শেষের পাতা
গুলি করে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন ভূপাতিত করলো ইরান
মানবজমিন ডেস্ক
২১ জুন ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে ইরান। দেশটির দাবি এটি একটি গোয়েন্দা ড্রোন। ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ডস বলছে, আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক নামের ওই ড্রোনটি ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হরমোজগানে তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল। নিজেদের ড্রোন ধ্বংসের কথা স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এটি একটি সাধারণ টহল ড্রোন ছিল। এটি আরকিউ-৪ গ্লোবাল হক নয় এমকিউ-৪সি ড্রোন। একইসঙ্গে তাদের কোনো আকাশযান ইরানের আকাশসীমায় প্রবেশ করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের নেভি ক্যাপ্টেন বিল আরবান।
ড্রোন ধ্বংসের স্থানটি আলোচিত হরমুজ প্রণালীর খুব কাছে। হরমুজ প্রণালী হলো সারাবিশ্বের জন্য তেল রপ্তানির একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখন এই ড্রোন ধ্বংসের ঘটনাটি ঘটলো। এর আগে হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা চালানোকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা এমন একটি অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, যেকোনো সময়ে দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ডনাল্ড ট্রামেপর কথাতেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে জার্মানি।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, আকাশসীমা হচ্ছে ইরানের রেড লাইন। কেউ এই রেড লাইন অতিক্রম করলে এর কঠিন জবাব দেয়া হবে। ইরান এর আগেও একই কাজ করেছে বলে তিনি জানান। রাশিয়ার আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনের অবকাশে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আলী শামখানি বলেন, ইরানের হরমুজগান প্রদেশের আকাশে আমেরিকার গ্লোবাল হক মডেলের একটি গোয়েন্দা ড্রোন প্রবেশ করলে আইআরজিসি ওই ড্রোনকে ভূপাতিত করেছে। আমরা বারবারই বলছি ইরান নিজের আকাশসীমা সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করবে এবং জলসীমাও একইভাবে নিরাপদ রাখবে। কাউকে ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের সুযোগ দেয়া হবে না। বিমান বা ড্রোন যেদেশেরই হোক না কেন তা ভূপাতিত ও কঠিন জবাব দেয়া হবে। আইআরজিসি’র জনসংযোগ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী যেকোনো বিমান বা ড্রোন গুলি করে নামানোর যে নির্দেশ রয়েছে তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধের দামামার মধ্যে অতিরিক্ত ১০০০ সেনা সদস্য মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই উত্তেজনা সোমবার আরো একধাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওইদিন ইরান ঘোষণা দিয়েছে, ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তিতে যে সীমা পর্যন্ত তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কাজ করতে রাজি হয়েছিল, আগামী সপ্তাহে তা অতিক্রম করবে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ওই পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ কঠোর করেন। এর জবাবে ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বৃদ্ধি করেছে।
ড্রোন ধ্বংসের স্থানটি আলোচিত হরমুজ প্রণালীর খুব কাছে। হরমুজ প্রণালী হলো সারাবিশ্বের জন্য তেল রপ্তানির একটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখন এই ড্রোন ধ্বংসের ঘটনাটি ঘটলো। এর আগে হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী ট্যাংকারে হামলা চালানোকে কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা এমন একটি অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে, যেকোনো সময়ে দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে। ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ডনাল্ড ট্রামেপর কথাতেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তবে এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে জার্মানি।
এদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব আলী শামখানি বলেছেন, আকাশসীমা হচ্ছে ইরানের রেড লাইন। কেউ এই রেড লাইন অতিক্রম করলে এর কঠিন জবাব দেয়া হবে। ইরান এর আগেও একই কাজ করেছে বলে তিনি জানান। রাশিয়ার আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনের অবকাশে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আলী শামখানি বলেন, ইরানের হরমুজগান প্রদেশের আকাশে আমেরিকার গ্লোবাল হক মডেলের একটি গোয়েন্দা ড্রোন প্রবেশ করলে আইআরজিসি ওই ড্রোনকে ভূপাতিত করেছে। আমরা বারবারই বলছি ইরান নিজের আকাশসীমা সর্বশক্তি দিয়ে রক্ষা করবে এবং জলসীমাও একইভাবে নিরাপদ রাখবে। কাউকে ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের সুযোগ দেয়া হবে না। বিমান বা ড্রোন যেদেশেরই হোক না কেন তা ভূপাতিত ও কঠিন জবাব দেয়া হবে। আইআরজিসি’র জনসংযোগ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী যেকোনো বিমান বা ড্রোন গুলি করে নামানোর যে নির্দেশ রয়েছে তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধের দামামার মধ্যে অতিরিক্ত ১০০০ সেনা সদস্য মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই উত্তেজনা সোমবার আরো একধাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওইদিন ইরান ঘোষণা দিয়েছে, ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তিতে যে সীমা পর্যন্ত তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কাজ করতে রাজি হয়েছিল, আগামী সপ্তাহে তা অতিক্রম করবে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ওই পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ কঠোর করেন। এর জবাবে ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বৃদ্ধি করেছে।