শেষের পাতা
চ ক বা জা র ট্র্যাজেডি
এখনো স্বজনের লাশ পায়নি ৫ পরিবার
মরিয়ম চম্পা
১২ জুন ২০১৯, বুধবার, ৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় পুলিশ ও ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের তত্ত্বাবধানে থাকা ছয়টি লাশের মধ্যে আফতাইয়ের কবর হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনটি লাশ শুরুতে ভুল ঠিকানায় হস্তান্তর করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে আফতাই একজন। এখনো দুটি লাশ কবর থেকে তুলে হস্তান্তর করা হয়নি। বাকি তিনটি মৃতদেহ ঢামেক মর্গে রয়েছে। এর মধ্যে দুটি লাশের নাম পরিচয় শনাক্ত হলেও বাকি একটি লাশের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে পটুয়াখালির ভ্যানচালক শাহাবুদ্দিনের মা বলেন, গত ৩রা মে দৈনিক মানবজমিনে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বড় ছেলের খোঁজে মেজ ছেলেকে ঢাকায় পাঠিয়েছি। ছেলের লাশের খোঁজ করতে নিজের সামান্য যে স্বর্ণালঙ্কার ছিল সেটা বন্ধক দিয়েছি। মেজ ছেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগ, সিআইডি কার্যালয়, চকবাজার থানা সবখানে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু তারা কোনো সন্ধান দিতে পারেনি। সিআইডি ও ঢামেক থেকে বলা হয়, শাহাবুদ্দিন নামে কোনো লাশ তাদের কাছে নেই। শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তানদের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা কোনো রকম বেঁচে আছে। তিনটি ছেলেকে নিয়ে খুব কষ্টে জীবন যাপন করছে শাহাবুদ্দিনের স্ত্রী। মানুষের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এমন কেউ নেই যে ওদের মুখে একটু পানি তুলে দিবে। ছেলেকে ছাড়া এই প্রথম ঈদ গেছে। ঈদের তিনদিন শুধু কান্না করে কাটিয়েছি। এখনো ছেলের জন্য কাঁদছি। ছেলে বেঁচে থাকতে ঈদের সময় বাড়িতে কতো জিনিস এনেছে, খাইয়েছে। মা-বাবা ও স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কতো সুখের ঈদ ছিল আমাদের।
চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল উদ্দিন বলেন, চুড়িহাট্টার ঘটনায় সবমিলিয়ে ৭০টি লাশের মধ্যে এখনো তিনটি লাশ ঢাকা মেডিকেলে রাখা আছে। এর মধ্যে একটি লাশের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা হয়নি। কোর্টের আদেশ পেলেই আমরা লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবো। নিহত রাজুর পরিবার ভুলক্রমে ভোলার ভ্যানচালক শাহাবুদ্দিনের লাশ কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরীতে দাফন করেছে। আর কুড়িগ্রামের রাজুর লাশ আছে ঢাকা মেডিকেলে। চুড়িহাট্টার আরেকটি লাশ ভুল করে নোয়াখালির সোনাইমুড়িতে দাফন করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর দেখা গেছে। তাদের দুজনের লাশ আছে ঢাকা মেডিকেলে। কোর্টের নির্দেশে ম্যজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুটি কবরের লাশ তুলে প্রকৃত স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া ঢামেকে ডিএনএ থেকে শনাক্ত হওয়া লাশ দুটিও তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এদিকে, আরেকটি পরিবার ভুলক্রমে চকবাজারের বাসিন্দা বাবা-মায়ের সাথে নিহত সাত বছরের শিশু আফতাইয়ের লাশ আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করে। আফতাইয়ের লাশ ডিএনএ পরীক্ষার পর পুরান ঢাকার ইসলামবাগের দাবিদার পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ১২ই মে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আজিমপুর কবরস্থানে যে কবরে তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছে শুধুমাত্র ওই জায়গাটি তার পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামাল উদ্দিন বলেন, চুড়িহাট্টার ঘটনায় সবমিলিয়ে ৭০টি লাশের মধ্যে এখনো তিনটি লাশ ঢাকা মেডিকেলে রাখা আছে। এর মধ্যে একটি লাশের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা হয়নি। কোর্টের আদেশ পেলেই আমরা লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবো। নিহত রাজুর পরিবার ভুলক্রমে ভোলার ভ্যানচালক শাহাবুদ্দিনের লাশ কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরীতে দাফন করেছে। আর কুড়িগ্রামের রাজুর লাশ আছে ঢাকা মেডিকেলে। চুড়িহাট্টার আরেকটি লাশ ভুল করে নোয়াখালির সোনাইমুড়িতে দাফন করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর দেখা গেছে। তাদের দুজনের লাশ আছে ঢাকা মেডিকেলে। কোর্টের নির্দেশে ম্যজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুটি কবরের লাশ তুলে প্রকৃত স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হবে। এছাড়া ঢামেকে ডিএনএ থেকে শনাক্ত হওয়া লাশ দুটিও তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এদিকে, আরেকটি পরিবার ভুলক্রমে চকবাজারের বাসিন্দা বাবা-মায়ের সাথে নিহত সাত বছরের শিশু আফতাইয়ের লাশ আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করে। আফতাইয়ের লাশ ডিএনএ পরীক্ষার পর পুরান ঢাকার ইসলামবাগের দাবিদার পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত ১২ই মে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আজিমপুর কবরস্থানে যে কবরে তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছে শুধুমাত্র ওই জায়গাটি তার পরিবারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।