বাংলারজমিন
করিমগঞ্জে মৎস্য খামারে বিষ ঢেলে মাছ নিধন
স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
১৭ জুন ২০১৯, সোমবার, ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
জমি নিয়ে মারামারির জেরে করিমগঞ্জে একটি মৎস্য খামারে বিষ ঢেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ওই মৎস্য খামারের প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছ মরে গিয়ে ভেসে ওঠেছে। শনিবার রাতে করিমগঞ্জ উপজেলার গুনধর ইউনিয়নের পশ্চিম উজানবরাটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মৎস্য খামারের এক অংশীদার শোকগ্রস্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ই জুন রাতে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উজানবরাটিয়া গ্রামের শুকুর মামুদের ছেলে সাইদুর রহমান ও আব্দুল হামিদের ছেলে নবাব আলীর মধ্যে মারামারি হয়। মারামারির পরের দিন ১২ই জুন নবাব আলী পক্ষের লোকজন সাইদুর রহমানের চাচাতো ভাইয়ের ছেলে মতিউর রহমানের মৎস্য খামারে হামলা চালিয়ে খামারের জাল, মুলি বাঁশের খুঁটি ও খামারে বেড়া দেয়ার জিআই তার লুট করে নিয়ে যায়। এছাড়া শনিবার রাত ৮টার দিকে নবাব আলীর ছোট ভাই দুলাল, ছেলে মোশাররফ ও ভাগ্নে জামালের নেতৃত্বে ১০-১২ জন গিয়ে মৎস্য খামারে কীটনাশকের বেশ কয়েকটি প্যাকেট ঢেলে দেয়।
মৎস্য খামারির চাচাতো ভাই নূরুল আমিনসহ গ্রামের কয়েকজন বিষয়টি দেখে ফেললে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার আধ ঘণ্টা পরেই মাছে মড়ক ধরা শুরু হয়। একে একে মরে খামারের পানিতে ভেসে ওঠতে থাকে সব মাছ। রোববার সকালে উজানবরাটিয়া গ্রামে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, খামারের পানিতে হাজার হাজার মাছ মরে ভেসে রয়েছে। মরা মাছের দুর্গন্ধের ভিতরেও গ্রামের শত শত লোক খামারপাড়ে এসে ভিড় করছেন। খবর পেয়ে করিমগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরা মাছ ও ঘটনার আলামত সংগ্রহ করেন। মৎস্য খামারটির মালিক মো. মতিউর রহমান বলেন, খামারে বিভিন্ন প্রজাতির দেড়লাখ পোনা ছেড়েছিলেন তিনি। বর্তমানে বাজারে প্রতিটি মাছের মূল্য গড়ে ৮ থেকে ১০ টাকা করে হতো। বর্তমানে এর বাজার মূল্য কম করে হলেও ৮ লাখ টাকা হতো বলে জানান তিনি। করিমগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মৎস্য খামারির চাচাতো ভাই নূরুল আমিনসহ গ্রামের কয়েকজন বিষয়টি দেখে ফেললে তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার আধ ঘণ্টা পরেই মাছে মড়ক ধরা শুরু হয়। একে একে মরে খামারের পানিতে ভেসে ওঠতে থাকে সব মাছ। রোববার সকালে উজানবরাটিয়া গ্রামে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, খামারের পানিতে হাজার হাজার মাছ মরে ভেসে রয়েছে। মরা মাছের দুর্গন্ধের ভিতরেও গ্রামের শত শত লোক খামারপাড়ে এসে ভিড় করছেন। খবর পেয়ে করিমগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরা মাছ ও ঘটনার আলামত সংগ্রহ করেন। মৎস্য খামারটির মালিক মো. মতিউর রহমান বলেন, খামারে বিভিন্ন প্রজাতির দেড়লাখ পোনা ছেড়েছিলেন তিনি। বর্তমানে বাজারে প্রতিটি মাছের মূল্য গড়ে ৮ থেকে ১০ টাকা করে হতো। বর্তমানে এর বাজার মূল্য কম করে হলেও ৮ লাখ টাকা হতো বলে জানান তিনি। করিমগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।