এক্সক্লুসিভ
চলছে অভিযান, আটক অর্ধশতাধিক
অপরাধ আস্তানায় চোখ সিলেট নগর পুলিশের
ওয়েছ খছরু, সিলেট থেকে
১৩ জুন ২০১৯, বৃহস্পতিবার, ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
সিলেটের লাক্কাতোড়া বাগান। রাত হলেই মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়ে আনাগোনা। নানা জায়গা থেকে গাড়ি নিয়ে এসে মাদকসেবীরা ভিড় জমান বাগানে। নগরের মানুষের কাছে ওই বাগান মাদকের আড়ত হিসেবে পরিচিত। রয়েছে ইয়াবার বেচা-বিক্রিও। এই অভিযোগ দীর্ঘ দিনের হলেও পুলিশ ছিল নীরব। অবশেষে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এক রাতের অভিযানে পুলিশ ওই বাগান থেকে ৯ মাদকসেবীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে- মাদক বিক্রেতাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সিলেটের মদিনা মার্কেটের কালিবাড়ি এলাকা। সেখানের জুয়ার বোর্ড গোটা নগরের মানুষের কাছে পরিচিত।
এতদিন জুয়ার বোর্ড ও জুয়াড়িদের আনাগোনায় মুখরিত থাকলেও পুলিশের অভিযানের পর পিনপতন নীরবতা নেমে এসেছে সেখানে। কাজির বাজারেও পুলিশ দুই দফা অভিযান চালিয়েছে। গোটা নগরের অপরাধ আস্তানাগুলোতে এখন পুলিশের চোখ। প্রায় প্রতিদিনই এসব আস্তানায় চালানো হচ্ছে অভিযান। আর অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে সিলেট পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা। মহানগর পুলিশ সূত্র জানায়- গত রমজানের মাঝামাঝি সময় থেকে সিলেট মহানগর পুলিশ এই অভিযান জোরদার করে। অভিযানকালে পুলিশ মাদক, জুয়ার আস্তানা, তীর খেলার আস্তানা ও অসামাজিক কার্যকলাপের পরিচিত স্থানগুলোতে হানা দিচ্ছে। আর এই অভিযানের বাইরে রাখা হচ্ছে থানা ও ফাঁড়ি পুলিশকে। এ কারণে অভিযানে থাকা পুলিশ দল পাচ্ছে সফলতাও।
এরই মধ্যে পুলিশ অর্ধশতাধিক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুছা। তিনি জানিয়েছেন- ঈদের আগে থেকেই মহানগর পুলিশ এই অভিযান শুরু করে। এবং সিনিয়র কর্মকর্তারা সঙ্গে থাকায় অভিযানে অপরাধীরা গ্রেপ্তারও হচ্ছে। যারা গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের নির্ধারিত মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে লাক্কাতোড়া চা বাগান এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় এবং ৯ জনকে আটক করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে- মজুমদারি এলাকার উজ্জ্বল, মোহাম্মদ আলী, বাগবাড়ি এলাকার বাবুল, ওসমানী মেডিকেল এলাকার মঞ্জু রাম কর, নিহার দাস, হোসাইন, সানাই মিয়া, জমির আলী ও মকুল। এর আগে সোমবার দক্ষিণ সুরমা থেকে ইয়াবাসহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। স্থানীয় খোজারখলা দুলালের কলোনির সিরাজুল ইসলাম সেলিমের ভাড়া ঘরের সামনে থেকে ৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটক নারী মাদক ব্যবসায়ীর নাম সেলিনা আক্তার।
সে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সাধুরবাজার গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। কলোনির ভাড়াটিয়া বাসিন্দার তথ্যানুযায়ী দিনব্যাপী এবং রাতের মধ্যভাগ পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের লোকজন কলোনির ভাড়াটিয়া সিরাজুল ইসলামের ঘরে আসা-যাওয়া করে এবং উক্ত ঘরে ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। এর আগে নগরীর কাজির বাজারের কাঠলহাটা এলাকা থেকে জুয়া খেলা অবস্থায় ৬ জুয়াড়িকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- মো. কাউসার আহমদ, মো. কাজল মিয়া, আবুল কাশেম, মো. কেরানী, ডালিম মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানিয়েছেন- মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স। তিনি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এই সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। এদিকে- নগরীর মদীনা মার্কেটস্থ কালীবাড়ি রোডের অবৈধ জুয়ার বোর্ডেও অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার বিকালে ওই জুয়ার বোর্ড থেকে অভিযানকালে জুয়া বোর্ডের পরিচালক জুনেদসহ ১২ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে জুনেদের নামে জালালাবাদ থানায় আরো তিনটি মামলা রয়েছে। অভিযানে তিনটি রিকশা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, জুনেদ পরিচালিত এই জুয়ার বোর্ডে দীর্ঘদিন থেকে ভারতীয় তীর খেলা, তিন তাস, গুটিসহ বিভিন্ন রকমের জুয়া খেলা পরিচালিত হতো।
এই খেলার মাধ্যমে এলাকার যুব সমাজ, স্কুল ও কলেজপড়ুয়ারাও এসব খেলায় অংশ নিয়ে প্রতারিত হতো। এদের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ভয়ে মুখ খোলার সাহস পেতো না। আটককৃতরা হলো- মো. মুছাব্বিরের পুত্র মো. জুনায়েদ আহম্মেদ, মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র মো. বাহার উদ্দিন, মৃনাল সরকার, মো. নাসির উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, মো. সালমান, দিলাল খান, মো. উজ্জ্বল মিয়া, মো. তানভীর হোসেন। তাদের কাছ থেকে নগদ ২৫৯০ টাকা, ৮টি মোবাইল, তীর খেলায় ব্যবহৃত কাগজপত্র, বোর্ড, মোটরসাইকেল ১টি, হিসাব রাখার রশিদ ১০০ পাতা, প্যানা পিভিসি তে ছাপানো তীর খেলার চিহ্ন।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী: মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে অভিযান চালিয়ে শহরতলির আটকিয়ারী গ্রামস্থ আল্লাহর দান মায়ের দোয়া মোটরস দোকানের সামনে থেকে ২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতরা হলো- সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার খাইরাইজুতির গ্রামের মৃত সাজ্জাদুর রহমানের ছেলে মো. মফিজ আলী ও একই উপজেলার কান্দিগ্রাম গ্রামের মৃত সোয়াব আলীর ছেলে মহিবুর রহমান। উদ্ধারকৃত আলামত ও গ্রেপ্তারকৃতদের সিলেটের এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এতদিন জুয়ার বোর্ড ও জুয়াড়িদের আনাগোনায় মুখরিত থাকলেও পুলিশের অভিযানের পর পিনপতন নীরবতা নেমে এসেছে সেখানে। কাজির বাজারেও পুলিশ দুই দফা অভিযান চালিয়েছে। গোটা নগরের অপরাধ আস্তানাগুলোতে এখন পুলিশের চোখ। প্রায় প্রতিদিনই এসব আস্তানায় চালানো হচ্ছে অভিযান। আর অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে সিলেট পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তারা। মহানগর পুলিশ সূত্র জানায়- গত রমজানের মাঝামাঝি সময় থেকে সিলেট মহানগর পুলিশ এই অভিযান জোরদার করে। অভিযানকালে পুলিশ মাদক, জুয়ার আস্তানা, তীর খেলার আস্তানা ও অসামাজিক কার্যকলাপের পরিচিত স্থানগুলোতে হানা দিচ্ছে। আর এই অভিযানের বাইরে রাখা হচ্ছে থানা ও ফাঁড়ি পুলিশকে। এ কারণে অভিযানে থাকা পুলিশ দল পাচ্ছে সফলতাও।
এরই মধ্যে পুলিশ অর্ধশতাধিক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুছা। তিনি জানিয়েছেন- ঈদের আগে থেকেই মহানগর পুলিশ এই অভিযান শুরু করে। এবং সিনিয়র কর্মকর্তারা সঙ্গে থাকায় অভিযানে অপরাধীরা গ্রেপ্তারও হচ্ছে। যারা গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের নির্ধারিত মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে লাক্কাতোড়া চা বাগান এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় এবং ৯ জনকে আটক করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। আটককৃতরা হচ্ছে- মজুমদারি এলাকার উজ্জ্বল, মোহাম্মদ আলী, বাগবাড়ি এলাকার বাবুল, ওসমানী মেডিকেল এলাকার মঞ্জু রাম কর, নিহার দাস, হোসাইন, সানাই মিয়া, জমির আলী ও মকুল। এর আগে সোমবার দক্ষিণ সুরমা থেকে ইয়াবাসহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। স্থানীয় খোজারখলা দুলালের কলোনির সিরাজুল ইসলাম সেলিমের ভাড়া ঘরের সামনে থেকে ৩৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। আটক নারী মাদক ব্যবসায়ীর নাম সেলিনা আক্তার।
সে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সাধুরবাজার গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে। কলোনির ভাড়াটিয়া বাসিন্দার তথ্যানুযায়ী দিনব্যাপী এবং রাতের মধ্যভাগ পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের লোকজন কলোনির ভাড়াটিয়া সিরাজুল ইসলামের ঘরে আসা-যাওয়া করে এবং উক্ত ঘরে ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। এর আগে নগরীর কাজির বাজারের কাঠলহাটা এলাকা থেকে জুয়া খেলা অবস্থায় ৬ জুয়াড়িকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতরা হলো- মো. কাউসার আহমদ, মো. কাজল মিয়া, আবুল কাশেম, মো. কেরানী, ডালিম মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ জানিয়েছেন- মাদক ও জুয়ার বিরুদ্ধে পুলিশের জিরো টলারেন্স। তিনি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এই সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। এদিকে- নগরীর মদীনা মার্কেটস্থ কালীবাড়ি রোডের অবৈধ জুয়ার বোর্ডেও অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সোমবার বিকালে ওই জুয়ার বোর্ড থেকে অভিযানকালে জুয়া বোর্ডের পরিচালক জুনেদসহ ১২ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে জুনেদের নামে জালালাবাদ থানায় আরো তিনটি মামলা রয়েছে। অভিযানে তিনটি রিকশা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, জুনেদ পরিচালিত এই জুয়ার বোর্ডে দীর্ঘদিন থেকে ভারতীয় তীর খেলা, তিন তাস, গুটিসহ বিভিন্ন রকমের জুয়া খেলা পরিচালিত হতো।
এই খেলার মাধ্যমে এলাকার যুব সমাজ, স্কুল ও কলেজপড়ুয়ারাও এসব খেলায় অংশ নিয়ে প্রতারিত হতো। এদের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ ভয়ে মুখ খোলার সাহস পেতো না। আটককৃতরা হলো- মো. মুছাব্বিরের পুত্র মো. জুনায়েদ আহম্মেদ, মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র মো. বাহার উদ্দিন, মৃনাল সরকার, মো. নাসির উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, মো. সালমান, দিলাল খান, মো. উজ্জ্বল মিয়া, মো. তানভীর হোসেন। তাদের কাছ থেকে নগদ ২৫৯০ টাকা, ৮টি মোবাইল, তীর খেলায় ব্যবহৃত কাগজপত্র, বোর্ড, মোটরসাইকেল ১টি, হিসাব রাখার রশিদ ১০০ পাতা, প্যানা পিভিসি তে ছাপানো তীর খেলার চিহ্ন।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী: মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে অভিযান চালিয়ে শহরতলির আটকিয়ারী গ্রামস্থ আল্লাহর দান মায়ের দোয়া মোটরস দোকানের সামনে থেকে ২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতরা হলো- সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার খাইরাইজুতির গ্রামের মৃত সাজ্জাদুর রহমানের ছেলে মো. মফিজ আলী ও একই উপজেলার কান্দিগ্রাম গ্রামের মৃত সোয়াব আলীর ছেলে মহিবুর রহমান। উদ্ধারকৃত আলামত ও গ্রেপ্তারকৃতদের সিলেটের এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।