শেষের পাতা
বগুড়ায় দুদকের মামলায় লতিফ সিদ্দিকী কারাগারে
প্রতীক ওমর, বগুড়া থেকে
২১ জুন ২০১৯, শুক্রবার, ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
দুর্নীতি মামলায় বগুড়ায় জামিন নিতে এসে কারাগারে গেলেন সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। গতকাল দিনের প্রথম ভাগে তিনি বগুড়া জেলা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে হাজির হন। তার পক্ষে বগুড়া বারের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আল মাহমুদ, অ্যাডভোকেট নরেশ মুখার্জি অ্যাডভোকেট হেলালুদ্দিন বিজ্ঞ বিচারকের কাছে জামিনের জন্য আবেদন জানালে বিচারক সরাসরি জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। জামিন না মঞ্জুর হওয়ার পর তাকে বগুড়া জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
বগুড়া দুদকের আইনজীবী পিপি আবুল কালাম আজাদ অভিযোগপত্রে বলেন, আদমদীঘি উপজেলার দারিয়াপুর মৌজায় বিলুপ্ত বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের ২ দশমিক ৩৮ একর জমি এক সময় সরকারি ‘পাট ক্রয়কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহার হতো। সরকারি এই জমি ইজারা নেয়ার জন্য ২০১০ সালের ১১ই মে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন জাহানারা রশিদ। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সে সময় ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের আওতায় সরকারি জমি ইজারা দেয়া হয়। কিন্তু তিনি ইজারার টাকা পরিশোধ করেননি। মন্ত্রীর আত্মীয় হওয়ার কারণে জাহানারা জমি দখলে নিয়েছিলেন।
২০১১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ওই জমি ক্রয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি সম্পত্তি বিক্রয়ের নীতিমালা ভঙ্গ করে উন্মুক্ত দরপত্র ছাড়াই বিক্রি করেন। সরকারি মূল্যের ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকা মূল্যের জমি বিক্রি করা হয় মাত্র ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৪ টাকায়। এসব করেছেন মন্ত্রী একক ক্ষমতাবলে। প্রতারণার মাধ্যমে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে মন্ত্রী সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকা ক্ষতি করেছেন। এতে দণ্ডবিধির ৪২০/১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তদন্তে এর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, ২০১২ সালের ৩০শে ডিসেম্বর কোনো প্রকার টেন্ডার ছাড়াই তৎকালীন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তার পূর্ব পরিচিত বগুড়া শহরের কাটনার পাড়া এলাকার জাহানারা রশিদের কাছে ২৩ লাখ টাকায় পরিত্যক্ত ওই সরকারি জমি বিক্রি করেন। ওই জমি অবৈধভাবে বিক্রির কারণে সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত শেষে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও জাহানারা রশিদকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
তৎকালীন পাটমন্ত্রীর এই দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সংবাদ মিডিয়ায় আসার পর দুদক বিষয়টির অনুসন্ধান শুরু করে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর দুদকের বগুড়া শাখার এডি আমিনুল ইসলাম ১০-১০-১৭ইং তারিখে আদমদীঘি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে ১৮-০২-১৯ তারিখে তিনি মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন। উল্লিখিত মামলায় জামিনের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিতে আসেন তিনি। আদালত জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
বগুড়া দুদকের আইনজীবী পিপি আবুল কালাম আজাদ অভিযোগপত্রে বলেন, আদমদীঘি উপজেলার দারিয়াপুর মৌজায় বিলুপ্ত বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের ২ দশমিক ৩৮ একর জমি এক সময় সরকারি ‘পাট ক্রয়কেন্দ্র’ হিসেবে ব্যবহার হতো। সরকারি এই জমি ইজারা নেয়ার জন্য ২০১০ সালের ১১ই মে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন জাহানারা রশিদ। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সে সময় ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের আওতায় সরকারি জমি ইজারা দেয়া হয়। কিন্তু তিনি ইজারার টাকা পরিশোধ করেননি। মন্ত্রীর আত্মীয় হওয়ার কারণে জাহানারা জমি দখলে নিয়েছিলেন।
২০১১ সালের নভেম্বর মাসে তিনি ওই জমি ক্রয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি সম্পত্তি বিক্রয়ের নীতিমালা ভঙ্গ করে উন্মুক্ত দরপত্র ছাড়াই বিক্রি করেন। সরকারি মূল্যের ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকা মূল্যের জমি বিক্রি করা হয় মাত্র ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৭৪ টাকায়। এসব করেছেন মন্ত্রী একক ক্ষমতাবলে। প্রতারণার মাধ্যমে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে মন্ত্রী সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকা ক্ষতি করেছেন। এতে দণ্ডবিধির ৪২০/১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তদন্তে এর প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, ২০১২ সালের ৩০শে ডিসেম্বর কোনো প্রকার টেন্ডার ছাড়াই তৎকালীন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তার পূর্ব পরিচিত বগুড়া শহরের কাটনার পাড়া এলাকার জাহানারা রশিদের কাছে ২৩ লাখ টাকায় পরিত্যক্ত ওই সরকারি জমি বিক্রি করেন। ওই জমি অবৈধভাবে বিক্রির কারণে সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত শেষে সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও জাহানারা রশিদকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।
তৎকালীন পাটমন্ত্রীর এই দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সংবাদ মিডিয়ায় আসার পর দুদক বিষয়টির অনুসন্ধান শুরু করে। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর দুদকের বগুড়া শাখার এডি আমিনুল ইসলাম ১০-১০-১৭ইং তারিখে আদমদীঘি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে ১৮-০২-১৯ তারিখে তিনি মামলাটির চার্জশিট দাখিল করেন। উল্লিখিত মামলায় জামিনের জন্য বৃহস্পতিবার আদালতে হাজিরা দিতে আসেন তিনি। আদালত জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।