প্রথম পাতা

সহায়ক -এফবিসিসিআই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

১৬ জুন ২০১৯, রবিবার, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন

প্রস্তাবিত বাজেটকে ব্যবসাবান্ধব ও জনমুখী বলে মনে করছে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। সংগঠনটির মতে, এ বাজেট দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। এছাড়া অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগকে স্বাগত জানায় এফবিসিসিআই। তবে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য সরকার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে এফবিসিসিআই। এতে মূল বক্তব্য পাঠ করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, নিজাম উদ্দিন আহমেদ ও হাসিনা নেয়াজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক খাত থেকে ৪৭ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এটি হলে বেসরকারি খাত বাধাপ্রাপ্ত হবে। তাই ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাতের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে বৈদেশিক উৎস, অবকাঠামো তহবিল, অবকাঠামো বন্ড ও অন্যান্য আর্থিক উপাদানের ওপর জোর দেয়ার অনুরোধ করেন শেখ ফজলে ফাহিম।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার যদি বেশিমাত্রায় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় তাহলে এর প্রভাব বেসরকারি খাতে পড়বে। ব্যাংকিং খাতের ওপর থেকে চাপ কমাতে অন্যান্য উৎস থাকলে ভালো হয়।

প্রস্তাবিত বাজেটকে কেন ব্যবসা বান্ধব বলছেন- এমন প্রশ্নে এফবিসিসিআইর সহসভাপতি ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অতীতের বাজেটগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে এই বাজেটে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবসার সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা থাকলেও তা আলোচনার মাধ্যমে সংশোধনের সুযোগ এখনও আছে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬.২৮ শতাংশ বেশি। হয়রানিমুক্ত রাজস্ব আহরণ ব্যবস্থাপনা ও সঠিক অটোমেশনের মাধ্যমে রাজস্ব আয়ের এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ২০১২ সালের ভ্যাট আইন এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এখন মাল্টিপল রেট আছে। সেই চর্চার সঙ্গে যারা জড়িত নয়, এ কারণে সীমাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। আইনটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা যেন হয়রানির শিকার না হন।

শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, আমাদের প্রত্যাশা, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বড় ব্যবসার ক্ষেত্রে কোনো হয়রানি থাকবে না। ভোক্তাপর্যায়ে খরচ বৃদ্ধি পাবে না। ব্যবসা সহজীকরণের কোনো বাধা থাকবে না। ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত হবে এবং করের আওতা বৃদ্ধি পাবে। সুষ্ঠু তদারকিব্যবস্থা জোরদার করলে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক ব্যক্তি, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী, চা-শ্রমিকসহ সব উপকারভোগীর সংখ্যা ও আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি করা মানবিক পদক্ষেপ। এ ছাড়া যুবকদের জন্য ব্যবসা উদ্যোগ সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগকে আমরা স্বাগত জানাই। বৈধভাবে উপার্জিত অর্থ কোনো কারণে অপ্রদর্শিত থাকতে পারে। সেই অর্থ উৎপাদন খাতে গেলে সেটিকে আমরা নেতিবাচক বলে মনে করি না। তা ছাড়া অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ হলে অর্থপাচারও বন্ধ হবে। তিনি বলেন, ২০২১ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে যাবে। আমরা চাই ইনফরমাল ইকোনমি ফরমাল ইকোনমিতে আসুক। অপ্রদর্শিত অর্থের উৎস যেহেতু সঠিক আছে সেহেতু আমরা প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই।
   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status