ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯
ওয়ার্ল্ড কাপ নাকি ‘রেইন কাপ’?
স্পোর্টস ডেস্ক
১২ জুন ২০১৯, বুধবার, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
কে বলবে ইংল্যান্ডে এখন গ্রীষ্মকাল চলছে? প্রতিদিনই যে মুষলধারে ঝরছে বৃষ্টি। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার গতকালের ম্যাচসহ এখন পর্যন্ত বৃষ্টিতে ভেসে গেছে বিশ্বকাপের ৩ ম্যাচ। তবে বৃষ্টি যে শুধু ব্রিস্টলে হানা দিয়েছিল তা নয়, গতকাল বৃষ্টি হয়েছে ইংল্যান্ড জুড়েই। ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচগুলোও খেলা সম্ভব হয়নি। দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী ৩-৪ দিনও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আজ পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ও কাল ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দুটোও পরিত্যক্ত হতে পারে। ক্রিকেট ভক্তরা তাই প্রশ্ন তুলেছেন- এটা ওয়ার্ল্ড কাপ নাকি ‘রেইন কাপ’?
এবারের বিশ্বকাপ হচ্ছে রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে। ১০ দলের প্রত্যেকেই একে অপরের বিপক্ষে লড়বে। ৯ ম্যাচ পর সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী চার দল পাবে সেমিফাইনালের টিকিট। এমন ফরম্যাটের কারণে দলগুলোর কাছে রাউন্ড রবিন লীগের প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি দলই ২ পয়েন্টের জন্য মাঠে নামে। সেখানে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে তারা পাচ্ছে ১ পয়েন্ট। রাউন্ড রবিন লীগ শেষে দেখা যাবে বৃষ্টির কারণে কোনো কোনো দলের কপাল পুড়েছে। বড় আফসোস নিয়ে দেশে ফিরে যাবে তারা। অথচ ইংল্যান্ডে ২ মাস আগেও শীতকাল ছিল। তখন টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে কি বিশেষ কোনো ক্ষতি হয়ে যেতো? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নটা তুলেছেন অনেকেই। কেউবা আঙুল তুলেছেন ভারতের ফ্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসর- আইপিএলের দিকে। বলেছেন, আইসিসি এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাঠের পুতুল। ওরা (বিসিসিআই) যা বলে, তাই মেনে নেয়। তাদের কথা একেবারে অযৌক্তিক নয়। এ বছর ভারতে যখন আইপিএল চলছিল (২৩ মার্চ-১২ই মে) সে সময়টাতে সাধারণত বিশ্বকাপের খেলা মাঠে গড়ায়। আগের চার বিশ্বকাপের সূচি দেখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় ২০১১ বিশ্বকাপ শুরু হয় ১৯শে ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ২রা এপ্রিল। অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৫ বিশ্বকাপ শুরু হয় ১৪ই ফেব্রুয়ারি। ফাইনাল ম্যাচ হয় ২৯শে মার্চ। আগের দুই বিশ্বকাপও মাঠে গড়ায় মার্চ নাগাদ। ফলে আইপিএল যে এবারের বিশ্বকাপের সূচি তৈরিতে প্রভাব ফেলেছে এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে।
তবে ইংল্যান্ড এর আগের চারটি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল মে-জুনেই। গ্রীষ্মকাল বেছে নেয়ার কারণ, এ সময়টাতে আবহাওয়া খানিকটা আরামদায়ক হয়। শীতে বিশ্বকাপ আয়োজন করলে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জন্য কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বৃটেনে গ্রীষ্মেই হালকা বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যায়।
গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডে বৃষ্টি হয়, এটা নতুন কিছু নয়। তা ভেবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য ‘রিজার্ভ ডে’ রাখা হয়েছে। তবে রাউন্ড রবিন লীগের কোনো ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। এটা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। কারণ ১ পয়েন্ট অনেক বড় ব্যবধান গড়ে দেবে সেমিফাইনালের দৌড়ে। সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অসন্তুষ্ট ক্রিকেটভক্তরা। তারা ক্রিকেট দেখতে চাচ্ছেন, বৃষ্টি নয়।
এবারের বিশ্বকাপ হচ্ছে রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে। ১০ দলের প্রত্যেকেই একে অপরের বিপক্ষে লড়বে। ৯ ম্যাচ পর সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী চার দল পাবে সেমিফাইনালের টিকিট। এমন ফরম্যাটের কারণে দলগুলোর কাছে রাউন্ড রবিন লীগের প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি দলই ২ পয়েন্টের জন্য মাঠে নামে। সেখানে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে তারা পাচ্ছে ১ পয়েন্ট। রাউন্ড রবিন লীগ শেষে দেখা যাবে বৃষ্টির কারণে কোনো কোনো দলের কপাল পুড়েছে। বড় আফসোস নিয়ে দেশে ফিরে যাবে তারা। অথচ ইংল্যান্ডে ২ মাস আগেও শীতকাল ছিল। তখন টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে কি বিশেষ কোনো ক্ষতি হয়ে যেতো? সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নটা তুলেছেন অনেকেই। কেউবা আঙুল তুলেছেন ভারতের ফ্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসর- আইপিএলের দিকে। বলেছেন, আইসিসি এখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাঠের পুতুল। ওরা (বিসিসিআই) যা বলে, তাই মেনে নেয়। তাদের কথা একেবারে অযৌক্তিক নয়। এ বছর ভারতে যখন আইপিএল চলছিল (২৩ মার্চ-১২ই মে) সে সময়টাতে সাধারণত বিশ্বকাপের খেলা মাঠে গড়ায়। আগের চার বিশ্বকাপের সূচি দেখলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় ২০১১ বিশ্বকাপ শুরু হয় ১৯শে ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ২রা এপ্রিল। অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৫ বিশ্বকাপ শুরু হয় ১৪ই ফেব্রুয়ারি। ফাইনাল ম্যাচ হয় ২৯শে মার্চ। আগের দুই বিশ্বকাপও মাঠে গড়ায় মার্চ নাগাদ। ফলে আইপিএল যে এবারের বিশ্বকাপের সূচি তৈরিতে প্রভাব ফেলেছে এমন প্রশ্ন উঠতেই পারে।
তবে ইংল্যান্ড এর আগের চারটি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল মে-জুনেই। গ্রীষ্মকাল বেছে নেয়ার কারণ, এ সময়টাতে আবহাওয়া খানিকটা আরামদায়ক হয়। শীতে বিশ্বকাপ আয়োজন করলে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জন্য কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বৃটেনে গ্রীষ্মেই হালকা বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যায়।
গ্রীষ্মে ইংল্যান্ডে বৃষ্টি হয়, এটা নতুন কিছু নয়। তা ভেবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য ‘রিজার্ভ ডে’ রাখা হয়েছে। তবে রাউন্ড রবিন লীগের কোনো ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। এটা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। কারণ ১ পয়েন্ট অনেক বড় ব্যবধান গড়ে দেবে সেমিফাইনালের দৌড়ে। সব মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে অসন্তুষ্ট ক্রিকেটভক্তরা। তারা ক্রিকেট দেখতে চাচ্ছেন, বৃষ্টি নয়।