বিশ্বজমিন
স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের পদত্যাগ দাবি
মানবজমিন ডেস্ক
১১ জুন ২০১৯, মঙ্গলবার, ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন
সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘন্টা পরেই সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ছেলে ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। এতে তিনি জাতীয় পরিষদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে তিনি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন। সোমবার জাতীয় পরিষদের অধিবেশন চলাকালে তাকে আবারও বক্তব্য রাখতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ বিলাওয়ালের। তিনি বলেন, সরকারের তিন সদস্যকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমাকে সেই সুযোগ দেয়া হয় নি। জাতীয় পরিষদের স্পিকারের (আসাদ কাইসার) ও ডেপুিিট স্পিকারের (কাসিম সুরি) মনোভাবের নিন্দা জানাই আমি। একই সঙ্গে তাদের পদত্যাগ দাবি করি। কারণ, তারা পক্ষপাতহীন নন। তারা সরকারের বর্ধিতাংশের মতো আচরণ করেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
উল্লেখ্য, সোমবার পার্লামেন্টে পিপিপি চেয়ারপারসন বিলাওয়ালের পরিবর্তে রেলমন্ত্রী শেখ রশিদকে ফ্লোর দেয়ার প্রতিবাদে বিরোধী দলের সদস্যরা ডেপুটি স্পিকারের ডায়াসের চারদিক ঘিরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এ সময় অধিবেশন মুলতবি করা হয়। এ সময় ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি বিক্ষোভকারী এমপিদের আশ^স্ত করেন যে, শেখ রশিদের বক্তব্যের পরে বিলাওয়ালকে কথা বলার সুযোগ দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, রেলমন্ত্রীকে ফ্লোর দেয়া হয়েছে। কারণ, তিনি বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পরিষদের সদস্য শাহবাজ শরিফের বক্তব্যের জবাব দিতে চেয়েছেন। শাহবাজ শরীফ তার বক্তব্যে শেখ রশিদের নাম উল্লেখ করেছেন।
এর জবাবে সংবাদ সম্মেলনে বিলাওয়াল বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সরকারের ইঙ্গিতেই স্পিকার ওঠেন-বসেন। আমাকে জাতীয় পরিষদে বক্তব্য রাখতে দেয়া হয় নি। আমি লারকানার মানুষের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।
সরকার পাকিস্তানকে ‘সেন্সরড পাকিস্তান’ বানিয়ে ফেলছে বলে কড়া সমালোচনা করেন বিলাওয়াল। তিনি বলেন, আমাদের মিডিয়া সেন্সরশিপের মুখোমুখি। এ কথা নির্বাচনের সময় থেকেই বলে আসছি। যারা এই সেন্সরশিপ অনুসরণ করছে না তাদেরকে নিপীড়নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সাক্ষাতকার সম্প্রচার হচ্ছে না। বিচার বিভাগের অনিয়ম নিয়ে আলোচনা করতে দেয়া হচ্ছে না। গণতন্ত্রে এটা চলতে পারে না। ্এটা গণতান্ত্রিক পাকিস্তান নয়। এটা হলো সেন্সরড পাকিস্তান।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি নাগরিকের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। তাদের জানার অধিকার আছে যে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো রেফারেন্স দেয়া হয়েছে কিনা। সরকার যদি দায়িত্বে বহাল কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে রেফারেন্স ফাইল করে থাকে তাহলে তা জাতীয় পরিষদে বলা উচিত। একজন সুপরিচিত বিচারপতির বিরুদ্ধে রেফারেন্স দেয়ার প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
নিজের পিতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিলাওয়াল বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট নিজেই ধরা দিয়েছেন। কারণ, তিনি মনে করেন ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে তার। তার ভাষায়, আমরা কোনো গ্রেপ্তার বা মামলা থেকে আত্মগোপন করি নি কখনো। এই নয়া পাকিস্তান ও অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল পারভেজ মোশাররফ অথবা জেনারেল আইয়ুব খানের পাকিস্তানের মধ্যে পার্থক্য কি? তখনও জনগণের কণ্ঠকে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এখনও সেই একই ঘটনা ঘটছে। যখন একটি সরকার নির্বাচিত হয় এবং তারা দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন তারা সমালোচনাকে ভয় পায়। সেই সমালোচনা আমি করি, জারদারি করেন, শাহবাজ শরীফ করেন, হামজা শরীফ করেন অথবা মানজুর পশতুন করেন।
বিলাওয়াল ভুট্টো আরো বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে আমি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর নাতি আমি। তাই গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই চালিয়ে নেয়ার দায়িত্ব আমার ওপর। আমি আজ স্পিকারের কাছে জানতে চাই: যে সন্তানের নানাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে, নানীকে প্রহার করা হয়েছে, যার মাকে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়েছে, গুলি করা হয়েছে, যার আংকেলকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে, তাকে কি করে আপনি ভীতির মধ্যে রাখতে পারেন?
বিলাওয়াল বলেন, তারা জারদারিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে গ্রেপ্তার করেছে। যখন বলা হচ্ছে সব ‘দুর্নীতিবাজ’ জেলে এবং সরকার ক্লিন, তখন এখনও কেন জনগণের পকেট ফাঁকা? তারা অর্থ দিয়ে কি করেছে, যে অর্থ ওইসব ‘দুর্নীতিবাজ’দের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে?
উল্লেখ্য, সোমবার পার্লামেন্টে পিপিপি চেয়ারপারসন বিলাওয়ালের পরিবর্তে রেলমন্ত্রী শেখ রশিদকে ফ্লোর দেয়ার প্রতিবাদে বিরোধী দলের সদস্যরা ডেপুটি স্পিকারের ডায়াসের চারদিক ঘিরে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এ সময় অধিবেশন মুলতবি করা হয়। এ সময় ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি বিক্ষোভকারী এমপিদের আশ^স্ত করেন যে, শেখ রশিদের বক্তব্যের পরে বিলাওয়ালকে কথা বলার সুযোগ দেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, রেলমন্ত্রীকে ফ্লোর দেয়া হয়েছে। কারণ, তিনি বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পরিষদের সদস্য শাহবাজ শরিফের বক্তব্যের জবাব দিতে চেয়েছেন। শাহবাজ শরীফ তার বক্তব্যে শেখ রশিদের নাম উল্লেখ করেছেন।
এর জবাবে সংবাদ সম্মেলনে বিলাওয়াল বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সরকারের ইঙ্গিতেই স্পিকার ওঠেন-বসেন। আমাকে জাতীয় পরিষদে বক্তব্য রাখতে দেয়া হয় নি। আমি লারকানার মানুষের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।
সরকার পাকিস্তানকে ‘সেন্সরড পাকিস্তান’ বানিয়ে ফেলছে বলে কড়া সমালোচনা করেন বিলাওয়াল। তিনি বলেন, আমাদের মিডিয়া সেন্সরশিপের মুখোমুখি। এ কথা নির্বাচনের সময় থেকেই বলে আসছি। যারা এই সেন্সরশিপ অনুসরণ করছে না তাদেরকে নিপীড়নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সাক্ষাতকার সম্প্রচার হচ্ছে না। বিচার বিভাগের অনিয়ম নিয়ে আলোচনা করতে দেয়া হচ্ছে না। গণতন্ত্রে এটা চলতে পারে না। ্এটা গণতান্ত্রিক পাকিস্তান নয়। এটা হলো সেন্সরড পাকিস্তান।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি নাগরিকের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। তাদের জানার অধিকার আছে যে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো রেফারেন্স দেয়া হয়েছে কিনা। সরকার যদি দায়িত্বে বহাল কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে রেফারেন্স ফাইল করে থাকে তাহলে তা জাতীয় পরিষদে বলা উচিত। একজন সুপরিচিত বিচারপতির বিরুদ্ধে রেফারেন্স দেয়ার প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
নিজের পিতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিলাওয়াল বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট নিজেই ধরা দিয়েছেন। কারণ, তিনি মনে করেন ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে তার। তার ভাষায়, আমরা কোনো গ্রেপ্তার বা মামলা থেকে আত্মগোপন করি নি কখনো। এই নয়া পাকিস্তান ও অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল পারভেজ মোশাররফ অথবা জেনারেল আইয়ুব খানের পাকিস্তানের মধ্যে পার্থক্য কি? তখনও জনগণের কণ্ঠকে বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। এখনও সেই একই ঘটনা ঘটছে। যখন একটি সরকার নির্বাচিত হয় এবং তারা দুর্বল হয়ে পড়ে, তখন তারা সমালোচনাকে ভয় পায়। সেই সমালোচনা আমি করি, জারদারি করেন, শাহবাজ শরীফ করেন, হামজা শরীফ করেন অথবা মানজুর পশতুন করেন।
বিলাওয়াল ভুট্টো আরো বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে আমি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর নাতি আমি। তাই গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই চালিয়ে নেয়ার দায়িত্ব আমার ওপর। আমি আজ স্পিকারের কাছে জানতে চাই: যে সন্তানের নানাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছে, নানীকে প্রহার করা হয়েছে, যার মাকে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়েছে, গুলি করা হয়েছে, যার আংকেলকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে, তাকে কি করে আপনি ভীতির মধ্যে রাখতে পারেন?
বিলাওয়াল বলেন, তারা জারদারিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে গ্রেপ্তার করেছে। যখন বলা হচ্ছে সব ‘দুর্নীতিবাজ’ জেলে এবং সরকার ক্লিন, তখন এখনও কেন জনগণের পকেট ফাঁকা? তারা অর্থ দিয়ে কি করেছে, যে অর্থ ওইসব ‘দুর্নীতিবাজ’দের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে?