বিলটি। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপির নেতৃত্বাধীন গত জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট সরকার মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদে তাৎক্ষণিক তালাক বা তিন তালাকের বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছিল। এই অধ্যাদেশকে পরিবর্তন করে নতুন ‘মুসলিম নারী বিল’ (বিয়ে সুরক্ষা অধিকার) পেশ করা হয়েছিল। এই আইন অনুযায়ী, কোনো মুসলিম পুরুষ তার স্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে তিনবার তালাক বলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটালে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
অধ্যাদেশ জারি ছিল। তাই নতুন সংসদে বিলটি আজ আনা হয়েছে। শাহ বানু মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, তিন তালাক সাংবিধানিক নৈতিকতার বিরুদ্ধে। এটা ধর্ম নয়, নারীর গরিমার বিষয়। রাজনৈতিক মহলের মতে, সংখ্যালঘু সমাজকে বার্তা দিতে প্রথমেই তিন তালাক বিল আনা হয়েছে। লোকসভা ভোটে মুসলিমদের একাংশের ভোট পেয়েছে বিজেপি। তাই উদারপন্থি সংখ্যালঘুদের মন জয়ের চেষ্টায় নেমেছে দল। এদিন বিতর্কে অংশ নিয়ে কংগ্রেসের শশী থারুর বলেছেন, এই আইন সকলের জন্য করা হোক। স্রেফ মুসলিমদের জন্য নয়। কেননা, অন্য ধর্মের অনেক পুরুষও স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে থাকে। ওই পুরুষেরা কেন শাস্তি পাবে না? এমআইএম নেতা আসাউদ্দিন ওয়াইসির বলেছেন, এই আইন মুসলিম মহিলাদের আরো অসহায়ত্বের দিকে ঠেলে দেবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায় জানিয়েছেন, বিতর্কিত বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানোর পক্ষে দল। তবে লোকসভায় বিলটি পাস হলেও রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় বিলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বিজেপি। ছ’টি করে আসন থাকা জেডিইউ ও টিআরএস বিলটির বিপক্ষে ভোট দিলে বিরোধী ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ১২০।
দশ সাংসদের বিজেডি ঘোষিত ভাবে বিলটির বিপক্ষে। ধোঁয়াশা রয়েছে জগন্মোহনের ওয়াইএসআর কংগ্রেসের অবস্থান ঘিরেও। তবে বিজেপি আশাবাদী, বিজেডি ও জেডিইউ ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থাকলেই এ যাত্রায় পাস করানো যাবে বিলটি। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপির নেতৃত্বাধীন গত জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট সরকার মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদে তাৎক্ষণিক তালাক বা তিন তালাকের বিষয়ে অধ্যাদেশ জারি করেছিল। এই অধ্যাদেশকে পরিবর্তন করে নতুন ‘মুসলিম নারী বিল’ (বিয়ে সুরক্ষা অধিকার) পেশ করা হয়েছিল। এই আইন অনুযায়ী, কোনো মুসলিম পুরুষ তার স্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে তিনবার তালাক বলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটালে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।